বাতায়ন/গল্পাণু/১ম
বর্ষ/২৩তম সংখ্যা/১০ই কার্তিক, ১৪৩০
গল্পাণু
সুশান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
মাটি
সাবধানে যাইবেন স্যার। সাপ-খোপ
থাকতি পারে। আর সাপের থিকাও ডেঞ্জারাস হইতাছে ওই পাড়ের বিডিআর আর আমাগো বিএসএফ। আপনে
অগো পয়সা দিয়া পা রাখলে অরা দ্যাখতি পাইতো না। পয়সা দ্যান নাই তো গুলি চালাইয়া দিতি
পারে। তবে অগো টিপ নাই। হেইডাই যা ভরসা। বহুদিন যুদ্ধ করে নাই তো।
আমার শিলিগুড়ির ফ্ল্যাট
বাড়িটা ফুলবাড়ি বর্ডারের সামনে। আজ সকালে শিলিগুড়ি শহরে ফেরার জন্য টোটোতে উঠেছি। ড্রাইভার
ছেলেটি আমার পরিচিত। সে বলে,
-শহরে ঢুইকবার হগল
রাস্তা বন্ধ। দিদির মিটিং বইল্যা কথা। আমাগো ঘুইর্যা বাংলাদ্যাশ বর্ডারের পাশ
দিয়া যাইতে হইবো। ওই যে ওই বাড়িগুলি দ্যাখতাছেন। হইডা বাংলাদ্যাশ। মধ্যে একডা
কাঁটাতারের বেড়া আছে। হেও সেইরকম বেড়া। গোরু, ছাগল তো যায়ই মানুষও পার হইয়া যায়।
-আমাকে একবার ওই
বেড়াটার কাছে নিয়ে যেতে পার?
-ক্যান? আপনে কী করবেন?
টপকাইবেন নাকি?
বলে টোটোর ড্রাইভার
ছেলেটি হাসতে থাকে।
-হ্যাঁ। টপকাবো। একবার
পিতৃভূমির মাটি মাথায় ঠেকিয়েই ফিরে আসব।
আমি সেই কাঁটাতারের
দিকে এগিয়ে যেতেই ড্রাইভার ছেলেটি বলে,
-সাবধানে…
আর আমি ফিরে এসে টোটোতে
বসতেই বলে,
-দ্যান। এগডু মাটি আমার
মাথায় লাগাইয়া দেন। আমার বাবা-মা দুইজনেই তো হেই দ্যাশের।
সমাপ্ত
অসামান্য।
ReplyDeleteঅসাধারণ।
ReplyDeleteদারুণ
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDelete