বাতায়ন/শারদ/কবিতা/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | কবিতা
অনিমেষ ঋষি দাস
সৈনিক
কে রাখে কার খোঁজ
কে কোথায় অবৈধ প্রেমে মগ্ন
এ নিয়ে ধরিত্রী দ্বিধাবিভক্ত।
সম্প্রতি এক ছোকরা কবি
লিখেছেন—
বিচারক ও বদমাশ শ্যাম্পেন টানেন এক টেবিলে
ক্ষমা করবেন হুজুর আমরা কবির পক্ষে ক্ষমা চাই
যা অতি উঁচু সুলভ মানের তা নিয়ে রসিকতা বাতাসে ছড়াই দূষিত গন্ধ
আমরা ক্ষমা চাই কিন্তু বাস্তবে তাই হচ্ছে।
প্রমাণ কিংবা সাক্ষীর
বেড়াজালে হয়তো মুছে ফেলা যায় তথ্য।
তবুও বুকের কোণে জমে অজস্র প্রশ্ন।
যেন লবণের দানায় জ্বালা, প্রশ্নগুলো ফুটে ওঠে রাতে,
নিঃশব্দে কাঁদে আয়না, ভাঙচুর চোরাবালির ঘরে;
চোখে-মুখে লেগে
থাকে এক ধরনের অসহ্য রোদ,
যা পুড়িয়ে দেয় স্বপ্ন, শুকিয়ে দেয় নদী।
কথাগুলো এখন শুধু ইশারার ভাষা,
অনুভূতিগুলো প্যাকেটজাত, দামের ট্যাগ লাগানো;
হাত বাড়ালেই ধরা পড়ে না
কোনো হাত,
শব্দহীন চিৎকারে ভরে যায়
প্রাসাদ।
তবুও এই মিথ্যের নদী পার হতে
হবে,
একা হাঁটবে যে, তার পথে নামবে অন্ধকার;
জমে থাকা প্রশ্ন নিয়ে জ্বলবে
সে প্রদীপ,
নিরবধি এই যুদ্ধে—কবিই শেষ
সাক্ষী, শেষ সৈনিক।
শারদ | কবিতা
অনিমেষ ঋষি দাস
ধুলোবালি আর এই কংক্রিটের
শহরে
ভালবাসাহীন যান্ত্রিক মানব আর
মানব সভ্যতার মাঝে হারিয়ে গেছে স্বাধীনতা শালীনতা
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেবল
আত্মকেন্দ্রিকতা।
কে কোথায় অবৈধ প্রেমে মগ্ন
এ নিয়ে ধরিত্রী দ্বিধাবিভক্ত।
বিচারক ও বদমাশ শ্যাম্পেন টানেন এক টেবিলে
ক্ষমা করবেন হুজুর আমরা কবির পক্ষে ক্ষমা চাই
যা অতি উঁচু সুলভ মানের তা নিয়ে রসিকতা বাতাসে ছড়াই দূষিত গন্ধ
আমরা ক্ষমা চাই কিন্তু বাস্তবে তাই হচ্ছে।
তবুও বুকের কোণে জমে অজস্র প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment