বাতায়ন/গল্পাণু/১ম বর্ষ/২৩তম সংখ্যা/১০ই কার্তিক, ১৪৩০
গল্পাণু
অলক চক্রবর্তী
অনলাইন
- এই যে মি. সুপ্রিয়, তিনি আসিবেন না।
একটা পাগল ফিচেল হাসিতে মুখ ভরিয়ে
কোত্থেকে এসে সামনে দাঁড়াল।
- এ জানল কী করে আমি অরিত্রিয়ার
জন্য অপেক্ষা করছি। আমার নামটাই বা জানল কী করে!
- পাখি উড়ে গেছে, পাখি উড়ে যায়,
ডানা মেলে আকাশে; সুপ্রিয় বসে থাকে মুখ করে ফ্যাকাশে।
- না, না, তুমি জানো না। হোয়াটসঅ্যাপ
অনলাইন। ক্যাব বুক করেছে। শিরীষ ডালে দ্যাখো, একটা চিল এসে বসল।
- ঘেচুঁ, এই ফোনটা দ্যাখো। এটাও
অরিত্রিয়ার আরেকটা ফোন, তুমি জানতে? দুপুরে রবীন্দ্র সরোবরে যখন লতিফের সঙ্গে গল্পে
মশগুল— আমি হাতিয়ে নিয়েছি। স্রেফ তোমার জন্য ব্রাদার।
লক প্যাটার্ন খুলে দিল পাগলটা।
- লতিফ! নামটা শোনা মাত্র লাভা স্রোত
বইতে লাগল বুকে। দু’জনের অনেক সেলফি। এমন সেলফি তো আমার সঙ্গেও… চ্যাটিং? প্রেমের একই
পদাবলী! তুমি কে?
- আমি তোমার পরের স্টেজ। ময়দানে,
রেল লাইনে, সরকারি হাসপাতালে, বাইপাসের ধারে ঘুরে বেড়ালুম, পড়ে থাকলুম, পাগল হওয়ার
চেষ্টা করতে-করতে আমার আগের স্টেজকে আবিষ্কার করলুম।
- ডানা ঝাপটে চিলটা উড়ে গেল।
সমাপ্ত
👌👌 খুব ভালো। অনেকক্ষেত্রে বাস্তবও বটে...
ReplyDelete