বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতাগুচ্ছ/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | এসো স্পর্শ করো
অমিতাভ দাশগুপ্ত
এসো
স্পর্শ করো
ডিভোর্স | কবিতাগুচ্ছ | অমিতাভ দাশগুপ্ত | এসো স্পর্শ করো
অমিতাভ দাশগুপ্ত
এসো।
ছোঁও।
সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা, দ্যাখো।
পাথরের বুক থেকে মাংস নাও,
বলো-আমি প্রত্ন নই
নই অন্ধ, জমাট খনিজ,
বলো সব শেষ নয়,
এখনও আমার কিছু সম্ভাবনা আছে।
টিলার ওপরে হা হা সূর্যাস্ত
দেখার সাধ
মেটেনি কুসুম।
ভুল চাওয়া নিয়ে গেছে ভুল সিন্ধু পারে।
সেখানে মুখোশ পরচুলো
বালির সাদায় ওড়ে দূরতম হাসির মতন,
গাঢ় শোচনার রঙে সন্ধ্যা নামে,
ডেকে ওঠে হাড়গিলে, অসুখী শকুন-
টিলার ওপরে হা হা সূর্যাস্ত দেখার সাধ মেটেনি কুসুম।
দ্যাখো,
কতখানি দীন হয়ে গেছি আশায়
আশায়
কত বেশি পেতে চেয়ে
নিজেকে ভেঙেছি অন্ধ, ভ্রুক্ষেপবিহীন,
ছেঁড়া শিমুলের আঁশে উড়িয়েছি
সর্বস্ব আমার,
'দাও' 'দাও' হাহাকারে
কখন উঠেছে জেগে বৈজুনাথ-
প্রধান চণ্ডাল;
সুনীলে পাতালে এখন
যে দিকে চাও
ব্যথিত প্রশ্নের হাড়, করোটি, কংকাল।
মকরবাহিনী-জলে
পোশাক ভাসিয়ে আজ এসে দাঁড়িয়েছি-
স্পর্শ করো,
অগ্নিতে সঁপেছি স্বাহা, অহংকার,
রাখো, ভাঙো মারো,
তুলনামূলক প্রেমে সারারাত
জেগে থাক
আমাদের কাঠ ও করাত,
আমাকে বাজাও তুমি
বিঠোফেন-বালিকার হাত।
সংগৃহীত; সৌজন্যে জয়িতা বসাক
নই অন্ধ, জমাট খনিজ,
মেটেনি কুসুম।
ভুল চাওয়া নিয়ে গেছে ভুল সিন্ধু পারে।
সেখানে মুখোশ পরচুলো
বালির সাদায় ওড়ে দূরতম হাসির মতন,
টিলার ওপরে হা হা সূর্যাস্ত দেখার সাধ মেটেনি কুসুম।
দ্যাখো,
কত বেশি পেতে চেয়ে
নিজেকে ভেঙেছি অন্ধ, ভ্রুক্ষেপবিহীন,
কখন উঠেছে জেগে বৈজুনাথ-
প্রধান চণ্ডাল;
যে দিকে চাও
ব্যথিত প্রশ্নের হাড়, করোটি, কংকাল।
পোশাক ভাসিয়ে আজ এসে দাঁড়িয়েছি-
স্পর্শ করো,
আমাদের কাঠ ও করাত,
বিঠোফেন-বালিকার হাত।
No comments:
Post a Comment