প্রথম বর্ষ/প্রথম সংখ্যা/১লা
বৈশাখ, ১৪৩০
গল্পাণুউপেক্ষিৎ শর্মা
নারা’ণের মা
জল ফুটছে হাঁড়ি ভর্তি।
টগবগ করে ফুটছে। চাল দিতে গিয়ে নারা’ণের মা মুঠো টেনে টেনে চাল নিল। যত কম দিলে আজকের
মতো চলে যায়। কাল, পরশু কীভাবে চলবে ভাবতে ভাবতে এক মুঠো চাল তুলে রাখল সঞ্চিত টিনের
কৌটোতে। চালটা ফুটলেই ফ্যানসুদ্ধ নামিয়ে রাখল। আজ স্কুল নেই নারা’ণের। মিড-ডে-মিলও
নেই। সেই সক্কালে মাঠে খেলতে গেছে দশ
বছরের নারাণ। খেলারই তো বয়স। খেলাধুলো শেষ করে
পুকুরে স্নান করে বাড়ি ফিরেই খেতে চাইবে। বলতে বলতে নারা’ণ ঘরে ঢুকেই, “মা, ভাত দে”
বলে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় করল। নারা’ণের মা, “চুপ। চুপ। চিল্লাশ ক্যানে?” বলে নারা’ণকে
থামাতে গেল। নারা’ণ স্বরগ্রাম একটু নিচু করে বলল,নারা’ণঃ ক্যানে, চিল্লালে কী হবেক?
নারা’ণের মাঃ পাশের ঘরকে সুবল, উয়ারা শুনবেক।
নারা’ণঃ ক্যানে, উয়াদের কী হঞেছে মা?
নারা’ণের মাঃ কিছু লয়। যা, এখন খাতে বোস তো।
নারা’ণঃ বল-না, বল-না মা, সুবলের কী হঞেছে?
নারা’ণের মাঃ সুবল সকাল থিক্কে ‘ভাত, ভাত’ করে কাঁনছেক।
নারা’ণঃ তাইলে সুবলকেও ডেকে লিই ক্যানে। দুজনায় এক সাথে খাঞে লিব। মজা হবেক। কী বলিস মা? বলে, ‘সুবল, সুবল-রে’ হাঁক পাড়তে পাড়তে তড়িৎ গতিতে উঠোনে নেমে গেল নারা’ণ।
ভালো মানবিক গল্প। আঞ্চলিক সংলাপ যথার্থ।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল। - জয়িতা বসাক
ReplyDeleteবেশ ভালো। সংলাপ যথার্থ।
ReplyDeleteভালো লাগল।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো!
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো!
ReplyDelete
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো!