বাতায়ন/রং/গল্পাণু/২য় বর্ষ/৩২তম সংখ্যা/২৯শে
ফাল্গুন, ১৪৩১
রং
| গল্পাণু
অরিজিৎ
মল্লিক
চড়
"সুমনা চৌকি থেকে ধড়ফড়িয়ে নেমে এলো, ‘দুষ্টু ওঠ… দুষ্টু…!’ বাইরে তখন কুকুরগুলো ডাকছে আর ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো এসে পড়ছে দুষ্টুর শান্ত হয়ে থাকা মুখটায়"
গলায় দড়িটা
দেওয়ার সময় সুমনার শুধুই দুষ্টুর কথা মনে পড়ছে, কান্নায় দুচোখ ভেসে যাচ্ছে। এই জীবনে
বেঁচে থাকার আর কোন কারণ নেই ওর কিন্তু মরতেও যে অসম্ভব ভয় লাগছে, ছেলেটা যদি
মা বলে ওঠে! ওর তো মা ছাড়া আর কেউ
নেই! দলা পাকিয়ে গলার মধ্যে কিছু উঠে আসল। শুধুই
আপশোশ! আলতার শিশিটা নিয়ে রং খেলতে যাওয়ায়
ওভাবে চড়টা না মারলেই হতো, ও ঠাকুর! আগেও তো মেরেছি কিন্তু এভাবে তো ঢলে পড়েনি! সুমনা চৌকি থেকে ধড়ফড়িয়ে নেমে এলো, ‘দুষ্টু ওঠ… দুষ্টু…!’ বাইরে তখন কুকুরগুলো ডাকছে আর ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে
চাঁদের আলো এসে পড়ছে দুষ্টুর শান্ত হয়ে থাকা মুখটায়, হঠাৎ আলতার
শিশিটায় হাত লাগতেই সুমনা আবারও ডুকরে কেঁদে উঠল।
সমাপ্ত
অ-সা-ধা-র-ণ, সুন্দর, ভাষাহারা
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
Deleteঅসম্ভব বেদনা তুলে ধরলে।
ReplyDeleteতোমার অনুভূতি প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ
Deleteবেদনাদায়ক হলে ও বেশ ভালো লেখা।
ReplyDeleteতবে বেদনা টা অসম্ভব রকমের।