প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা ~ ~ ~ নাম নয় মানই বিবেচ্য

শারদ | উৎসবের অঙ্গীকার

  বাতায়ন/শারদ/ সম্পাদকীয় /৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন , ১৪৩২ শারদ | সম্পাদকীয়   উৎসবের অঙ্গীকার "নারীতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে পুরুষতন্ত্...

Monday, September 15, 2025

উপলব্ধি | অশোক কুমার ঠাকুর

বাতায়ন/শারদ/ছোটগল্প/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | ছোটগল্প
অশোক কুমার ঠাকুর
 
উপলব্ধি

"তুমি আমন্ত্রিতআপনজন নও। তোমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দর্শকাসন পূর্ণ করবার জন্যসম্মান জানানোর জন্য নয়। সর্বানন্দ বিমূঢ় আবেশে আরও ক্ষানিকক্ষণ বসিয়া রহিলেন।"


সর্বানন্দ চক্রবর্তী ঠাকুর হোয়াটসঅ্যাপে একটা আমন্ত্রণ পাইয়া 'সাহিত্য বাসর'এ উপস্থিত হইলেন।
আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হইয়াছিল
অতিথি নয়, আসুন আপনজন হয়ে, ভরসা হয়ে।’

সর্বানন্দ চক্রবর্তী ঠাকুরের কিঞ্চিৎ পরিচিতি আছে, পাঠক মহলে ছড়াকার, চিত্রশিল্পী হিসাবে সমধিক পরিচিত হইলেও সাহিত্যের সকল শাখার সকল পথেই তিনি সজোরে দৌড়াইতে পারেন সেই পথ কণ্টকাকীর্ণ, পিচ্ছিল হইলেও পিছাইয়া থাকেন না।


 
সাহিত্য বাসরে উপস্থিত হইয়া শুরু হইতে ঘন্টা দেড়েক চুপচাপ বসিয়া থাকিয়া সর্বানন্দ দেখিলেন, যাহারা উদ্যোক্তা তাহাদের মধ্যেই কেহ সভাপতি, কেহ প্রধান, কেহ বিশেষ এবং কেহ বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি। যাহারা সংস্থার সদস্যের প্রতিনিধি, কার্যকর্তা, কর্মী কেবলমাত্র তাহারাই গায়ক, নায়ক, বক্তা, কবি, বাচিক শিল্পী। তাহারাই মঞ্চে উঠিয়া নাচিবে গাহিবে কবিতা পড়িবে বক্তব্য রাখিয়া মঞ্চ কম্পিত করিবে। কেবলমাত্র তাহারাই অনুষ্ঠান শেষ হইলে ফুলের গোছা ও মিষ্টির প্যাকেট লইয়া বাড়ি ফিরিয়া যাইবে। সর্বানন্দের মঞ্চে উঠিবার বা পুষ্প মিষ্টি পাইবার কোন অধিকার নাই। এই অবধি উদ্যোক্তাদের কেহ আসিয়া সর্বানন্দের খোঁজ লয় নাই। সর্বানন্দের মনে হইতেছিল,  হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ পাইয়াছিল বটে, এখন তাহার দশা অনাহূত অতিথি অপেক্ষা নিম্নতর।
 
হঠাৎ মনে হইল কেহ যেন আলতো করিয়া তাহার কাঁধে স্পর্শ করিয়াছে। পিছন ফিরিয়া দেখে কেহ নাই। তখনই এক ঐশ্বরিক সুমধুর কন্ঠস্বর ফিফি করিয়া সর্বানন্দের কানে কানে কহিল,
-তুমি আমন্ত্রিত, আপনজন নও। তোমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দর্শকাসন পূর্ণ করবার জন্য, সম্মান জানানোর জন্য নয়।
সর্বানন্দ বিমূঢ় আবেশে আরও ক্ষানিকক্ষণ বসিয়া রহিলেন।
 
সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment

'ও মন তরে কে-বা পার করে...'


Popular Top 9 (Last 30 days)