বাতায়ন/দহন/রম্যরচনা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | রম্যরচনা
অর্পিতা
চক্রবর্তী
সুখী
গৃহকোণ
"সান্যালবাবু প্রতিদিন স্নান করে বাসি লুঙ্গি ছেড়ে কাচা পোশাকে পুজো করতে বসেন। ব্যস এইটুকু সময়ের মধ্যেই রেবাদেবী ওটিকে সাবান জলে চুবিয়ে কেচে মেলে দেন। ওদিকে পুজো সেরে সান্যালবাবুর আবার ওই বাসি লুঙ্গিটি চাই কিন্তু সেটি ততক্ষণে রোদ পোয়াচ্ছে।"
সময় মধ্যরাত। শ্রীযুক্ত অসিত
সান্যাল আর শ্রীমতী রেবা সান্যাল।
বয়স- একজন সাতের পাশে শূন্য, অন্যজন ছয়ের পিঠে পাঁচ।
কড়কড়, ঘড়ঘড়, ভিন্ন ভিন্ন আওয়াজে কান পাতা দায়। রেবাদেবী তার স্বামীকে ঠেলেও পাশ ফেরাতে পারলেন না। মধ্যরাতে এ কোন উৎপাত বলো দেখি। এভাবে নাক ডাকলে পাশের জন ঘুমায় কী করে। সান্যাল বাড়ির মধ্যরাতের এই কাহিনি রোজকারের। তবে ভুক্তভোগী একমাত্র রেবাদেবী যাকে এই চরম যন্ত্রণা সহ্য করে রাত জাগতে হয় প্রায় প্রতিদিন।
এ বাড়ির একমাত্র বিবাহিতা
মেয়ে টুয়া, বর্তমানে পুনা নিবাসী। সে
অনেক কিছু পারলেও নাক ডাকার এই ভয়াবহ দুর্ভোগ থেকে তার মাকে বাঁচাতে পারেনি। দুজন
যে দু ঘরে শোবে তাও নয়। এরা একসাথে থাকবে অথচ সারাদিন ঝগড়া করবে।
ঝগড়ার প্রথম কারণ- নাসিকা
গর্জন। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্য বেশ জটিল। সান্যালবাবু প্রতিদিন স্নান করে বাসি
লুঙ্গি ছেড়ে কাচা পোশাকে পুজো করতে বসেন। ব্যস এইটুকু সময়ের মধ্যেই রেবাদেবী
ওটিকে সাবান জলে চুবিয়ে কেচে মেলে দেন। ওদিকে পুজো সেরে সান্যালবাবুর আবার ওই বাসি লুঙ্গিটি চাই কিন্তু সেটি ততক্ষণে রোদ পোয়াচ্ছে।
লুঙ্গি পর্ব মিটতে না মিটতেই
শুরু হল তৃতীয় রাউন্ড। এই পর্বের মহানায়িকা হলেন চা। রেবাদেবীর খুব চায়ের নেশা।
দুধ-চা-চিনিসহযোগে ঠিক কতটা ক্ষতিকারক একজন ডায়াবেটিক পেশেন্টের জন্য তা আজকাল সকলেরই অবগত। অথচ মানতে নারাজ টুয়ার মা, এর সাথে আবার জর্দাপান সুতরাং ঝগড়া অবশ্যম্ভাবি।
টুয়া এবং তার পরিবার সবাই
চেষ্টা করেছে সমস্যা সমাধানের কিন্তু না কোনো ওষুধে কাজ হচ্ছে না। সারাদিন তোর
বাবা এই করেছে আর তোর মা ওই করেছে... শুনতে শুনতে ক্লান্ত টুয়া।
আদিত্য আর টুসি (টুয়ার পরিবার) অবশ্য ব্যাপারটিকে বেশ এনজয় করে।
আচ্ছা ওদের দুজনকে ছমাসের
জন্য আলাদা করে দিলে কেমন হয়, বুদ্ধিটা ছিল জামাই
বাবাজীবনের। ওরা দুজন যদি আলাদা থাকে অন্তত ছমাসের জন্য তবে একটা হিল্লে হবেই হবে।
আদিত্য আর দেরি না করে টিকিট কেটে ফেলে। মেয়ে-জামাইয়ের আবদার রাখতে আগামী
রবিবার রেবাদেবী আসছেন পুনাতে। খবরটা শুনে অসিতবাবুর আহ্লাদ আর ধরে না। আপাতত
আগামী ছমাস উনি স্বাধীন।
পুনা যাওয়ার ঠিক সাতদিন আগে
থেকে শুরু হল সান্যাল ম্যাডামের বিশেষ ক্লাস। সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে মুখ
ধোওয়া থেকে শুরু করে লিকার চা হয়ে বাসি লুঙ্গি ইত্যাদি অতিক্রম করে সোজা
রান্নাঘর। এইসব নিয়ে ক্লাস চলছে। সান্যাল বাড়ির রান্নাঘরে এ কদিন রামরাজত্ব
চালাবে ম্যাডাম ঝুমা। যদিও ঝুমা এ বাড়িতে বহুদিনের এবং খুব বিশ্বস্ত। কিন্তু তা
সত্বেও অসিতবাবুকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। নিজের খাদ্যরসিক জিহ্বাকে সংযত করতে হবে।
বাজারের ব্যাগ ভারি হলে টোটো করে আসতে হবে।
সচেতনতার দ্বিতীয় অধ্যায়, জীবনদায়ী ওষুধ যেমন প্রেশার সুগার ভুললে চলবে না। জল এবং
ফল পর্যাপ্ত খেতে হবে। ধূমপান বন্ধ রাখতে হবে।
শেষ অধ্যায়, ঘরে তালা ঠিক মতো দিতে হবে। ফোনটিকে নিজের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ
করে রাখতে হবে।
পুনশ্চ: লুচি, পরোটা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
আপাতত এইটুকুই...
