বাতায়ন/নৃপেন
চক্রবর্তী সংখ্যা/কবিতাণু/৩য় বর্ষ/২৮ সংখ্যা/১৪ই কার্ত্তিক,
১৪৩২
নৃপেন চক্রবর্তী সংখ্যা | কবিতাণু
উৎপলেন্দু দাস
ইচ্ছে
১)
দিকচিহ্ন বিহীন আঁধারে সঙ্গীহীন হেঁটে যেতে যেতে
মনে হয় এক সর্বগ্রাসী অতল গহ্বর অপেক্ষায়
শৈশবের কল্পনা, যৌবনের পরিশ্রম, স্বপ্নের আল্পনা
মুছে দেবে সীমাহীন শূন্যের বিভীষিকা;
আকাশের তারাগুলি সান্ত্বনা
দেয় হেসে, দেখছে বহুদিন
সময় হয়ে এসেছে অরুণোদয়ের, না থেমে এগিয়ে চলো।
২)
নালিশ করে একে অপরের বিরুদ্ধে কেটে যায় দিন
আত্মশক্তিতে নষ্ট বিশ্বাস করে রাখে ক্ষীণ
ধ্রুব সত্য মেনে নিতে থাকে প্রবল অনীহা
সামাজিক জীবনের বিস্তার প্রাণহীন আচার বিচারে
অত্যাচার লুকোনো সুউচ্চ পাষাণ প্রাচীরে, অতএব
সবুজ সজীবতা ফ্যাকাশে হয় ইটের পাঁজার গভীরে।
৩)
যদি মুখে না বলতে পারো ভালবাসি
প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কায় থাকো জড়োসড়ো,
একটা ফুটন্ত গোলাপ কুঁড়ি
দিয়ে তার হাতে
চোখে চোখে কথা বলো,
যদি খোঁপায় গেঁথে নেয় সেই
শুচিস্মিতা
তাহলে তো হয়েই গেল।
৪)
ইচ্ছে সবার মনে ঘাপটি মেরে থাকে চিরকাল
মাঝেমধ্যে কখনো-সখনো
নীড় ছেড়ে অন্য নীড়ে উড়ে যেতে চায়;
তারপর পৃথিবীর সব আগ্রহ
হারায় একদিন
ডানা ভারি হয়ে আসে
দলছুট পাখি হয়ে কোথায় মিলিয়ে যায়।
নৃপেন চক্রবর্তী সংখ্যা | কবিতাণু
উৎপলেন্দু দাস
দিকচিহ্ন বিহীন আঁধারে সঙ্গীহীন হেঁটে যেতে যেতে
মনে হয় এক সর্বগ্রাসী অতল গহ্বর অপেক্ষায়
শৈশবের কল্পনা, যৌবনের পরিশ্রম, স্বপ্নের আল্পনা
মুছে দেবে সীমাহীন শূন্যের বিভীষিকা;
সময় হয়ে এসেছে অরুণোদয়ের, না থেমে এগিয়ে চলো।
নালিশ করে একে অপরের বিরুদ্ধে কেটে যায় দিন
আত্মশক্তিতে নষ্ট বিশ্বাস করে রাখে ক্ষীণ
ধ্রুব সত্য মেনে নিতে থাকে প্রবল অনীহা
সামাজিক জীবনের বিস্তার প্রাণহীন আচার বিচারে
অত্যাচার লুকোনো সুউচ্চ পাষাণ প্রাচীরে, অতএব
সবুজ সজীবতা ফ্যাকাশে হয় ইটের পাঁজার গভীরে।
যদি মুখে না বলতে পারো ভালবাসি
প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কায় থাকো জড়োসড়ো,
চোখে চোখে কথা বলো,
তাহলে তো হয়েই গেল।
ইচ্ছে সবার মনে ঘাপটি মেরে থাকে চিরকাল
মাঝেমধ্যে কখনো-সখনো
নীড় ছেড়ে অন্য নীড়ে উড়ে যেতে চায়;
ডানা ভারি হয়ে আসে
দলছুট পাখি হয়ে কোথায় মিলিয়ে যায়।

No comments:
Post a Comment