বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/৬ষ্ঠ/যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা/২১শে আষাঢ়, ১৪৩১
যশোধরা রায়চৌধুরী সংখ্যা | কবিতা
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
আদমসুমারিতে…
আমার শরীরে তখন এক আকাশ ঝড়
এক আকাশ আগুন
আমার শরীরে তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
এক সমুদ্র গরল…
মনে পড়ে আর কেঁপে কেঁপে উঠি
সে সব স্মৃতি
সমস্ত ধুয়ে মুছে গেলেও
এখনও কিছু রয়ে গেছে আদমসুমারিতে যা ধরা পড়ে
এক আকাশ আগুন
আমার শরীরে তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
এক সমুদ্র গরল…
মনে পড়ে আর কেঁপে কেঁপে উঠি
সে সব স্মৃতি
সমস্ত ধুয়ে মুছে গেলেও
এখনও কিছু রয়ে গেছে আদমসুমারিতে যা ধরা পড়ে
প্রেম বলে
কিছু ছিল না তখন
ভালবাসা আবিষ্কার হয়নি
পুরুষ বা রমণী তখনও আ্যমিবা হাইড্রা কিংবা
প্লাটিহেলমিনথেস...
স্বপ্নেও
সেকথা মনে পড়লে এখনো স্নায়ু তরঙ্গ কাঁপতে থাকে, ভেঙে পড়ে সমস্ত কান্নার ট্যাঙ্ক
অশ্রুথলী… পাখিদিবসের গান…
কিছু ছিল না তখন
ভালবাসা আবিষ্কার হয়নি
পুরুষ বা রমণী তখনও আ্যমিবা হাইড্রা কিংবা
প্লাটিহেলমিনথেস...
স্বপ্নেও
সেকথা মনে পড়লে এখনো স্নায়ু তরঙ্গ কাঁপতে থাকে, ভেঙে পড়ে সমস্ত কান্নার ট্যাঙ্ক
অশ্রুথলী… পাখিদিবসের গান…
তখন বাতাসের ঘূর্ণি কখন থেমে গেছে
তখন সিপাহশালার আর পাশা খেলতে ভাল লাগে না, তখন বাইরে কী ভীষণ বৃষ্টি উন্মুক্ত খনিগর্ভ
ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দিগন্ত
বন্ধ সব দোকানের তালা
ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে ঘুমের ভিতরে অসংখ্য ঘুমের চারাগাছ হাতঘড়ি এবং কলম
অথচ মানুষ তখনো ক্রুদ্ধ এবং উদাসীন
তখনো ধূর্ত এবং মোলায়েম
প্রতিপক্ষ নয় কিন্তু আদপে প্রতিপক্ষই ছিলো
আজ সব কথা আগুনের ফুলকি
তখন সিপাহশালার আর পাশা খেলতে ভাল লাগে না, তখন বাইরে কী ভীষণ বৃষ্টি উন্মুক্ত খনিগর্ভ
ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দিগন্ত
বন্ধ সব দোকানের তালা
ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে ঘুমের ভিতরে অসংখ্য ঘুমের চারাগাছ হাতঘড়ি এবং কলম
অথচ মানুষ তখনো ক্রুদ্ধ এবং উদাসীন
তখনো ধূর্ত এবং মোলায়েম
প্রতিপক্ষ নয় কিন্তু আদপে প্রতিপক্ষই ছিলো
আজ সব কথা আগুনের ফুলকি
এখনো সে কথা মনে পড়লে স্নায়ুতন্ত্র কাঁপে
সেই সব স্মৃতি
মুছে গেলেও কিছুটা ধরা আছে আদমসুমারিতে...
সেই সব স্মৃতি
মুছে গেলেও কিছুটা ধরা আছে আদমসুমারিতে...
আকাশপরিরা নেমে আসে শিউলিতলায়
আমি দেখি
কিন্তু সে চোখ আর আছে কি কোথাও?
সে চোখে বিস্ময় কৈশোরের কলতান
শৈশবের গান মৃদু অভিমান...
সেখানে পৌঁছতে আরো কোটি জন্ম
নিয়মসিদ্ধ খেলার সাথী
ফ্রকপরা টানা চোখে মায়াফাঁদ, বকুনি
এখন উধাও...
একদিন আদিম পাথর ভেঙে
নেমেছিলো জল, ঝর্নার কুলুকুলু স্বরে
তখন হাওয়ায় হাওয়ায় পাপড়ির ওঠানামা
নিষিদ্ধ সংকেত...
আমি দেখি
কিন্তু সে চোখ আর আছে কি কোথাও?
সে চোখে বিস্ময় কৈশোরের কলতান
শৈশবের গান মৃদু অভিমান...
সেখানে পৌঁছতে আরো কোটি জন্ম
নিয়মসিদ্ধ খেলার সাথী
ফ্রকপরা টানা চোখে মায়াফাঁদ, বকুনি
এখন উধাও...
একদিন আদিম পাথর ভেঙে
নেমেছিলো জল, ঝর্নার কুলুকুলু স্বরে
তখন হাওয়ায় হাওয়ায় পাপড়ির ওঠানামা
নিষিদ্ধ সংকেত...
জীবন মানে নিষিদ্ধ পল্লী চিৎপুর
মাঝখানে দাঁড়িয়ে এবড়োখেবড়ো সরু পথ
দুপাশে পশরা সাজানো ঝুমঝুমি, লুঠেরা ও খুনি
মাঝখানে দাঁড়িয়ে এবড়োখেবড়ো সরু পথ
দুপাশে পশরা সাজানো ঝুমঝুমি, লুঠেরা ও খুনি
ক্রমে ক্রমে ঘোড়ার খুরের শব্দে
গূঢ় গোপনতা নামে তারপর একদিন
ম্লান হয়ে আসে পরিচিত স্মৃতি
বাস্তব সমীপে...
গূঢ় গোপনতা নামে তারপর একদিন
ম্লান হয়ে আসে পরিচিত স্মৃতি
বাস্তব সমীপে...
শুধু সংলাপ ভেসে যায় কোন সুদূরে
আমি দেখি সেই চোখে
আকাশপরিরা নেমে আসে
শিউলিতলায়...
এভাবেই একদিন সাঙ্গ হয়ে খেলা
তখন কোনো স্বপ্ন নেই, স্বপ্ন নেই বলে হাপিত্যেশ
কোনো স্বপ্ন নেই কিন্তু আমরা তো সকলে মিলে দেখেছি এক লাল নীল রঙিন পৃথিবী
সমাজ বদলের স্বপ্ন
তার কি এখন আর কোনোই দাম নেই, সিপাহশালার...
আমি দেখি সেই চোখে
আকাশপরিরা নেমে আসে
শিউলিতলায়...
এভাবেই একদিন সাঙ্গ হয়ে খেলা
তখন কোনো স্বপ্ন নেই, স্বপ্ন নেই বলে হাপিত্যেশ
কোনো স্বপ্ন নেই কিন্তু আমরা তো সকলে মিলে দেখেছি এক লাল নীল রঙিন পৃথিবী
সমাজ বদলের স্বপ্ন
তার কি এখন আর কোনোই দাম নেই, সিপাহশালার...
No comments:
Post a Comment