বাতায়ন/শারদ/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | গল্পাণু
ওমকার দাস
মহাকাশ
থেকে দূরে
"বৃহস্পতির মেঘের মধ্যে থেকে কী একটা যেন আমাদের রকেটটাকে কামড়ে ধরল। ক্যামেরায় দেখতে পেলাম কেমন একটা অক্টোপাসের মতো প্রাণী আমাদের রকেটটা আটকে ধরেছে। একটা বেগুনি রংয়ের ধোঁয়া আমাদের কেবিনটায় ভরে গেল।"
আমি ওম আর আমার ভাই সিবি। আমরা রকেটে করে প্লুটোগ্রহের দিকে যাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম পৃথিবী থেকে কিছু শ্যাওলা ওদের মাটিতে ছড়িয়ে দেখব, সেখানে জীবন বেঁচে থাকে কি না?
আমরা বোতলের ভিতরে অনেক রকমের
শ্যাওলা নিয়েছিলাম। সবে চাঁদটা পিছনে ফেলে মঙ্গলের দিকে যাচ্ছি, এমন সময়ে একটা বিরাট ধূমকেতু জানালার পাশ দিয়ে উড়ে
গেল।
মঙ্গলের পরে গ্রহাণুপুঞ্জের
পাহাড় এসে পড়ল। রকেটের সামনে বড় বড় পাথর উড়ে আসতে লাগল। বহু কষ্টে রকেটটাকে
পাশ কাটিয়ে এগোচ্ছি, তখনই একটা ভারি উল্কা রকেটের ডানায় লাগল। প্রচণ্ড আঘাতে রকেটটা দিক হারিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের বিশাল মেঘের মধ্যে ঢুকে পড়ল।
আমি আর ভাই তো ভয়ে আঁতকে
উঠলাম। কারণ বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষণ বল অনেক বেশি। আমাদের রকেটে অত জ্বালানি নেই যে বৃহস্পতিকে ছাড়িয়ে প্লুটোর দিকে ছুটে যাব।
এমন সময় বৃহস্পতির মেঘের মধ্যে থেকে কী একটা যেন আমাদের রকেটটাকে কামড়ে ধরল। ক্যামেরায় দেখতে পেলাম কেমন একটা
অক্টোপাসের মতো প্রাণী আমাদের রকেটটা আটকে ধরেছে। একটা বেগুনি রংয়ের ধোঁয়া আমাদের কেবিনটায় ভরে গেল। তাতে আমি আর ভাই জ্ঞান হারালাম।
সমাপ্ত
Nice
ReplyDeleteখুব চমৎকার লেখা ।আরো লেখা তোমার কলম থেকে বেরিয়ে আসুক।
ReplyDeleteখুব চমৎকার লেখা ।আরো লেখা তোমার কলম থেকে বেরিয়ে আসুক।
ReplyDelete