ঘরের ভেতর একা নই। আমাদের এক সাথে খিদে পাচ্ছে। প্রজাপতির দিকে হাত বাড়াই। সঙ্গম ছিন্ন হয়। বিছানায় বালিশ, কাঁথা, মধু, দু একটা বই ছড়ানো-ছিটানো। অন্ধকারে দেখছি না আমাদের পোশাকহীন শরীরে কীসের বাসা৷ বোলতা, ভিমরুল একে একে ছেয়ে যাচ্ছে। আমি শুনছি গুনগুন তীব্র থেকে তীব্রতর। অন্ধকার হলেও আয়না চিনি। প্রতিফলন বুঝি। শব্দতরঙ্গে আশ্চর্য আশ্চর্য মেঘ।
খুব জোরে বাতাস দিলে বৃষ্টি ঢুকে পড়ে। আরও একটু অসতর্কতা। সজোরে ঝাপটা এসে পিঠে জমা হয়৷ দ্বিতীয় আমি টালমাটাল। বুক ঢাকছে৷ নাভি থেকে উড়িয়ে দিচ্ছে জোড়া জোড়া শঙ্খধ্বনি৷ উফফ কী ভয়ানক শব্দব্রহ্ম। প্রজাপতি দুটো উড়ছে৷ যত্রতত্র, নির্বিকার। আমার দিকে আসছে। কোথায় বসবে? কোন জায়গাটা খালি? কোন জায়গাটাই বা উপযুক্ত? পলকে মনে পড়ল জামার রং হলুদ৷ লাল রঙের ফুলছাপ। স্নানঘরে যেটুকু ভিজেছে তাকে বন্যা ধরে নিলে সপ্তডিঙার ডাক দিতে পারি।
সপ্তডিঙা- ময়ূরমুখী সিংহাসনে বসে আছেন অলংকারতত্ত্ব; রাজার আপ্যায়নে নিভিয়ে দিলাম জ্বলন্ত মোমবাতি। ভয় পেয়ো না। এ অন্ধকার আয়ুক্ষয়ের নয়; নিজেকে দেখার, নিজেকে চেনার। ডিঙায় ভরা নক্ষত্র, পোয়াতি উল্কা, আর তত্ত্বের আকারে সাজানো গোপন মিছিলের ডাক। চলো পতাকা ধরি।
বর্ষার ভিজে মাটি পিচ্ছিল গলিপথ ঘরের ভিতর আনন্দের ভিড়। ভিড়ের মধ্যেও প্রজাপতি দুটো উড়ছে। উড়তে উড়তে চলে যাচ্ছে নক্ষত্র বোঝাই কূপের দিকে। তারা জানে এখন পোড়ার সময়।
সমাপ্ত
দারুন ভালো লাগলো
ReplyDeleteনীলম, আপনার লেখা পড়লাম। গদ্যও ভাল। জানিনা গন্তব্য মানুষকে কোথায় নিয়ে যাবে। আপনি অনেকদূর যাবেন।আশা রাখি।ভাল থাকুন।
ReplyDelete