প্রথম বর্ষ/দ্বিতীয়
সংখ্যা/১লা মে, ২০২৩
ছোটগল্প
অভিজিৎ দাসকর্মকার
মায়ের গাঙে, উজানের
বিটলস্ বিটস্
মহাব্বাতেঁ-র সেই
বিখ্যাত ভায়োলিন সুর, শিস দিতে দিতে, উজান কলেজে ঢুকতেই, বন্ধুদের মনে ভাঙড়া বাজল।
উজান ওদের সকলের থেকে পড়াশুনো এবং অন্যান্য দিকে অনেকটাই এগিয়ে।
নতুন কলেজ। নতুন পরিসর। নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষা। সকলের মতো উজানের শরীরময় বয়ঃসন্ধির, যোনপুরি রাগালাপ। ইংরেজি অনার্স। কখনো Barnard shaw, কখনো Jhon Keats, Byron, Don Juan মনের মাঝে উথলে ওঠে, আবার লঘু হয়। তার সাথে সুলতা ম্যামের ক্লাসের আগ্রহ। যেন কানের পাশে ভীমপলাশি সুরে; এ. আর রহমান বাজছে— অ্যয় আজনবি, তু ভী কভি আওয়াজ দে কঁহিসে। উফ্ ভাবা যায়!…
বন্ধুত্ব হয়েছে অনির
সাথে। খুবই প্রাণবন্ত দুজনেই। একে অপরকে বিশ্বাস করে, সব কথা বিনিময় করে।
_ জানিস, কাল রাতে শরীরের তেজ কীভাবে বিছানায় থুবড়ে পড়ল, মানে একটা যুবতী যুবতী স্বপ্ন, দোষ হয়ে শরীর থেকে ঘুমের ঘোরে কাফি রাগে বেরিয়ে এল, মাথা হালকা, কিন্তু বেশ ক্লান্ত সকাল। কেন বল তো? আমি কী অসুস্থ হলাম?
- ওটা কিছু না। রসস্ফীতি। এ বয়সে একটু-আধটু হয়। কলেজে এত ললনা। আগুনের পাশে ঘি থাকলে, ঘি তো গলবেই...
- তবে আমি পড়েছি, কলসি থেকে এক নোট জল নিলে জল কমে না, কিন্তু কলসি উল্টে গিয়ে কখনো যেন ছলাৎ ছলাৎ করে না পড়তে থাকে।
অনি বলল আরে ইয়ার, হোয়াই আর ইউ সো অ্যাংসিয়াস্? চিল্যাক্স কর। একদিন বা একবার হয়েছে বলেই কী, বারবার হবে?
কথাটা উজানের মনে একটা হালকা হালকা ভাব আনল। দুজনে মেতে গেল আড্ডায়, কবিতায়, নীল রং ছিল ভীষণ প্রিয় ক্যান্টিনে টেবিল বাজানো ব্যান্ড সংগীতে।
টিউশন শুরু। অনির সাথে কলেজের ক্লাস বিরতির ফাঁকে ফাঁকে দেখা আর বিকেলে এক সঙ্গে আড্ডা। নতুন নতুন পড়া সলিটারি রিপার, সি স্টুপ টু কনকার, কোলরিজিয়ন সনেট, মেজর বারবারা। দারুণ ভাবে চলছে পড়াশুনো।
উজান ছবি আঁকত, অ্যাবস্ট্রাক আর্ট। তার সাথে কবিতা এবং ব্যান্ডেম্যানিয়া।
থারে রহিও, ও বাঁকে ইয়ার, থারে রাহিও…
আবারও গতরাতে ভরা কোটালে ভাসল উজান। মনে চঞ্চলতা, হুস হুস করে ট্রেন চালাচ্ছে, আবার নামছে ধড়ফড়ানি। দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে, তবুও...
মারুবেহাগে রাগ মাঝ বয়স পার করেছে। ইয়ারপিসে শুনছে Bob Dylan-এর Blowin' in the wind…
আজ একটি ইটালিয়ান সিনেমা দেখছে “মালিনা”, মনিকা বেলুসি। একটা সিমিলার দৃশ্য দেখে, উজানের উদ্বেগ বাড়ল। সিনেমাপ্রাণিত হয়ে একদিন সাহস নিয়ে চলল ব্রথেল পাড়ার দিকে। পৌঁছেও গেল। পছন্দ হচ্ছে বিপরীত শরীর, অথচ দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসে।
পরের দিন আবার হুবহু, সাহস বিপ্রতীপ কোণে।
আজ আবারও একই ভাবে একই জায়গায়। তবে আজ সেই মাঝ বয়সি তাকে ডাকল।
-কী রে, তোর কাকে চাই? কী চাই? ক'দিন এখানে আসিস, দাঁড়িয়ে, চলে যাস!
- (মাথা নামিয়ে বলল)
তোমাকে। আমার খুব গরম করছে। আমার শরীর জুড়ে বিটলস্-এর ড্রামবিটস্…
মহিলা উচ্চ স্বরে হাসবে ভেবেছিল। কিন্তু... মহিলা, উজানকে নিয়ে ভিতরে গিয়ে, সব কথা শুনে, বুঝে। তাকে কাছে ডাকল।
উজান কাঁপছে, তবুও জিজ্ঞেস করল, আলো?
