বাতায়ন/মাসিক/কবিতা/২য়
বর্ষ/১৮তম সংখ্যা/২৩শে কার্ত্তিক, ১৪৩১
চৈতালী চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা | কবিতা
তপন মাইতি
তুমি এবং তুমি
কে বানালো কীভাবে বানালো
তোমাকে?
কুমোরটুলির হাতে গড়া একদম দেবীর মতো
সাগরের ঢেউয়ের মতো শরীরে শাড়ির ভাঁজ
পদ্ম শাপলা শোভা, কাশবনের মতো হাসির দোলা
কুমোরটুলির হাতে গড়া একদম দেবীর মতো
শিউলিফুলের মতো গায়ের রং, শরতাকাশের মতো নীলাঞ্জন চোখ
ষোড়শী চাঁদের মতো দ্যুতি, কোমল দেহে বসে আছ ঝর্ণার মতো
যেন আজন্মকাল ঝরে চলেছ
অনবদ্য সুরে
যেন অজন্তা ইলোরা খোদাই করা নিঁখুত মূর্তি
ঝুমকোলতার প্রাকৃতিক দুল ছুঁয়ে আছে মুগ্ধতা জুড়ে
তোমার আঁচলের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে এক দিঘি পদ্ম
তোমার এলো কালো চুল ভাবছে
বর্ষামঙ্গলে মেঘমল্লার গাইবে
কদম গাছটার দিকে উদাস পানে মেঘদূত
কে গড়ল কীভাবে গড়ল
তোমাকে?
কোন শিল্পী কী তোমার প্রেমে পড়ে এমন
নিদর্শন রেখে গেছেন?
নাকি তোমার প্রতি তাঁর
প্রেম নিবেদনের প্রথম ও শেষ স্থাপত্য ভাস্কর্য?
না তোমার প্রতি তাঁর
দুর্বলতা? না
মোহগ্রস্থ? না পাওয়ার বিরহ?
তোমার দেহ থেকে কামিনী
ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে
পরিচর্যাবিহীন আশ্চর্যরকম, এত অপরূপ সুন্দরী আগে কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না পৃথিবী!
মোনালিসা বা অন্যকোন বঙ্গললনা
তুলনাহীন
মানুষ যে এত সুন্দর হয় তোমাকে দেখে প্রথম বুঝলাম।
নারী যে এত সুন্দরী হয় তোমাকে দেখে এই প্রথম জানলাম।
পৃথিবীর কত পুরুষের স্বপ্ন
তুমি! জানি না তবু হৃদয়ের আয়নায়
দেখতে পাচ্ছি তোমার সুন্দর হৃদয়ের কাছে এ রূপ কিছুই না
তবু মনে রেখো বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুল আগে তোলা হয়
আমি চাই না তোমার প্রতি কোনো অত্যাচার হোক
আমি চাই না তোমার প্রতি পৃথিবীর কোন দুর্ব্যবহার হোক
আমি চাই না তুমি কোন দুঃখ কষ্ট পাও শোকগ্রস্ত হও
আমি চাই না তোমার হৃদয়
ভাঙুক কোন ঠুনকো আঘাতে
কারণ পৃথিবীর এমন সুন্দরীর চোখে কখনও জল মানায় না।
কে আঁকল কীভাবে আঁকল
তোমাকে?
দূর্বা-ধানের প্রথম শিষ থেকে গড়িয়ে পড়া শরতের
প্রথম শিশির
কেতকী ফুলের মতো সম্পূর্ণা পরিণত আদর্শবতী
কিংবা ইষৎ ভ্রমর কালো চুলে সামান্যা নদীর সখ্যতা
অথচ তোমার ওই নীলাঞ্জন দুটি চোখে দ্বিমত ছবি পোষন দেখি
একাধারে ম্যানগ্রোভ শ্বাসমূল জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম মতো কলঙ্ক
অপরদিকে সুখদীপ্ত শস্য
শ্যামল সতেজ সমভূমির হাসি
তোমার দুটো চোখের সৌন্দর্য একই মুদ্রার দুপিঠের মতো
পূর্ণবতী ষোলোকলা চাঁদের
দুপিঠের মতো
ভালবাসা না পাওয়া তীব্র
আকাঙ্খার একরাশ অভিমান
অপরদিকে অন্ধকার মুছে গিয়ে আলো দেখবার মতো ভোরের স্বপ্ন
কে আনল কীভাবে আনল তোমাকে?
করজোড়ে প্রণাম করতে চাই
শ্রদ্ধা জানাতে চাই
তুমি তো সুপ্ত বাসনার কাঙ্খিত কামনার দিব্যাঞ্জনা
তোমার কাশ্মীরি আপেলের মতো সতেজতা মেখে নেয় রজনিগন্ধা জ্যোৎস্না
রাতদিন প্রেমের যাতনা
যন্ত্রনায় মুগ্ধ করে কোন মাতাল পাগল ভ্রমর
পুরুষ প্রেমিক তুমি যেমনই হও না কেন
মনে মনে এমন নারী পাওয়ার প্রত্যাশা করে কত জনম জনম
কে বানালো কীভাবে বানালো তুমি এবং তোমাকে?
যেন অজন্তা ইলোরা খোদাই করা নিঁখুত মূর্তি
ঝুমকোলতার প্রাকৃতিক দুল ছুঁয়ে আছে মুগ্ধতা জুড়ে
তোমার আঁচলের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে এক দিঘি পদ্ম
কদম গাছটার দিকে উদাস পানে মেঘদূত
পরিচর্যাবিহীন আশ্চর্যরকম, এত অপরূপ সুন্দরী আগে কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না পৃথিবী!
মানুষ যে এত সুন্দর হয় তোমাকে দেখে প্রথম বুঝলাম।
নারী যে এত সুন্দরী হয় তোমাকে দেখে এই প্রথম জানলাম।
দেখতে পাচ্ছি তোমার সুন্দর হৃদয়ের কাছে এ রূপ কিছুই না
তবু মনে রেখো বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুল আগে তোলা হয়
আমি চাই না তোমার প্রতি কোনো অত্যাচার হোক
আমি চাই না তোমার প্রতি পৃথিবীর কোন দুর্ব্যবহার হোক
আমি চাই না তুমি কোন দুঃখ কষ্ট পাও শোকগ্রস্ত হও
কারণ পৃথিবীর এমন সুন্দরীর চোখে কখনও জল মানায় না।
কেতকী ফুলের মতো সম্পূর্ণা পরিণত আদর্শবতী
কিংবা ইষৎ ভ্রমর কালো চুলে সামান্যা নদীর সখ্যতা
অথচ তোমার ওই নীলাঞ্জন দুটি চোখে দ্বিমত ছবি পোষন দেখি
একাধারে ম্যানগ্রোভ শ্বাসমূল জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম মতো কলঙ্ক
তোমার দুটো চোখের সৌন্দর্য একই মুদ্রার দুপিঠের মতো
অপরদিকে অন্ধকার মুছে গিয়ে আলো দেখবার মতো ভোরের স্বপ্ন
তুমি তো সুপ্ত বাসনার কাঙ্খিত কামনার দিব্যাঞ্জনা
তোমার কাশ্মীরি আপেলের মতো সতেজতা মেখে নেয় রজনিগন্ধা জ্যোৎস্না
পুরুষ প্রেমিক তুমি যেমনই হও না কেন
মনে মনে এমন নারী পাওয়ার প্রত্যাশা করে কত জনম জনম
কে বানালো কীভাবে বানালো তুমি এবং তোমাকে?
No comments:
Post a Comment