অসিতবাবু ক্লাসের
ফার্স্টবয়ের মতো পুরোটা শুনেছে, সাতদিন ধরে শতাধিকবার
ঘাড় নেড়ে নেড়ে শুনেছে। প্রয়োজনে কাগজ-কলমের ব্যবহার করেছে। এখন শেষ রক্ষা হলে হয়।
আজ রেবাদেবী রওনা দিলেন।
মেয়েজামাই সময়মতো ওনাকে এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি নিয়ে গেছে। বুড়োকর্তা বাড়ি
ফিরে এসে কাঁধের ঝোলাটিকে বিছানায় ফেলে দিয়ে টানটান হয়ে খাটে শুয়ে পড়লেন। একে
বলে স্বাধীনতা, অগাধ স্বাধীনতা। কেউ
তাড়া দেওয়ার নেই, ইচ্ছা হলে খাবে না
হলে না। বিবাহিত জীবনে এতবড় স্বাধীনতা কজন পায়? সুতরাং এনজয়... করতেই হবে। বলতে বলতেই থলে থেকে ফোনের ঘণ্টি শোনা যাচ্ছে। ফোনের
ওপারে তখন পুরো পরিবার। সাবধান বাণীর ফোয়ারা চলছে।
আজ রাতে নাসিকা গর্জনের পথে
কোন বাধা নেই কিন্তু ঘুম আসছে না কেন?
আসলে
বিছানাটা আজ বড্ড ফাঁকা।
সকাল সকাল ঝুমা ম্যাডাম চলে
এসেছে, সাথে চা জলখাবারও চলে এসেছে।
আজ তো সব রান্না করাই আছে। ওই রাতের একটু তরকারি করে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে ঝুমা চলে গেছে।
মোটামুটি সারাটাদিন বেশ নিয়মমাফিক চলেছে। বিকেলে হাঁটতে বেড়িয়ে অনেকদিন পর আজ
একটু তেলেভাজা খেতে হবে। সারাদিন বাসি লুঙ্গি পরে দিব্যি কেটে গেছে সান্যালবাবুর।
যদিও ফোনটা এই নিয়ে দশ-নম্বর-বার বাজছে। ওরে বাবা এ তো আবার ভিডিও কল। ব্যস ওইটুকু
সময়ের মধ্যেই জহুরির চোখ পড়ে গেছে বাসি লুঙ্গির দিকে। আসলে কথায় বলে না বিবাহিত
পুরুষের জীবনে "শান্তি" নামক বিষয়টি একেবারেই নেই আর এটাই হলো চরম-সত্যি।
দেখতে দেখতে রেবাদেবী গেছেন
আজ প্রায় দশদিন হয়ে গেল। স্বাধীনতার আনন্দটুকু আস্তে আস্তে কেমন যেন হালকা পাতলা
হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই আজকাল হারিয়ে ফেলেন অসিতবাবু। সকাল থেকে রাত প্রয়োজনীয়
সবকিছুর জন্য মোটামুটি কুড়িবার ফোন করতে হয় পুনাতে। ওদিকে রেবাদেবীর দুধ-চিনিসহযোগে চা
পুরোপুরি বন্ধ আর জর্দাপান, সে তো ধরা ছোঁয়ার
বাইরে। তবে এ কদিনে একটা ভালো জিনিস হয়েছে,
রক্তে
শর্করার ভাগটা একটু হলেও কমেছে। মেয়ে-জামাই-নাতনি সবাইকে
নিয়ে রেবাদেবীর সময়টা বেশ ভালোই কাটছে।
সেদিন বেলা দশটা নাগাদ
অসিতবাবুর ফোন আসল। উনি খুব সমস্যায় পড়েছেন। ওনার চশমাখানি নিরুদ্দেশ। ভোরবেলা
বাথরুম যাওয়া অবধিও সেটি ছিল তারপর থেকে সে গায়েব। আরও একটা চশমা আছে কিন্তু
সেটিতে পাওয়ারের সমস্যা আছে। ঝুমা অনেক খুঁজেছে কিন্তু নেই, চশমা কোথাও নেই। মেয়ে এ ব্যাপারে বাবাকে একটুও সাহায্য
করতে পারছে না। আর মেয়ের মা গেছে পাশের ফ্ল্যাটে আড্ডা দিতে। এখানে এসে ওনার আবার
