বাতায়ন/ঝড়/কবিতা/৩য় বর্ষ/১ম সংখ্যা/১লা বৈশাখ, ১৪৩২
ঝড় | কবিতা
দীপক বেরা
অন্তর্বাহিনী
ঝড় ও অবশেষ পংক্তিমালা
দীপক বেরা
বাঁদিকের ফুসফুসে প্রেম, ডানদিকে ঝড়
প্রবল অন্তর্বাহিনী ঝড়ে উড়ে
যায় সব
গৃহপালিত বসতি, প্রেমের অজস্র কাহিনি
রাইমস, ফোক-টেইলস...
হারিয়ে যায় ছায়াঘন নিবিড়
ঝোপঝাড়
নাকছাবি, সুতোখসা বোতাম
সময়ের জল-নূপুর বৃষ্টি ধুয়ে
দেয়
মুখোমুখি বসে থাকা দিন, খুচরো মুগ্ধতা
শিহরণ, স্বপ্নে আঁকা তাজমহল
সব মুছে যায়
আবর্জনা ভাবে কেউ, ধুয়ে গেলেই ভালো
গতিজাড্যের সংজ্ঞায় সেসব উল্লেখ থাকে না
দুরন্ত ঝড়ে উড়ে যায় দুরন্ত সময়
কত স্বীকারোক্তি দিতে হয় প্রলয়ের কাছে
কেউ নেই, তাকে দেখি না আর কোথাও
আদিগন্ত বৃষ্টিবিন্দু কুড়িয়ে চলে গেছে দূরে—
স্মৃতিতে কেবল সমাগত বিন্দুসাধন প্রক্রিয়া
সেই বালুকাবেলায় যাওয়া নিষেধ এখন
তার চঞ্চল নদীজলে উল্কি আঁকে কি কেউ?
নদীঘাটে নৌকা বাঁধা থাকে কি
আগের মতন?
যত অবান্তর অজস্র প্রশ্নেরা
ভিড় করে আসে
শব্দ-প্রণয়ের ভাষায় কত দেহখাত, গুহাগান
কারুখোদাই ইলোরা শরীরের অলিন্দ জুড়ে
আজও আদিরসের কোমলগান্ধার বাজে
আমার পরিত্যক্ত ঢালু উপত্যকায় ক্রমাগত
গড়িয়ে নামে ক্লান্ত নিঃশব্দ বিষণ্ণ গাঢ়তা
মস্তিষ্কের অলস-ঘরে পরাজিত রোদেলা দহন
প্রশ্নার্ত প্রলাপগাথা নামঞ্জুর হলে মৃত্যু অনিবার্য
রাতের স্বপ্নেরও তো কিছু অবশেষ থেকে যায়
চারিদিকে থমথমে নিঝুম আঁধার তখনও
পাহাড়ের ওই পারে কি নদীটা লুকিয়ে আছে?
আমি আজও যেতে চাই ওই নদীটার
পারে
যেন নূপুরের ধ্বনি ক্রমশ এগিয়ে আসে
ভোরের নীরবতা ভেঙে নদীটা এসে বলে—
ঝড় থেমে গেছে, ওঠো
চলে এসো এইবেলা ভরাকোটালে
এইতো একটু বাঁদিক ঘেঁষে ঠিক আমার পাশে
অঝোর বৃষ্টি হলে তুমুল ভেসে যাব দুজনে
ললাটফলকে চন্দন তিলকে
চরণ যুগলে অলক্তক রাগে
তাম্বুলরাঙা অধর পল্লবে
আক্ষেপানুরাগে মধুর ষোড়শ শৃঙ্গারে...
মুখোমুখি বসে থাকা দিন, খুচরো মুগ্ধতা
শিহরণ, স্বপ্নে আঁকা তাজমহল
সব মুছে যায়
আবর্জনা ভাবে কেউ, ধুয়ে গেলেই ভালো
গতিজাড্যের সংজ্ঞায় সেসব উল্লেখ থাকে না
দুরন্ত ঝড়ে উড়ে যায় দুরন্ত সময়
কত স্বীকারোক্তি দিতে হয় প্রলয়ের কাছে
কেউ নেই, তাকে দেখি না আর কোথাও
আদিগন্ত বৃষ্টিবিন্দু কুড়িয়ে চলে গেছে দূরে—
স্মৃতিতে কেবল সমাগত বিন্দুসাধন প্রক্রিয়া
সেই বালুকাবেলায় যাওয়া নিষেধ এখন
তার চঞ্চল নদীজলে উল্কি আঁকে কি কেউ?
শব্দ-প্রণয়ের ভাষায় কত দেহখাত, গুহাগান
কারুখোদাই ইলোরা শরীরের অলিন্দ জুড়ে
আজও আদিরসের কোমলগান্ধার বাজে
আমার পরিত্যক্ত ঢালু উপত্যকায় ক্রমাগত
গড়িয়ে নামে ক্লান্ত নিঃশব্দ বিষণ্ণ গাঢ়তা
মস্তিষ্কের অলস-ঘরে পরাজিত রোদেলা দহন
প্রশ্নার্ত প্রলাপগাথা নামঞ্জুর হলে মৃত্যু অনিবার্য
রাতের স্বপ্নেরও তো কিছু অবশেষ থেকে যায়
চারিদিকে থমথমে নিঝুম আঁধার তখনও
পাহাড়ের ওই পারে কি নদীটা লুকিয়ে আছে?
যেন নূপুরের ধ্বনি ক্রমশ এগিয়ে আসে
ভোরের নীরবতা ভেঙে নদীটা এসে বলে—
ঝড় থেমে গেছে, ওঠো
চলে এসো এইবেলা ভরাকোটালে
এইতো একটু বাঁদিক ঘেঁষে ঠিক আমার পাশে
অঝোর বৃষ্টি হলে তুমুল ভেসে যাব দুজনে
ললাটফলকে চন্দন তিলকে
চরণ যুগলে অলক্তক রাগে
তাম্বুলরাঙা অধর পল্লবে
আক্ষেপানুরাগে মধুর ষোড়শ শৃঙ্গারে...
No comments:
Post a Comment