বাতায়ন/ডিভোর্স/কবিতা/৩য় বর্ষ/১০ম সংখ্যা/৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২
ডিভোর্স | কবিতা
দেবারতি গুহ সামন্ত
হয়তো
বেঁচে যেত মেয়েটা
মেয়েটা আয়নার সামনে
দাঁড়িয়ে,
ঢেলে দিচ্ছিল একরাশ আক্ষেপ।
কী বা এমন দোষ ছিল ছেলেটার?
সে তো কামনা করেছিল শুধুই
মেয়েটাকে।
ভুল বুঝেছিল মেয়েটা, ভীষণ ভুল,
ইগোর লড়াইয়ে চেয়েছিল জিতে
যেতে,
ছেলেটার ভাঙা রক্তাক্ত মন
দেখেনি ফিরে,
হাত ছাড়িয়ে নিয়েছিল এক
ঝটকায়।
মেয়েটা বাঁচতে চেয়েছিল, স্বাধীনভাবে,
পিঠে ছিল তার অদৃশ্য দুটো
ডানা,
সেই ডানায় ভর করে উড়ে গেছিল,
এক অজানা পরিণামহীন
গন্তব্যে।
আজ হঠাৎই দেখা হলো ছেলেটার
সাথে,
পাশে নতুন বউ, সিঁথির জ্বলজ্বলে সিঁদুর,
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিল
মেয়েটার দুটো চোখ।
স্বেচ্ছায় যেদিন সিঁদুর
ত্যাগ করে মেয়েটা,
সেদিনই ছেলেটার সাথে মনে মনে
হয়েছিল ডিভোর্স,
তারপর থেকে মেয়েটা শুধুই
করেছে লড়াই,
বোঝেনি ছেলেটার ভালবাসা, বুঝেছিল স্বাধীনতা।
যেটুকু ক্ষীণ আশা ছিল মনে,
আজ তা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে গেছে,
ছেলেটাকে ফিরে পাওয়ার সব
রাস্তা বন্ধ,
আজ সকালে নিজেকেই শেষ করল
মেয়েটা।
উঠতে বসতে কটু কথায়,
ভরেছে কান, ভেঙেছে মন,
একটু
অ্যাডজাস্টমেন্ট আর একচিলতে সিঁদুর,
হয়তো আটকাতে পারত ডিভোর্স, মেয়েটা বাঁচত।
ডিভোর্স | কবিতা
দেবারতি গুহ সামন্ত
কী বা এমন দোষ ছিল ছেলেটার?
No comments:
Post a Comment