প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

ওয়েটিং লিস্টে আছি... | রতনলাল আচার্য্য

বাতায়ন/মাসিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২৩শে কার্ত্তিক , ১৪৩১ চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | কবিতা রতনলাল আচার্য্য ওয়েটিং লিস্টে আছি ....

Thursday, October 26, 2023

সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দর মুখ/ছবি, সাহিত্যে তার প্রভাব | ভাবধারায় সাহিত্য | কেতকী বসু

বাতায়ন/অন্য চোখে/১ম বর্ষ/২৩তম সংখ্যা/১০ই কার্তিক, ১৪৩০

অন্য চোখে
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দর মুখ/ছবি, সাহিত্যে তার প্রভাব
কেতকী বসু

ভাবধারায় সাহিত্য


প্রতিফলন আর প্রতিরূপে অসামঞ্জস্যতা মূলত সাহিত্যের পরিপন্থী। সৌন্দর্যের ভিতর আর এক সৌন্দর্য পাঠকের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মানুষের ব্যস্ততার যুগে খুব কম সময়ের মধ্যে সত্যিকারের পাঠক খুঁজে পেতে চান লেখার সৌন্দর্যকে। লেখার মধ্যে আকৃষ্ট থেকে মুক্তির স্বাদ খুঁজে পান সাময়িক সময়ে। সেখানে কিছুটা বিভ্রান্তি ঘটে এবং কু-রুচির পরিচয় মেলে কিছু কিছু ছবির মধ্যে। সেখানে যতই ভাল লেখা থাক, ওই ছবিতেই আবদ্ধ হয়ে লেখায় দৃষ্টি আকর্ষিত হয় না পাঠকের, মুগ্ধ পাঠক তখন দর্শকে পরিণত হন। এবং সেখানেই সাহিত্যের অপমান। এবং তার পর স্বাভাবিক ভাবে মতামত আসে নির্বিকারে। লেখার মান এখানে বিবেচিত হয় না। সাহিত্যকে তুচ্ছ করে ছবিকে প্রাধান্য দেওয়াতে লজ্জা সমস্ত কবি এবং সাহিত্যিকদের।

নাটকে যেমন পরিপাটি সাজের মধ্যে দিয়ে সংলাপ পরিস্ফুট হয় সেখানে দর্শক মুগ্ধ হন দু’দিক দিয়েই। কিন্তু একজন কবি বা লেখক কখনোই তার রূপ দিয়ে তার লেখাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন না বা করা উচিৎ নয়, এখানেও সাহিত্যের চরম অপমান করা হয়।

একজন নারী বা পুরুষ তার ছবি দিয়ে লেখাকে উজ্জ্বল ও দৃষ্টি আকর্ষিত করার তাগিদে ভাল লেখাকে অসম্মান করেন। মতামত আসে মাইলেজও বাড়ে সে শুধুই ছবির মুগ্ধতায়। লেখার মান এখানে নিম্নগামী হয়ে পড়ে। সমস্ত লেখার মধ্যে আকৃষ্ট হওয়ার ইচ্ছা বা সুযোগ দুটোই কমে আসে পাঠকের কাছে। পরিণত লেখা একজন পাঠকের কাছে কবির প্রত্যাশা থাকে, যথার্থ মতামতের ওপর।

বিতর্ক হোক লেখা নিয়ে। সামঞ্জস্যপূর্ণ লেখায় মন্তব্য থাকুক পাঠকের। লেখা পড়ে মতামত যতই তীক্ষ্ণ হোক সেখানে কবি বা লেখকের অনেক বেশি প্রাপ্তি এবং সাহিত্য মর্যাদা পায়। কিন্তু ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে লেখার প্রতি তাচ্ছিল্য সেখানে সাহিত্যকে তুচ্ছ ও অপমানিত করা হয়। বড় বড় সাহিত্যিক-কবি তাঁরা কিন্তু তাদের ছবি দিয়ে পাতা ভর্তি করেননি।

ইন্টারনেটের যুগে মানুষ দ্রুত এগোচ্ছে সাহিত্যের ধারাও বদল হয়েছে। কিন্তু পাঠককুল এখনও গল্প কবিতা পড়েন এবং শোনেন। সেখানে ব্যক্তিগত ছবির সাথে যে কোনো লেখা থাকলে পড়ার ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা আশাবাদী এই ভুল একদিন ভাঙবে, ৫০০ লাইকের থেকে ৫ জন পাঠক যদি ছবি ছাড়া পড়ে আনন্দ ও উৎসাহ পান তাহলে সেটাই হবে পরম পাওয়া। সাহিত্য আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িত। আমরা কেউ পাঠক, কেউ কবি। চরম দুর্দিনেও সাহিত্য আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় উন্নত চিন্তা ও চেতনায়।

সাহিত্যের জয় হোক।

সমাপ্ত

2 comments:

  1. মুক্ত চিন্তার ফসল।

    ReplyDelete

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)