মহিলা বলল থাক, আমার কোলে মাথা রাখ দিকি। মাথা রাখল। মাথার ভিতর knocking on Heaven's Door-র একটা সুদিংনেশ।
উজানের মুখে তার একটি স্তন দিয়ে, আঁচলে ঢাকা দিল মাথা। আর উজান স্তন মুখে নিতেই; তরঙ্গও শান্ত, প্রজাপতি উড়তে থাকল…
নতুন কলেজ। নতুন পরিসর। নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষা। সকলের মতো উজানের শরীরময় বয়ঃসন্ধির, যোনপুরি রাগালাপ। ইংরেজি অনার্স। কখনো Barnard shaw, কখনো Jhon Keats, Byron, Don Juan মনের মাঝে উথলে ওঠে, আবার লঘু হয়। তার সাথে সুলতা ম্যামের ক্লাসের আগ্রহ। যেন কানের পাশে ভীমপলাশি সুরে; এ. আর রহমান বাজছে— অ্যয় আজনবি, তু ভী কভি আওয়াজ দে কঁহিসে। উফ্ ভাবা যায়!…
_ জানিস, কাল রাতে শরীরের তেজ কীভাবে বিছানায় থুবড়ে পড়ল, মানে একটা যুবতী যুবতী স্বপ্ন, দোষ হয়ে শরীর থেকে ঘুমের ঘোরে কাফি রাগে বেরিয়ে এল, মাথা হালকা, কিন্তু বেশ ক্লান্ত সকাল। কেন বল তো? আমি কী অসুস্থ হলাম?
- ওটা কিছু না। রসস্ফীতি। এ বয়সে একটু-আধটু হয়। কলেজে এত ললনা। আগুনের পাশে ঘি থাকলে, ঘি তো গলবেই...
- তবে আমি পড়েছি, কলসি থেকে এক নোট জল নিলে জল কমে না, কিন্তু কলসি উল্টে গিয়ে কখনো যেন ছলাৎ ছলাৎ করে না পড়তে থাকে।
অনি বলল আরে ইয়ার, হোয়াই আর ইউ সো অ্যাংসিয়াস্? চিল্যাক্স কর। একদিন বা একবার হয়েছে বলেই কী, বারবার হবে?
কথাটা উজানের মনে একটা হালকা হালকা ভাব আনল। দুজনে মেতে গেল আড্ডায়, কবিতায়, নীল রং ছিল ভীষণ প্রিয় ক্যান্টিনে টেবিল বাজানো ব্যান্ড সংগীতে।
টিউশন শুরু। অনির সাথে কলেজের ক্লাস বিরতির ফাঁকে ফাঁকে দেখা আর বিকেলে এক সঙ্গে আড্ডা। নতুন নতুন পড়া সলিটারি রিপার, সি স্টুপ টু কনকার, কোলরিজিয়ন সনেট, মেজর বারবারা। দারুণ ভাবে চলছে পড়াশুনো।
উজান ছবি আঁকত, অ্যাবস্ট্রাক আর্ট। তার সাথে কবিতা এবং ব্যান্ডেম্যানিয়া।
থারে রহিও, ও বাঁকে ইয়ার, থারে রাহিও…
আবারও গতরাতে ভরা কোটালে ভাসল উজান। মনে চঞ্চলতা, হুস হুস করে ট্রেন চালাচ্ছে, আবার নামছে ধড়ফড়ানি। দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে, তবুও...
মারুবেহাগে রাগ মাঝ বয়স পার করেছে। ইয়ারপিসে শুনছে Bob Dylan-এর Blowin' in the wind…
আজ একটি ইটালিয়ান সিনেমা দেখছে “মালিনা”, মনিকা বেলুসি। একটা সিমিলার দৃশ্য দেখে, উজানের উদ্বেগ বাড়ল। সিনেমাপ্রাণিত হয়ে একদিন সাহস নিয়ে চলল ব্রথেল পাড়ার দিকে। পৌঁছেও গেল। পছন্দ হচ্ছে বিপরীত শরীর, অথচ দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসে।
পরের দিন আবার হুবহু, সাহস বিপ্রতীপ কোণে।
আজ আবারও একই ভাবে একই জায়গায়। তবে আজ সেই মাঝ বয়সি তাকে ডাকল।
-কী রে, তোর কাকে চাই? কী চাই? ক'দিন এখানে আসিস, দাঁড়িয়ে, চলে যাস!
মহিলা উচ্চ স্বরে হাসবে ভেবেছিল। কিন্তু... মহিলা, উজানকে নিয়ে ভিতরে গিয়ে, সব কথা শুনে, বুঝে। তাকে কাছে ডাকল।
উজান কাঁপছে, তবুও জিজ্ঞেস করল, আলো?
মহিলা বলল থাক, আমার কোলে মাথা রাখ দিকি। মাথা রাখল। মাথার ভিতর knocking on Heaven's Door-র একটা সুদিংনেশ।
উজানের মুখে তার একটি স্তন দিয়ে, আঁচলে ঢাকা দিল মাথা। আর উজান স্তন মুখে নিতেই; তরঙ্গও শান্ত, প্রজাপতি উড়তে থাকল…
No comments:
Post a Comment