বাতায়ন/রম্যরচনা/৩য় বর্ষ/৩৩তম সংখ্যা/১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
রম্যরচনা
প্রদীপ
কুমার দে
রসের
জুটি
ধারাবাহিক— ছয়
"আরে সবে তো মাত্র তিনমাস। বাচ্চা হলেও তো আরও এখনও আটমাস বাকি যে? আর সে নিয়ে তোর এটা ভাবার কী যে তুই তোর সংসার ভাসিয়ে দিলি?"
আদর তার বাপের কাছে এসেছে।
শাশুড়িমা তাকে বকেছে খানিকটা রাগ করে কারণ উজবুক তার স্বামী তাকে পেয়ে ব্যবসাটাকে
লাটে তুলে দিচ্ছে। শাশুড়িমায়ের তো রাগ হবেই,
কোনও দোষের কিছু
নেই। কিন্তু শাশুড়িমা তার কথাটাই শুনলেন না। আদর হ্যাবলার উপর রাগ দেখিয়ে ফিরে
এসেছে। শাশুড়ির কথায় নয়। তার উপর আদরের মায়ের কথাটাও তো ভেবে দেখতে হবে নাকি? তার যে আর দ্বিতীয় কেউ নেই যে এইসময়ে কেউ পাশে এসে দাঁড়াবে!
মা কিন্তু বেজায় অখুশি।
-এটা তুই কী করলি? বিয়ে হয়েছে মাত্র পাঁচদিন আর তুই কিনা হুট্ করে চলে এলি?
-রাগ হয়েছে ঠিকই,
ওইযে
আমাকে ভেড়ি বলে গালি দিল না, তাই?
মা শুনতে চায় না এই অজুহাত,
-তাই বলে শাশুড়িমায়ের উপর এত রাগ?
আদরও ছাড়তে নারাজ,
-আর ওই যে তিনমাসের কেস?
-আরে সবে তো মাত্র তিনমাস। বাচ্চা হলেও তো আরও এখনও আটমাস
বাকি যে? আর সে নিয়ে তোর এটা ভাবার কী যে তুই তোর
সংসার ভাসিয়ে দিলি?
আদর চুপ। হন্তদন্ত হয়ে মাসি
বাড়ি ঢুকেই চিৎকার,
-দিয়েছি শাশুড়িমাকে মানে হ্যাবলার মাকে একটা ধমক, আহা ভেড়ি বলবে?
আর
আমাদের যে তিনমাসের কেস।
আদর লাফিয়ে ওঠে,
-এমা ছি ছি, তুমি আবার তিনমাসের
গল্প কী বললে?
-একেবারে ঝেড়ে দিয়েছি আমাদের ঘরে যে তিনমাসের কেস? তোর ওই মা শুনে কী কান্না?
আদর হতভম্ব।
-মা কেঁদে ফেলল?
-হ্যাঁ কাঁদবেই তো! গর্ভবতীকে কাঁদালে যে?
আদর দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। মা কী বুঝল কে
জানে। উলটোসিধা কুছ ভি হো সাক্তা হ্যায়। আদরের মাথা অন্যদিকে চলে
গেছে। অজানা আশংঙ্কা তাকে ভয় দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে গোড়ায় গণ্ডগোল হয়ে
গেছে। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে হয়ে গেছে।
ক্রমশ
No comments:
Post a Comment