প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

দেবীর বিসর্জন | বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ

বাতায়ন/মাসিক/কবিতা/২য় বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২৩শে কার্ত্তিক , ১৪৩১ চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | কবিতা বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ দেবীর বিসর্জন তুমি ...

Saturday, October 7, 2023

শারদ | প্রাপ্তবয়স্ক বালকের চোখে | পিয়াংকী

বাতায়ন/শারদ/গদ্য/১ম বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০

শারদ | গদ্য
পিয়াংকী

প্রাপ্তবয়স্ক বালকের চোখে


এই যে প্রতিদিন ভোররাতে অন্ধ হয়ে যাবার কৌশল, এই যে দীর্ঘ অবসরের পর আবারও খানিকটা অবসর তৈরির প্রচেষ্টা, এই যে অগুনতি চলচ্চিত্র ভেঙে আঙুরবাগান বানানোর বৃথা প্রয়াস... তাকে কি বৃষ্টি বলে ডাকতে পারি এই অসহিষ্ণু দুপুরে? সম্ভ্রম সারিয়ে তাকেই কী দিতে পারি দাফন করার অজুহাত? মার্গপথ মোহিনীবিদ্যা কিংবা কালপুরুষক্রিয়া...

শস্যদানা দান করা প্রাচীন প্রথা। এর পাশেই দু'এক গাছি ধানশিষ ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে যে অবোধ বালক তার পিঠের ওপর একটা আস্ত জুঁইগাছ। যতদূর চোখ যায় ছেলেটি পথের ওপর ছিটিয়ে দিচ্ছে ওর হাতের জল। বুক থেকে মাটি খুঁড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে রজনীগন্ধার বনে। তারপর আরও খানিক এগিয়ে যাচ্ছে এঁকেবেঁকে।

গমক্ষেতের পাশেই ছাতিম গাছের ছায়া। আর তার কাছাকাছি একটা উত্তাল নদী, নদীর আড়ালে থাকা একফালি চাঁদ যখন ছায়ার থেকে শিক্ষা নেয় সংখ্যাতত্ত্বের তখন চুপ করে বসে আমি দেখি কীভাবে সেই বালকটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠছে। পদক্ষেপ গুনতে গুনতে মায়েরা বলেন সময় নাকি স্রোতের মতো। স্রোত একটানে সবকিছু কেড়ে নেয় আর পরের পর্যায়ে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে সুদাসলে ফেরৎ দিয়ে যায় সবটা। ঠিক এইটুকু কারণেই আমি সময়কে অহংকারী বলেছি বুক চিতিয়ে। মা বারণ করেছেন অনেক।

পোড়া বেলের সরবতে সামান্য লেবুর রস মেশানোর সাথে সাথেই যেভাবে গিরগিটি হাবুডুবু খায়, মুখোশ উল্টে বসে থাকে জনতা, যেভাবে হাতের আঙুলের উচ্চতা মাপবে বলে ছোট বড় ব্যানার টাঙাতে বলে সাদা পোশাক পরা মানুষজন, যেভাবে রামধনু দেখলে কন্যারাশির জাতিকা বলে ওঠে "আমার মরণ কেন হয় না…"

এসবের পরও কী আপনি ওই বালকের চোখে চোখ রেখে বলতে পারবেন, "আমি প্রাপ্তবয়স্ক হবার দিন দু’টো জুঁইফুল দিয়ো। তোমার বুকে যে গাছ আপনমনে বেড়ে উঠেছে তার থেকে পাতা ছিঁড়ে সাজিয়ে দিয়ো উপশমের ঘটিবাটি"


সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)