বাতায়ন/শারদ/কবিতা/৩য় বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১লা আশ্বিন, ১৪৩২
শারদ | কবিতা
শক্তিপদ পাঠক
পুজো এলে নিধু বামুনের ঘরে
সাজো সাজো রব ওঠে।
টিনের তোরঙ্গে রাখা
রঙচটা গরদের ধুতি তারে ঝুলে রোদ খায়।
তেলচিটে নামাবলি সাবানের মুখ দেখে।
নিত্যদিন অভাবের সংসারে আসে আগমনি সুর।
ধোঁয়ার কাজল চোখে বামুনের বউ
ফুঁকনলে ফুঁ দিয়ে উনুন জ্বালায়।
আতপান্ন, পাতলা ডালের ঝোল,
বড়ি দেওয়া শাকভাজা খেয়ে সুখের
ঢেঁকুর ওঠে।
মাঠে মাঠে কাশফুল আগত সুখের মতো হাসে।
সাদা মেঘ ভিনদেশ থেকে
পুজোর বায়না নিয়ে হাতে দেয়।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আলো, মাইকের গান,
কুমোরপাড়ার থেকে ট্রাকে চড়ে
মুখ ঢেকে
সুদৃশ্য ডাকের সাজে সজ্জিত প্রতিমা আসে।
মণ্ডপে শোভিতা হন জগজ্জননী।
নিধুর দু কানে বাজে ঢাকের মধুর বোল,
কাঁপাকাঁপা মন্ত্রপাঠ, আরতিপ্রদীপ নাচে হাতে।
ভাসানের পর কিঞ্চিৎ দক্ষিণা আর
চাল আলু ফলমূল কাপড়ের খুঁটে বেঁধে বাড়ি ফেরে।
দেখে, দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে একগাল হাসি।
দিনকয় ঘরময় আলো জ্বলে,
তারপর আবার আঁধার।
শারদ | কবিতা
শক্তিপদ পাঠক
আনন্দময়ী
সাজো সাজো রব ওঠে।
টিনের তোরঙ্গে রাখা
রঙচটা গরদের ধুতি তারে ঝুলে রোদ খায়।
তেলচিটে নামাবলি সাবানের মুখ দেখে।
নিত্যদিন অভাবের সংসারে আসে আগমনি সুর।
ধোঁয়ার কাজল চোখে বামুনের বউ
ফুঁকনলে ফুঁ দিয়ে উনুন জ্বালায়।
আতপান্ন, পাতলা ডালের ঝোল,
মাঠে মাঠে কাশফুল আগত সুখের মতো হাসে।
সাদা মেঘ ভিনদেশ থেকে
পুজোর বায়না নিয়ে হাতে দেয়।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে আলো, মাইকের গান,
সুদৃশ্য ডাকের সাজে সজ্জিত প্রতিমা আসে।
মণ্ডপে শোভিতা হন জগজ্জননী।
নিধুর দু কানে বাজে ঢাকের মধুর বোল,
ভাসানের পর কিঞ্চিৎ দক্ষিণা আর
চাল আলু ফলমূল কাপড়ের খুঁটে বেঁধে বাড়ি ফেরে।
দেখে, দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে একগাল হাসি।
দিনকয় ঘরময় আলো জ্বলে,
সুন্দর একটা ছবি যেন!
ReplyDeleteপত্রিকার সমৃদ্ধি কামনা করি।
ReplyDelete