বাতায়ন/শারদ/কবিতা/১ম বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০
শারদ | কবিতা
নীলাঞ্জনা মল্লিক
বেপরোয়া
কবিরা ছন্দ খোঁজে
কবিরা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে ঐশ্বরিক দীপ্তি নিয়ে শব্দের চামড়ায় লেপে দেয়
কবিরা অন্তমিলে নিঃশ্বাস নেয়
এদিকে আমার তো-
চুপ দিয়ে গেঁথে নেওয়া কথা
চোখ দিয়ে মেপে নেওয়া ঘর
স্রোত দিয়ে ঢেকে নেওয়া ব্যথা
নাম দিয়ে বাঁধা চরাচর
- তারপর?
- কবিদের ঘর থেকে ভেসে আসে চন্দন গন্ধ। সে পর্বতমালা ছুঁয়ে, সমুদ্র ছুঁয়ে, তিনবাড়ি পরেই সদ্য ভেঙে খানখান প্রেম ছুঁয়ে, বেশ্যাপাড়ার পচা আস্তাকুঁড়ের বিষন্নতা ছুঁয়ে, ক্লান্ত ফেরিওয়ালার দু'দণ্ড অবকাশ ছুঁয়ে—
শেষমেশ
আমার নুইয়ে পড়া মনের ওপর এসে গা এলিয়ে দেয়।
- তখন তুমি কী করো?
- আমার দুই গালে তখন অহংকারের রক্তিম আভা! যেন কোনও এক গভীর গোপন ভালবাসা রয়েছে কোথাও…
আমি তিরস্কারের রুক্ষপথেও নির্দ্বিধায় এলোমেলো পা ফেলি! যেন হোঁচট খাওয়ার আগেই কেউ দৌড়ে এসে আগলে নেবে উষ্ণ বুকে!
আমার আছে গল্পবোঝাই ফুলের বন
বনের আছে মনখারাপের অসন্তোষ
অসন্তোষের একটি আছে মন্দ মন
মন্দ মনের ভরসা শুধুই সঙ্গদোষ
- কার সঙ্গ?
- কার আবার? কবিসঙ্গ? তাতে ভর করেই অনায়াসে ঘুরে বেড়াই নিন্দুকের অলিগলি। ওরা আলো জ্বালে… আমি বেপরোয়া হয়ে যাই। মরি। আবার বাঁচি।
চুপ দিয়ে গেঁথে নেওয়া কথা
চোখ দিয়ে মেপে নেওয়া ঘর
স্রোত দিয়ে ঢেকে নেওয়া ব্যথা
নাম দিয়ে বাঁধা চরাচর
আমার নুইয়ে পড়া মনের ওপর এসে গা এলিয়ে দেয়।
বনের আছে মনখারাপের অসন্তোষ
অসন্তোষের একটি আছে মন্দ মন
মন্দ মনের ভরসা শুধুই সঙ্গদোষ
Vison valo ekta lekha porlam.
ReplyDeleteKhoob bhalo kobita
ReplyDeleteVison valo lekha
ReplyDeleteNilu di osadharon.ei lekhar ghor kate somoy lagbe .chalie jao
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো নীলাঞ্জনা
ReplyDeleteখুব বাস্তব লেখা। ভালো লাগলো। 💗
ReplyDelete