বাতায়ন/গল্পাণু/বর্ষা/১ম বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩০
গল্পাণু
বর্ষা
অজয় দেবনাথ
জলঙ্গি
কর্মসূত্রে যাতায়াতে আট ঘন্টা। প্রবীণ অধ্যাপক, ধকল সয় না। এক বর্ষার লাগাতার ধারাপাতে জল জমে বাস-ট্রেন বন্ধ। সরল অসহায় স্যারের সহায়তায় কন্যাসম প্রিয় ছাত্রী শ্রীর সহযোগিতার হাত। পৈতৃক, একদা রায়বাহাদুরের বাড়িতে দুর্যোগের রাতটা কাটিয়ে যাওয়ার অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেন না।
যথাযথ আপ্যায়নের পর, ঘরোয়া পোশাকে শ্রী পিতৃসম স্যারের তোয়াজে… পাশেই বয়ে চলেছে খরস্রোতা জলঙ্গি… আলো-অন্ধকারে মনোরম। অস্বস্তিতে প্রবীণ আপত্তি করেন,
— এ অন্যায়! আমার আর কিছু দরকার নেই।
— কীসের অন্যায়? আমার গুরুদক্ষিণা, তাছাড়া বসুন্ধরা চিরকালই বীরভোগ্যা…
সহসা শ্রীর স্বামীর প্রবেশ। অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনাহীন প্রবীণকে অর্ধচন্দ্র…
অপমান, লজ্জা, তাৎক্ষনিক আবেগ, কালো ঘোলা খরস্রোতা জলঙ্গিতে মিশে দুর্যোগ চিরতরে থেমে যায়।
সমাপ্ত
অসাধারণ,,,, সত্যিই বর্ষা এমনও লাগামছাড়া হয়ে ওঠে কখনো সখনো 🙏🏻🙏🏻🙏🏻
ReplyDeleteখুব সুন্দর।
ReplyDelete