বাতায়ন/দহন/কবিতাগুচ্ছ/৩য়
বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সেই সবও তুমি
পূর্ণেন্দু পত্রী
সেই
সবও তুমি
সাঁচীস্তুপে, কোনারকে যায় যারা,
গিয়ে
ফিরে আসে
দুধ জ্বাল দিয়ে দিয়ে ক্ষীর করা স্বাদ জিভে নিয়ে তোমার ভিতরে সেই ভাস্কর্যেরও লাবণ্য রয়েছে। কোনখানে আছে?
চুলে না গ্রীবায়, নাকি স্তনে?
হাজারিবাগের গাঢ় জঙ্গলের গন্ধ
পাই তোমার জঙ্ঘায়।
ভয়াবহ খাদ থেকে নাচের মাদল, বাঁশী ডাকে।
বহুদূর ভেসে যেতে যতখানি ঝর্ণাজল লাগে
তাও আছে, কোনখানে আছে?
চোখে, না চিবুকে?
দুমকায় তোমারই মতো একটি
পাহাড়ী টিলা
মেঘের আয়নায় মুখ রেখে
খোঁপায় গুঁজছিল লাল গোধূলির ফুল।
তুমি কাল এমন তাকালে
মনে হলো বীরভুমের দিগন্তের দাউ দাউ পলাশ।
জয়পুরের জালি কাটা ঝুল-বারান্দার মতো সমৃদ্ধ খিলান,
তাও আছে। কোনখানে আছে?
ভূরুতে, না ঠোঁটে?
জলপাইগুড়ির কোনো ছাদ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার
যতটুকু আলো, ওড়না, নীলরশ্মি
সেই সবও তুমি।
[সংগৃহীত; সৌজন্যে— জয়িতা বসাক]
দহন | কবিতাগুচ্ছ | পূর্ণেন্দু পত্রী | সেই সবও তুমি
পূর্ণেন্দু পত্রী
তোমাকেই দৃশ্য মনে হয়।
তোমার ভিতরে সব দৃশ্য ঢুকে
গেছে।
কাচের আলমারি যেন, থাকে থাকে, পরতে পরতে
শরতের, হেমন্তের, বসন্তের শাড়ি গয়না
দুল,
দুধ জ্বাল দিয়ে দিয়ে ক্ষীর করা স্বাদ জিভে নিয়ে তোমার ভিতরে সেই ভাস্কর্যেরও লাবণ্য রয়েছে। কোনখানে আছে?
ভয়াবহ খাদ থেকে নাচের মাদল, বাঁশী ডাকে।
বহুদূর ভেসে যেতে যতখানি ঝর্ণাজল লাগে
তাও আছে, কোনখানে আছে?
মেঘের আয়নায় মুখ রেখে
খোঁপায় গুঁজছিল লাল গোধূলির ফুল।
তুমি কাল এমন তাকালে
মনে হলো বীরভুমের দিগন্তের দাউ দাউ পলাশ।
জয়পুরের জালি কাটা ঝুল-বারান্দার মতো সমৃদ্ধ খিলান,
যতটুকু আলো, ওড়না, নীলরশ্মি
সেই সবও তুমি।
আশ্চর্য সুন্দর
ReplyDelete