এ তো গেল কবি-সাহিত্যিকদের কথা। যারা সেই আঙিনার বাইরে, তারাও কি বর্ষার প্রতীক্ষায় থাকেন না? অতীতে কৃষিজীবী মানুষের প্রধান ভরসাই ছিল বর্ষা। কথাতেই আছে, ‘আশায় মরে চাষা,’ আকাশের দিকে তাকিয়েই তাঁরা দিন কাটাতে বাধ্য হতেন। যদিও এখন মাটির গভীর থেকে ভালমন্দের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে জল তুলে চাষ হওয়াটাই রীতি। তাতে প্রকৃতির যা হয় হোক।
মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং-এর প্রধান ভরসাই আজ সাবমার্সিবল পাম্প। পরিবেশসচেতনতার বাণী বৃথা। অথচ একটু সচেতন হলেই নাগরিক ধরে রাখতেই পারেন বৃষ্টির জল (অপরিমিত হলেও), বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ এবং তা রক্ষণাবেক্ষণ করতেই পারেন। কোন দেশে কোনও সরকারই কোন কিছু করে দিতে পারেন না যদি নাগরিক সচেতন না হয়।
নইলে শেষপর্যন্ত এমন না হয়, বাদলের মেঘ, স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের জন্য হাপিত্যেশ অপেক্ষা করতে করতে অতীতের স্মৃতিচারণই এক এবং একমাত্র পথ। তিনি যে পেশা কিংবা যেমন মনের মানুষই হোন-না কেন।
No comments:
Post a Comment