প্রাপ্তবয়স্ক বালকের চোখে
গমক্ষেতের পাশেই ছাতিম গাছের ছায়া। আর তার কাছাকাছি একটা উত্তাল নদী, নদীর আড়ালে থাকা একফালি চাঁদ যখন ছায়ার থেকে শিক্ষা নেয় সংখ্যাতত্ত্বের তখন চুপ করে বসে আমি দেখি কীভাবে সেই বালকটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠছে। পদক্ষেপ গুনতে গুনতে মায়েরা বলেন সময় নাকি স্রোতের মতো। স্রোত একটানে সবকিছু কেড়ে নেয় আর পরের পর্যায়ে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে সুদাসলে ফেরৎ দিয়ে যায় সবটা। ঠিক এইটুকু কারণেই আমি সময়কে অহংকারী বলেছি বুক চিতিয়ে। মা বারণ করেছেন অনেক।
পোড়া বেলের সরবতে সামান্য লেবুর রস মেশানোর সাথে সাথেই যেভাবে গিরগিটি হাবুডুবু খায়, মুখোশ উল্টে বসে থাকে জনতা, যেভাবে হাতের আঙুলের উচ্চতা মাপবে বলে ছোট বড় ব্যানার টাঙাতে বলে সাদা পোশাক পরা মানুষজন, যেভাবে রামধনু দেখলে কন্যারাশির জাতিকা বলে ওঠে "আমার মরণ কেন হয় না…"
এসবের পরও কী আপনি ওই বালকের চোখে চোখ রেখে বলতে পারবেন, "আমি প্রাপ্তবয়স্ক হবার দিন দু’টো জুঁইফুল দিয়ো। তোমার বুকে যে গাছ আপনমনে বেড়ে উঠেছে তার থেকে পাতা ছিঁড়ে সাজিয়ে দিয়ো উপশমের ঘটিবাটি"
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment