ভাল রাখা
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী শোনার সময় ঘরদোর পরিষ্কার, গঙ্গাজল ছেটানো, ধূপধূনো দেওয়া রেওয়াজ ছিল। সেইসঙ্গে চা-বিস্কুট এবং কুশীলবদের সুখ্যাতির জোয়ার। এবং তাতে আহা-বাহা করার খামতি ছিল না। কতটা মন দিয়ে তারা শুনতেন, প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যায়। তারাই যখন ট্রানজিস্টর বা টেপরেকর্ডারে তাদের পছন্দের বাংলা বা হিন্দি গান ঠিক ততটাই জোরে বাজাতেন, তখন সেটা কার ভালর জন্য? আসলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজেকে জাহির করার একটা বিষয় থেকেই যায়। নিজেকে অন্যের থেকে ভাল, এটা প্রমাণের চেষ্টা না করলে বোধহয় মানসিক তৃপ্তি হয় না।
সাধারণ মানুষের কথা নাহয় বাদ রাখা গেল। কিন্তু অধিকাংশ ধর্মীয় গুরু বা সাধুসন্ত মহারাজ যখন একই কথা বলেন, তারা সত্যি সত্যিই অন্যকে ভাল রাখার কতটা চেষ্টা করেন, সে প্রশ্নও অন্তরে উঁকি দেয়। সন্ন্যাসীর জীবনযাপনের যে চিত্র বিভিন্ন গ্রন্থে পাওয়া যায় তা কি তবে ভুল, মিথ্যে?
চণ্ডীতে ভাল রাখার কথা ধর্মপ্রাণ মানুষ মাত্রেই যদি সত্যিই মানেন, তবে শুধু দুর্গাপুজোর সময়ই কেন, কেন বছরের সবসময় নয়?
সকলে ভাল থাকুন, অন্যকেও ভাল রাখার সত্যি-সত্যিই চেষ্টা করুন।
No comments:
Post a Comment