বাতায়ন/গদ্য/বর্ষা/১ম বর্ষ/১৫তম সংখ্যা/১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩০
গদ্য / বর্ষা
পিয়াংকী
আত্মহত্যা এবং একটি সঠিক বর্ষাকাল
অভিজ্ঞতা থেকে বৃষ্টি ঝরছে। জুলজুল চোখে তাকিয়ে আছে যে ছেলেটি সে সাঁতার জানে না। দরকার পড়েনি বলেই হয়তো সে নিস্পৃহ ঢেউ হয়ে ছুঁয়ে আছে আরব সাগরের জল। জল কী আদৌ কাউকে ছোঁয়? নাকি সে নিজেই ভিজে একসা হয়ে বসে থাকে চূড়ান্ত খুনির মতো।
শ্রাবণ আসে বঙ্গাব্দ মেনে, আষাঢ় রেখে যায় জলীয় বাষ্প। নিঃশ্বাস থেকে হাহাকার সরে গেলে পড়ে থাকে যা-কিছু সে-সবই প্রাচীন পদ্ম। ঘোর লেগে আসছে ক্রমশ। পানবনে মুষলধারে বৃষ্টি। এত ব্যর্থতা নিয়ে হাঁটতে গেলে তো খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘাড় কুঁজো হয় তবুও কী ঋজু রাখা উচিত গর্দান? লক্ষাধিক প্রশ্ন। কিলবিল করে, মাথা তো নয় যেন মাছের বাজার। শিল কুড়িয়ে তুলি, সেই জলে মাছের ঝোলের স্বাদ খোলে আরও। তুমি পিঁড়ি পেতে নাও মাটির কাছাকাছি, শালুকপাতায় মোটা-চালের ভাত দিই বেড়ে। কচুপাতায় এখন অথৈ বর্ষা, ডাকাতের মতো কেটে কুচিয়ে ফেলি নিমেষে। টালির ঢালু চাল বেয়ে নামে টুপটাপ ফোঁটা। ডোবায় উপচে পড়ে জল আর হাত-জালে কুচো চিংড়ি। চুলার আগুনে রেকাবি রেখে ভর্তা করতে করতে ভোর হয়ে আসে। গরম ভাতে অজান্তেই ঢুকে যায় শীত ঋতু। তুমি অপেক্ষা করো -- দীর্ঘ অপেক্ষা
অবসর -- বিরতি --
অ্যাকিউরেট টাইম মনে না থাকলেও হলফ করে বলতে পারি, তুমি সেই দিনই কিনে দিয়েছিলে রঙিন পোশাক। তারপর থেকে প্রতিদিন আমি নিয়ম করে বর্ষায় ভুগছি, ভিজছিও...
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment