ভাবধারায় সাহিত্য
একজন নারী বা পুরুষ তার ছবি দিয়ে লেখাকে উজ্জ্বল ও দৃষ্টি আকর্ষিত করার তাগিদে ভাল লেখাকে অসম্মান করেন। মতামত আসে মাইলেজও বাড়ে সে শুধুই ছবির মুগ্ধতায়। লেখার মান এখানে নিম্নগামী হয়ে পড়ে। সমস্ত লেখার মধ্যে আকৃষ্ট হওয়ার ইচ্ছা বা সুযোগ দুটোই কমে আসে পাঠকের কাছে। পরিণত লেখা একজন পাঠকের কাছে কবির প্রত্যাশা থাকে, যথার্থ মতামতের ওপর।
বিতর্ক হোক লেখা নিয়ে। সামঞ্জস্যপূর্ণ লেখায় মন্তব্য থাকুক পাঠকের। লেখা পড়ে মতামত যতই তীক্ষ্ণ হোক সেখানে কবি বা লেখকের অনেক বেশি প্রাপ্তি এবং সাহিত্য মর্যাদা পায়। কিন্তু ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে লেখার প্রতি তাচ্ছিল্য সেখানে সাহিত্যকে তুচ্ছ ও অপমানিত করা হয়। বড় বড় সাহিত্যিক-কবি তাঁরা কিন্তু তাদের ছবি দিয়ে পাতা ভর্তি করেননি।
ইন্টারনেটের যুগে মানুষ দ্রুত এগোচ্ছে সাহিত্যের ধারাও বদল হয়েছে। কিন্তু পাঠককুল এখনও গল্প কবিতা পড়েন এবং শোনেন। সেখানে ব্যক্তিগত ছবির সাথে যে কোনো লেখা থাকলে পড়ার ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা আশাবাদী এই ভুল একদিন ভাঙবে, ৫০০ লাইকের থেকে ৫ জন পাঠক যদি ছবি ছাড়া পড়ে আনন্দ ও উৎসাহ পান তাহলে সেটাই হবে পরম পাওয়া। সাহিত্য আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িত। আমরা কেউ পাঠক, কেউ কবি। চরম দুর্দিনেও সাহিত্য আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় উন্নত চিন্তা ও চেতনায়।
সাহিত্যের জয় হোক।
সমাপ্ত
মুক্ত চিন্তার ফসল।
ReplyDeleteভালো বিশ্লেষণ
ReplyDelete