বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য়
বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
হে
প্রিয় আগুন, পোড়াও
আমাকে
দহন | কবিতা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
আগুনের পুলকের সঙ্গে শীতকালের
সম্পর্ক অচ্ছেদ্য নয়
অনিচ্ছুক ইচ্ছেগুলো যদি
আগুনেই পুড়বে তবে
লোকসানের নিলামে ওঠা ফসলগুলো
নিজেই পোড়াবো।
প্রতিশোধের ক্ষীণতর সুখ
প্রস্তরযুগ থেকে পাওয়া
দলছুট বৈশাখের পাখিটিকে দেখি
ঠা-ঠা রোদে একা বসে
সে এক বিরহসাধক হোমের আগুনে ঢালে যন্ত্রণার ফুল
ভাদ্রের ফেরিঘাটে সেই যে প্রবীণ বক একাকী অবহেলায়
দিঘল ঠোঁটের ফাঁকে চিকচিক মাছগুলি ধরে আর ছেড়ে
দুঃখ পুড়িয়ে খুশি, তাকে তো ভুলিনি, ধোঁয়াহীন সে দহনকে
বলে নিরাময় অথবা গ্রামের প্রান্তে খেজুরপাটিতে বসে
যে ঠাকুমা দিনরাত অন্তরিক্ষের ঈশ্বরকে লাগাতার অভিশাপ
ছুঁড়ে শান্তি খুঁজে পান, সন্তানহারা যন্ত্রণার সেই ছাই
ঘুম টেনে আনে, সে আগুন ঔষধি বিশেষ।
বিপর্যয়ের পর সর্বস্বান্ত মানুষ শোক পোড়ানোর ছলে
উথলানো অপত্যস্নেহে রাস্তার শিশুকে পরম আদরে বুকে টানে
নিয়তিকে মুখ ভ্যাঙানো সেই বিদ্রোহ পরাজয় মানে না।
প্রোষিতপত্নীক জানে কীভাবে বিরহজ্বালাকে পুড়িয়ে
উৎকৃষ্ট বিভূতি মাখা যায়, সে আগুনে জ্বলে মায়াদীপ।
সেই নিঃস্ব চাষি, দলছুট পাখি, বিরহী বক, একাকী ঠাকুমা, আহত পিতা
ও প্রোষিতপত্নীকের মতো একজন হয়ে বলি, হে আগুন, প্রিয় আগুন,
আমাকে পোড়াও সেই দরদি দহনে, ধোঁয়াহীন, শব্দহীন...
সে এক বিরহসাধক হোমের আগুনে ঢালে যন্ত্রণার ফুল
ভাদ্রের ফেরিঘাটে সেই যে প্রবীণ বক একাকী অবহেলায়
দিঘল ঠোঁটের ফাঁকে চিকচিক মাছগুলি ধরে আর ছেড়ে
দুঃখ পুড়িয়ে খুশি, তাকে তো ভুলিনি, ধোঁয়াহীন সে দহনকে
বলে নিরাময় অথবা গ্রামের প্রান্তে খেজুরপাটিতে বসে
যে ঠাকুমা দিনরাত অন্তরিক্ষের ঈশ্বরকে লাগাতার অভিশাপ
ছুঁড়ে শান্তি খুঁজে পান, সন্তানহারা যন্ত্রণার সেই ছাই
ঘুম টেনে আনে, সে আগুন ঔষধি বিশেষ।
বিপর্যয়ের পর সর্বস্বান্ত মানুষ শোক পোড়ানোর ছলে
উথলানো অপত্যস্নেহে রাস্তার শিশুকে পরম আদরে বুকে টানে
নিয়তিকে মুখ ভ্যাঙানো সেই বিদ্রোহ পরাজয় মানে না।
প্রোষিতপত্নীক জানে কীভাবে বিরহজ্বালাকে পুড়িয়ে
উৎকৃষ্ট বিভূতি মাখা যায়, সে আগুনে জ্বলে মায়াদীপ।
সেই নিঃস্ব চাষি, দলছুট পাখি, বিরহী বক, একাকী ঠাকুমা, আহত পিতা
ও প্রোষিতপত্নীকের মতো একজন হয়ে বলি, হে আগুন, প্রিয় আগুন,
No comments:
Post a Comment