বাতায়ন/শারদ/ছোটগল্প/১ম
বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০
শারদ | ছোটগল্প
প্রভাত ভট্টাচার্য
উৎসব
এবারে আর দুর্গাপুজোতে
ছুটি পেল না শৌভিক। বাড়ি তার উত্তর চব্বিশ-পরগনার দত্তপুকুরে। মা-বাবার একমাত্র
সন্তান। সে হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মেজর। এখন রয়েছে সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে।
— তাহলে তুই আসতে পারবি
না! মায়ের ব্যথিত স্বর ভেসে এল মোবাইলে।
— না মা, গুরু দায়িত্ব
কাঁধে, পরে যাব। তোমরা ভাল থেকো।
— ঠিক আছে, তুই ঠিক করে
থাকিস, খাওয়াদাওয়া করিস।
— আচ্ছা মা।
কী ঝুঁকির মধ্যেই যে
আছে ছেলেটা। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন মা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গোৎসবে আনন্দ করছে সবাই।
কিন্ত কেউ কেউ তাদের গুরু দায়িত্ব পালনে রত। যেমন, অতন্দ্র পাহারায় থাকা সেনারা। উৎসবের
মাঝেই সীমান্তে আক্রমণ বিদেশি হানাদারদের। মেজর শৌভিক এবং অন্যান্য সেনারা মিলে
অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সফল হল শত্রুদের বিতাড়িত করতে।
শৌভিকের বীরত্বের খবর
ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। গর্বে বুক ফুলে উঠল মা-বাবার। তারা ভুলে গেল উৎসবের দিনে
ছেলেকে কাছে না পাওয়ার দুঃখ। গ্রামে ফিরতে শৌভিককে দেওয়া হল বীরের সংবর্ধনা।
কয়েকদিন পরে। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছে শৌভিক, তার বীরত্বের জন্য। মা-বাবা বসে রয়েছে দর্শকাসনে। সবার সঙ্গে সঙ্গে তারাও হাততালি দিচ্ছে। নেমে এসে মা-বাবাকে জড়িয়ে ধরল সে। তাদের চোখে আনন্দাশ্রু। আজই যে ওদের প্রকৃত উৎসব। আর উৎসবের আবহ গোটা গ্রামেই।
সমাপ্ত
ভালো লাগলো গল্পটি
ReplyDelete