নতুন সই জুটেছে। টুয়াদের প্রতিবেশী কাকিমা আর ওর মায়ের বেশ ভাব হয়েছে। আজ ওরা
লুডো খেলতে বসেছে।
খবরটা শোনার পর থেকে টুয়ার
বাবা রাগে গজরাচ্ছে। একে তো চশমা মিসিং তারপর বৌ আড্ডা মারতে বেরিয়েছে। জানে এ
সময় একটা ফোন আসে তাও... আসলে কপাল, সবই কপাল।
ঘড়িতে তখন প্রায় বারোটা
বাজে। টুয়া মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেছে। জামাই অফিসে। রেবাদেবী লুডো খেলে ঘরে
ঢুকলেন। সর্বনাশ, ফোনে এতগুলো মিসডকল।
উনি আর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ফোন ঘোরালেন এবং পুরো বিষয়টি শুনে বললেন,
-আমি যেমন যেমন বলছি তুমি তেমন তেমন করো, বাথরুমে যাও
-গেছি
-কমোডের উপরের
বড় জানলার দিকে তাকাও
-তাকিয়েছি
-দেখতে পাচ্ছ?
-পাচ্ছি, ওই তো আমার চশমা
তাড়াতাড়ি চশমা চোখে গলিয়ে
কর্তামশাই বললেন,
-আচ্ছা তুমি জানলে কেমন করে? তুমি তো এখন পুনায়।
গিন্নির সোজাসাপটা উত্তর,
-এই নিয়ে কতবার হলো তা কি তুমি জানো। যাহোক চশমা পেয়েছ, এবার স্নান খাওয়া সেরে ঘুমাও। টুয়া বেরিয়েছে আমি
এখন পুজো করব,
রাখছি।
এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর, রেবাদেবী তার নতুন সই এবং আরও কিছু বান্ধবী মিলে ঘুরতে
যাচ্ছে। আসলে টুয়ার এই প্রতিবেশী কাকিমা মানুষটা খুব মিশুকে। অসিতবাবু অবিশ্যি
এসব শুনে বেশ গজগজ করছেন। ওরা প্রায় সাতজন মিলে শিরডি যাচ্ছ। দুদিন থাকবে। মেয়ে-জামাই ওনাদের যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে দিয়েছে।
হই হই করে ইয়াং লেডিস টিম পৌঁছে গেছে তাদের গন্তব্যে। ওরা শিরডি দর্শন করে
আশপাশের সবকটি স্পট ঘুরে ফিরে এসেছে আজ প্রায় দুদিন হলো। অসিতবাবু সেদিন ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে দেখতে পেলেন তার বৌয়ের ছবি যা কিনা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।
সর্বনাশ, বৌ আমার প্যান্টজামা পরেছে। ওমা এটাতে আবার ফ্রক, মাথায় টুপি, চোখে সানগ্লাস, পায়ে নক্সা করা জুতো,
কেমন সব
কায়দা করা ছবি। আসলে বুড়ি বয়সে ছুঁড়ি সাজার শখ হলে যা হয়। আমি বলে কিনা
ইয়ে মানে এখানে একা একা হাঁফিয়ে মরছি আর উনি নতুন বান্ধবীদের সাথে ঘুরে
বেড়াচ্ছেন। ভাবতে ভাবতেই টুয়ার ফোন,
-কী গো বাবা
মাকে দেখলে, পুরো সুইট সিক্সটিন
লাগছে।
বাবা বলল,
-দেখেছি, কাকের ময়ূর সাজার শখ
হয়েছে কিনা। তা ওগুলো বুঝি তোর জামাকাপড়। ছি ছি ছি, একে বলে বুড়োবয়সে ভীমরতি।
টুয়া বলল,
-আচ্ছা বাবা তোমার কি হিংসা হচ্ছে? আর তুমি
ওখানে একা একা ঠিক কী করছ বলো তো? এখানে চলে এসো প্লিজ।
অসিত বাবু সদর্পে ঘোষণা করলেন,
-আমি এখানে
