নীল বৃত্তচাপের ঘোড়া ও আদিম
স্নানাগারের বিভূতি রমণ সমগ্র
আগুনের মতো আমাদেরও শরীর জুড়ে ২৪ ঘন্টায় দুই বার
পেন্ডুলামজনিত ছটা বাইশ বাজতেই বুকের ভেতরে যান্ত্রিক শক্তির স্থিতিস্থাপক আগুনগুলো
আমাদের মাথার চার পাশে পেঁচানো শিং হয়ে মহাজাগতিক হয়ে যাচ্ছে, কোন উচ্চ রক্তচাপের
বলয় নেই কোন আগুন নেই কোন আগুনের মতো বৃত্তচাপ নেই আমার
জিভ আছে অথচ ধ্বংসাত্মক হরপ্পা নেই এই উপত্যকায় এলে প্রতিটি মানুষ আঙুর ফলের চাষাবাদ করে লাল মোহনায় নেমে যায় এক
অদ্ভুত ক্ষত্রিয় পুরুষদের মতো, তাদের অন্ধকারকে কুপিয়ে কুপিয়ে আমি কিছু নয়নতারা
ফুলের চারাগাছ আর হলুদ নৌকা লাগিয়ে যাচ্ছি একাদশ মন্বন্তর অবধি
উঠে যাচ্ছি কোন এক প্রলয় পরবর্তী মহাজগতের দিকে আমাদের
ক্ষুধা নয় ক্ষুধার্ত বাঘ ছিল তলপেটের নীচের অংশে, একবার দীর্ঘ বুকের রেখাচিত্রে হাত
রাখতেই ঘুম ভেঙে গেল আমাদের মতো সব ধনাত্মক চাষিদের, যারা মাঝরাতে উঠে কুড়ি এমজির
ওমেপ্রাজল খায় তাদের স্বরবর্ণ নেই তাদের সন্ধি বিচ্ছেদ নেই তাদের সমাজ নেই তাদের তাপমাত্রা
নেই তাদের বাষ্পায়ার নেই শুধু একটা অগ্নিময় ডহরপুর আছে, একটা তেজস্ক্রিয় বাসস্থান
আছে, আমার শরীরের দু’পাশে দু’টো দ্বিধাতব পাত লাগিয়ে আমি নিজের হাঁটুর ভেতরে ভাঁজ
করা দু’টো মেরুদণ্ড খুলে ফেললাম, ঋত্বিক পুরুষেরা কালো পেয়ালার ভেতরে চৌকোনা অন্ধকার
ছাড়া মধ্যরাতে আত্মসমর্পণের জন্য আর কোন অস্ত্রাগার দেখতে পেল না। প্রতিদিন মহাশূন্যে
রোজ সাদা রঙের বীর্যরস ছড়াতে ছড়াতে চাঁদ কতবার ধ্বজভঙ্গ অসুখে ভুগেছিল আমাদের নিরাময়
তন্ত্রের সীমারেখা ধরে তিস্তা বয়ে গেছে একদিন ওই নীলান্তক অববাহিকার দিকে, আমি আর
ঋষিকুমার জলের ভেতর থেকে কেবল মাত্র দু’টো বৃন্তহীন বরফ-আপেল নিয়ে অসীম গন্তব্যের
দিকে হেঁটে গেছি আমরা আসলে আদম ও হব্যবতী ছিলাম, বরফের সাথে আমরা সবাই মৃতদেহের ব্যাসার্ধ
চিরে চিরে খাচ্ছি
প্রভিডিন অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিতে এক গুচ্ছ সরল সুতোর
মতো সাদা পোকাগুলো খণ্ড খণ্ড হাতের ক্ষতগুলো নিয়ে মধ্যরাতেই আমাদের মৃত মানুষদের পাহারা
দিচ্ছিল মৃত মানুষদের ভেতর একটা করে দীর্ঘ ঈ-কার ঘুম থেকে যায় বলে স্থাপত্য ভেঙে ক্ষত্রিয়
অন্ধকারে তারা নিপুণ শৌনক পরবর্তী জলাশয়ের নীচে পার্বত্য ঘুমে ঢলে পড়ে আর এক অযোগবাহ
নদীটির দিকে
