নতুন ঠিকানা
একদিন অফিস থেকে এসে জানতে পারলেন টিকলুর মা অসুস্থ। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেই থেকে অনাথ টিকলুকে আগলে রেখেছিলেন তার কত্তামা। ঠিক যেন পুরাতন ভৃত্য তফাত শুধু টিকলুর এ বাড়িতে অবাধ বিচরণ।
অতিমারিতে পদ্মাদেবী চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার অনাথ হল টিকলু। কর্তাবাবার দেখাশোনার দায়িত্ব এখন তার ওপর।
সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছেলে-বৌমা-নাতি দোতলা থেকে নামেনি। বিধ্বস্ত রামতনু বারান্দার চেয়ারে, পাশের চেয়ার খালি। পরদিন রামতনুবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স এল। ছেলে বারান্দা থেকে জানতে চাইল ফিক্সড ডিপোজিটের ব্যপারে, পরদিন রামতনুবাবুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডাক্তার জানালেন কোনো মারণরোগ তাঁর শরীরে বাসা বাধেনি।
কিন্তু মনে যে রোগ ভয়ানক! নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে… রামতনুবাবু বাইরে এসে দেখেন টিকলু—
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment