বাতায়ন/হলদে খাম/৩য় বর্ষ/১৪তম/মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা/২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | হলদে খাম
উলন পাল রকি
প্রিয়
বন্ধুর প্রতি
তুমি তো জানো, শহরের জীবনটা বড় ব্যস্ত আর কৃত্রিম হয়ে পড়েছে। কিন্তু
মাঝে-মাঝে এই ব্যস্ততার মধ্যেই কোথা থেকে যেন এসে পড়ে এক চিমটি আবেগ, কিছু নির্জন মুহূর্ত— যেখানে আমরা নিজের সঙ্গে কথা বলি, কিংবা পুরনো কোনও বন্ধুর কাছে ফিরে যাই। আমি আজ সেই
জায়গাতেই বসে আছি।
আমার জানালার ধারে এখনও আগের মতোই
গাছেরা দুলে ওঠে হাওয়ার ছোঁয়ায়,
পাখিরা
গান গায়। অথচ জানো, এই প্রকৃতির রূপেও এখন বড়
একাকী লাগে— তোমার মতো কোনও সঙ্গীর অভাবে।
তোমার লেখা শেষ চিঠিটা পড়ে
মনে হচ্ছিল, তুমি যেন আমারই মনের কথা লিখে
ফেলেছ। আমরা যারা লিখতে ভালবাসি, তাদের হৃদয়ে শব্দেরা
শুধু কথা বলে না, তারা বাঁচে, তারা কাঁদে, তারা হাসে।
ভাবছি, হয়তো এই লেখাগুলো একদিন একত্র হয়ে আমাদের জীবনের এক
নিঃশব্দ ইতিহাস হয়ে দাঁড়াবে— যেখানে প্রতিটি অক্ষর হবে একটা করে স্মৃতিচিহ্ন।
আর কত লিখব? জানি না। তবে এটুকু জানি, তুমি থাকলে লেখার জন্য আর কোনও কারণ লাগে না। ভাল থেক বন্ধু।
ইতি,
তোমার অনুপস্থিত বন্ধু
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | হলদে খাম
উলন পাল রকি
"তুমি যেন আমারই মনের কথা লিখে ফেলেছ। আমরা যারা লিখতে ভালবাসি, তাদের হৃদয়ে শব্দেরা শুধু কথা বলে না, তারা বাঁচে, তারা কাঁদে, তারা হাসে।"
কলম ধরলাম এক বিকেলের নরম
আলোয় বসে। জানালার পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে হালকা হাওয়া, যেন কোনও পুরনো দিনের স্মৃতিকে সঙ্গে করে নিয়ে
যাচ্ছে। এই নিস্তরঙ্গ দুপুরে হঠাৎই তোমার কথা মনে পড়ল, আর ভেবে দেখলাম— তোমার সঙ্গে কিছু না বললে যেন এই বিকেলটা
অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
No comments:
Post a Comment