দারুণ আছি। স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছি। তোর মাকে বলে দিস যেখানে ইচ্ছা ঘুরে
বেড়াতে। আমার আবার ওসব ধিঙ্গিপানা একদম সহ্য হয় না। আচ্ছা আমি রাখছি।
কোনো একটা বিষয় নিয়ে আজ
প্রায় দুদিন হলো মা-বাবার আড়ি চলছে। খবরটা অবশ্য সংগ্রহ করেছে নাতনি। টুয়া বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কিন্তু জামাই বাবাজীবন জানে বিষয়টি
অত্যন্ত হাল্কা পাতলা। ওই একটু মান-অভিমানের
পালা চলছে আর সাথে কিছুটা অন্তর্দহন।
সেদিন ছিল রবিবার। সবার ছুটি।
মায়ের হাতের মাংস-ভাত খেয়ে সবাই তখন ঘুমোচ্ছে। হঠাৎ ডোরবেলটা বেজে উঠল। টুয়া
দরজা খুলতেই বাবা হাজির। বাড়ির সবাই তখন আনন্দে আত্মহারা। কাউকে কিছু না জানিয়ে
বাবার এই সারপ্রাইজটা ছিল দুর্দান্ত।
শুধু রেবাদেবী কেন জানি
গালফুলো করে সোফার এক কোণে বসে আছেন। অসিতবাবু হাসি হাসি মুখে তার স্ত্রীর কাছে
গিয়ে একটা শাড়ি প্যাকেট থেকে বের করে বললেন,
-যাও এটা একটু পড়ে এসো। কীসব জামাপ্যান্ট পড়েছিলে, ওসব তোমায় একদম মানায় না। আজ তো তোমার জন্মদিন। তাই চলে
এলাম। আজ এতগুলো বছর ধরে তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছি। আসলে কী জানো-তো স্বাধীনতা উপভোগ করতে আজ এটুকু বুঝলাম তুমি আমার স্ত্রী কম বন্ধু বেশি।
তাই তোমায় ছাড়া আর থাকা গেল না। বিরহের অন্তর্দহন যে কতখানি ভয়ানক তা আমার এই
বুড়ো হাড় অবধি বুঝে গেছে। ঢের হয়েছে ওসব স্বাধীনতা, এবার ঘরে ফিরে চলো দেখি।
আদিত্য টুয়াকে হাল্কা একটা
ধাক্কা দিয়ে বলল,
-ওষুধ কাজ করেছে ম্যাডাম। এই অসুখটার নাম কী জানো? একে বলে দহন, বিরহের বা বিচ্ছেদের
অন্তর্দহন। আসলে দহন তো নানা প্রকারের হয়,
ধরে নাও
এও এক ধরনের দহন।
এরপর বাড়ি শুদ্ধ সবাই একসাথে
বলে উঠল Happy Birthday To You...
অসিতবাবু একগাল হাসি দিয়ে
বললেন,
-ভেবেছিলাম বুড়োবয়সে স্বাধীন হয়ে নগরকীর্তন করব কিন্তু না
একা থেকে বুঝলাম জীবনে পরিবারের চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। তোমাদের সবাইকে নিয়েই তো
আমি সম্পূর্ণ। তাইতো চলে এলাম। তবে এখন অবশ্য আমি কটাদিন একটু যুবক সেজে ঘুরব, ছবি তুলব, ফেসবুকে পোস্ট করব ওই ওনার মতো।
তবে যাওয়ার সময় কিন্তু আমার রেবাবুড়িকে সাথে নিয়ে যাবো। আসলে ওনাকে ছাড়া আমি
অসম্পূর্ণ।
তাহলে কি যাবে তো গিন্নি?
রেবাদেবী একগাল হাসি হেসে
নতুন কনের মতো করে বললেন,
-যাবো গো যাবো। এবার মেয়ে-জামাই-নাতনি
সবাইকে নিয়ে তারপর যাবো। আসল কথাটা কী জানো, তোমাদের সবাইকে নিয়েই তো আমার পরিবার, আমার সুখী গৃহকোণ।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment