বাতায়ন/দহন/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | গল্পাণু
কমলকুমার
মণ্ডল
নিস্তব্ধতা
"স্পষ্ট লক্ষ্য করতে পারছিল আত্মাভিমান আর সামাজিক মর্যাদার পরাকাষ্ঠা আছড়ে পড়া তীব্র ঝঞ্ঝার প্রলয় রূপ। বড্ড অচেনা সে রূপ। বিদৃশাও সেই ঝড়ের তীব্রতায় ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে।"
নিস্তব্ধতা কী শুধুই শূন্যতা তৈরি করে, নাকি তার তীব্রতা এতই গভীর যে কম্পনের মাত্রা সহ্যসীমার বাইরে থেকে যায়। আমরা তার কাছে পৌঁছাতে পারি না। বিদৃশা এমনই এক দোলাচলে। এতটা পথ পেরিয়ে এসেও ভৈরবকে সে ঠিক বুঝে
উঠতে পারে
না। কোর্টের রায়ে যেদিন রাতারাতি হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বেকার তকমা পেয়ে গেল, সেদিন ভৈরব একটাও কথা বলেনি। বিদৃশা বুঝিয়েছিল ব্যবসার
কাজে মন দিতে। এত বড় ব্যবসায় অভিভাবকত্বের অভাবে কেমন যেন ভাটার টান। তাদের
ব্যবসার উপর নির্ভর করে আছে কয়েকশো পরিবারের জীবন-জীবিকা।
ভৈরব একটি কথাও বলেনি সেদিন।
চোখে-মুখে তীব্র দহনযন্ত্রণা দেখেছিল বিদৃশা। স্পষ্ট লক্ষ্য করতে পারছিল আত্মাভিমান আর সামাজিক মর্যাদার পরাকাষ্ঠা আছড়ে পড়া তীব্র ঝঞ্ঝার প্রলয় রূপ। বড্ড
অচেনা সে রূপ। বিদৃশাও সেই ঝড়ের তীব্রতায় ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে। দাবানলের মতো
গ্রাস করে তার সকল সত্তা।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment