প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা ~ ~ ~ নাম নয় মানই বিবেচ্য

তৈমুর খান সংখ্যা | মগজ ও অঙ্গ

বাতায়ন/ তৈমুর খান সংখ্যা/ সম্পাদকীয় /৩য় বর্ষ/ ৩২তম সংখ্যা/১১ই অগ্রহায়ণ , ১৪৩২ তৈমুর খান সংখ্যা | সম্পাদকীয়   মগজ ও অঙ্গ "অপরিসীম মেধ...

Tuesday, November 25, 2025

ভেঙে গেলে চৈতন্যের হাট... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/তৈমুর খান সংখ্যা/কবিতা/৩য় বর্ষ/৩তম সংখ্যা/১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
তৈমুর খান সংখ্যা | কবিতা
রতনলাল আচার্য্য
 
ভেঙে গেলে চৈতন্যের হাট...
 
সাজানোই ছিল গোটা অবয়ব। নগর পত্তনের আগে আমাদের এই গাঁ-গেরামে যেমন করে সন্ধ্যা নামত। তার আদলেই আজও সূর্য ওঠে। মধ্যাহ্নের উষ্ণতায় তিতিয়ে ওঠে পাঁজর মজ্জা রক্ত। সেন বাড়ির আভিজাত্য নিয়ে আজকাল আর জমে ওঠে না দীর্ঘ রসালাপ। চায়ের দোকানের সব বেঞ্চিই এখন জনশূন্য।
 
মধুলোভী ভ্রমরেরা এখন ভুলে গেছে চিরাচরিত মধুর গন্ধ। বিষয় বিষের পেছনে ছুটে চলা পতঙ্গেরা দলে দলে আত্মাহুতি দিচ্ছে যে যার মতো। হিসেব করে পা ফেলা মানুষের এখন বড়ই আকাল। বয়সি সূর্যটা এখন মুখ লুকিয়ে চেয়ে দেখে পৃথিবীর আলামত। আসমান জমিনের শুদ্ধ প্রেমটা কেড়ে নিয়েছে অতিকায় যন্ত্রদানব।
 
এই মাঝবয়সে এসেও কাটিয়ে উঠতে পারিনি পিতৃদোষের করালগ্রাস। আর বাস্তুশাস্ত্রের শাশ্বত নিয়ম তো কবেই গেছি ভুলে। অনিয়মকে নিয়ম বানিয়েই মালা পরাই সময়ের গলায়। চিত্ত শান্ত করার মোক্ষম পাচন এখন আর বানান না পিতাম্বর কবিরাজ। মনের কোণে মেঘ জমলে এখনও ভুল করে সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে ভাসিয়ে দিই সুরমার জলে।
 
জীবন দেবতার প্রচ্ছন্ন ইশারা বুঝতে পারিনা এখনও। চর্মচক্ষের কার্পণ্য দোষ কাটিয়ে উঠতে পারলাম কই। অজান্তেই এখনও ব্রাহ্মমুহূর্তে করে ফেলি চরম ভুল। প্রকাশের দেবতার চোখকে ফাঁকি দিয়ে জ্বালিয়ে যাই দোজখের আগুন। পরিণাম কথাটার অর্থ যেন ভুলে গেছি একেবারেই...
 

No comments:

Post a Comment

'ও মন তরে কে-বা পার করে...'


Popular Top 9 (Last 7 days)