প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা~ নাম নয় মানই বিবেচ্য

যেতে হলে চলে যাও | জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

বাতায়ন /কবিতা /৩য় বর্ষ/১ ৪ তম/মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা / ২৩শে শ্রাবণ , ১৪৩২ মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | কবিতা জয়িতা চট্টোপাধ্যায়   যেতে ...

Thursday, October 26, 2023

নতুন ঠিকানা | বনশ্রী রায় দাস

বাতায়ন/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/২৩তম সংখ্যা/১০ই কার্তিক, ১৪৩০

ছোটগল্প
বনশ্রী রায় দাস

নতুন ঠিকানা


জ্বর গলা খুশখুশ, নিজের ঘরেই বন্দি আছেন বিপত্নীক রামতনুবাবু। এখন একমাত্র সহায় টিকলু ছোটবেলা থেকেই এ বাড়িতে। টিকলুর মা এ বাড়িতে কাজ করত, তখন পদ্মাদেবীর সংসারে দুই মেয়ে, এক ছেলে স্কুলে পড়ে। এদিকে রামতনুবাবুর টাইমে অফিসের ভাত… একা হাতে হিমসিম খেতে হয়, তাই রামতনুবাবু জোর করে তাঁর স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য টিকলুর মা’কে নিযুক্ত করলেন।

বাপ-মা-হারা দুঃখিনী মেয়ে মোদো-মাতাল স্বামী নিরুদ্দেশ। শান্ত স্বভাব কর্মে যত্নশীলতার কারণে পদ্মাদেবীর মন জিতে নিল। তার দু’ বছরের ছেলে টিকলুকে প্রতিবেশীর কাছে রেখে আসে শুনে পদ্মাদেবী বললেন শিশু কখনো মা ছাড়া যত্ন পায়? ওকে সঙ্গে নিয়ে এসো। শুনে বিরক্তি বোধ করলেন রামতনুবাবু। উদ্বিগ্ন হলেন নিজের ছেলের পাছে পড়াশোনার গাফিলতি হয়।

একদিন অফিস থেকে এসে জানতে পারলেন টিকলুর মা অসুস্থ। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেই থেকে অনাথ টিকলুকে আগলে রেখেছিলেন তার কত্তামা। ঠিক যেন পুরাতন ভৃত্য তফাত শুধু টিকলুর এ বাড়িতে অবাধ বিচরণ।

অতিমারিতে পদ্মাদেবী চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার অনাথ হল টিকলু। কর্তাবাবার দেখাশোনার দায়িত্ব এখন তার ওপর।

সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছেলে-বৌমা-নাতি দোতলা থেকে নামেনি। বিধ্বস্ত রামতনু বারান্দার চেয়ারে, পাশের চেয়ার খালি। পরদিন রামতনুবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স এল। ছেলে বারান্দা থেকে জানতে চাইল ফিক্সড ডিপোজিটের ব্যপারে, পরদিন রামতনুবাবুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডাক্তার জানালেন কোনো মারণরোগ তাঁর শরীরে বাসা বাধেনি।

কিন্তু মনে যে রোগ ভয়ানক! নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে… রামতনুবাবু বাইরে এসে দেখেন টিকলু—

সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment

অবকাশ—


Popular Top 10 (Last 7 days)