আমাদের ত্রিশূল যোগ ছিল আমাদের কাছে এক মহাবাবার জীবাশ্ম ছিল লিঙ্গ ছিল মহালিঙ্গ ছিল ধনুর্ধর ছিল আজ চাঁদ ওঠা রাতের প্রতিটি খাঁজের ভেতর রজনিগন্ধা একা একা গর্ভবতী হয়ে পড়ছে, ঈশ্বর হত্যা করার কোন মন্ত্র নেই বলে লাল লেলিহান মহামন্ত্রেরা নিঝুম স্নান করে এসে বাবার মতো সরলবর্গীয় শুয়ে আছে। আমাদের শুধু একটা ঋষি বীজপত্রের দরকার ছিল যারা আলট্রাসোনিক তরঙ্গ নিয়ে পেটের ভেতর থেকে সংক্রমণ স্থানের এক টুকরো মাংস নিয়ে আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে আর দুটো কাঁকড়া বিছা অলৌকিক মায়ার স্নানঘরে স্নান করছে আত্মচৈতন্য আসা অবধি
রাতের কোনো নিজস্ব লোহিত কণিকা নেই সারা শরীরের অসংখ্য
রক্ত স্নাতক নৌকা বুকের ক্ষত ছেড়ে দেওয়ার পর নীলাভ পরিব্রাজকেরা জলাশয়ের পাশে নিপুণ
সাপেদের সাথে বারবার হলদে পুরুষদের মতো যকৃতের নীল ক্ষত মুখ তৈরি করছে আমরা যারা কেমোথেরাপির
মতো নীল ফুল দোকানে গিয়ে অসংখ্য গ্যাডিওলাসের মুখ কিনি তারা জানে সনাতন রাউল নামক
এক অনুচক্রিকার মতো শিথিল গোলাপ ফুলের প্রতিটি ক্ষত মুখে আমার মৃত মায়ের মতো একটা
সুদৃশ্য নারী আবিষ্কার করতে পারি আমি আর্ত চিৎকারে কেঁদে উঠলে অসংখ্য উপাচারের নীল
স্বরবর্ণীরা ত্রিভুজের পরিমিতি ভেঙে দেওয়ার পর আমাদের রক্ত তঞ্চনের নিলামে ওঠা ঘোড়াটিকে
ঝুলিয়ে রাখে আমার শরীরের মতোই অবিকল এক জীবাশ্মের চারপাশের জীবাশ্ম মাঝে মাঝে জননেন্দ্রিয়হীন
থাকলেই সমকোণী থাকা যৌন পর্দার মতো গর্ভনিরোধক ঔষধি বৃক্ষের তলায় মাছের অ্যাসিটিক
বমি খেয়ে ফেলল সব সমাধির ভেতরে থাকা দেবদাসীগণ কমলালেবুর মতো এক সুদক্ষ নাবিকের নৌকার
মতো জমে থাকা রক্তের উপত্যকা ছিঁড়ে ফেলল
ডান নিলয়ের পাশে বসে থাকা পাখিগুলোর মধ্যে রাত পেরিয়ে
যাওয়ার পর ডায়াফ্রাম নামক বিশুদ্ধ নগরীতে নিপুণ স্নানের পর অসংখ্য লোহিত কণিকাদের
সাথে এক-একটি পঞ্চম উপাচারের দীর্ঘশুদ্ধির মতো বশিষ্ট অন্ধকারে নিজেদের নিমগ্ন করলেন
ঈশ্বর, আমাদের সারা শরীর জুড়ে তখন নীল মহাপুরুষ গড়ে উঠছে, গা থেকে অসংখ্য মহা জলপ্রপাত
নির্গত হতে চোখ হাত ও কানের ভেতর থেকে দীর্ঘ রক্ত চন্দনগাছগুলি বেড়ে ওঠার পর আমরা
বারবার পরমাত্মতত্ত্ব, জীবাত্মা তত্ত্ব, অচিন্ত্য তত্ত্ব জীব তত্ত্ব একে একে আত্মস্থ
করছি
অর্গাজম বিষয়ক লাল পাখিগুলো মধ্যরাতেই বারবার দেহজ
খোলস ত্যাগ করে নীল ভূমধ্যের ভেতরে থাকা ভগ্নাংশে ঢুকে গেল, আমাদের তখন মৃত হরিণ শিকারের
সন্ধানে সোনালি মাছেরা আঙুলগুলোকে লৌহজনিত তরল পদার্থ করে নেওয়ার পর রক্তচাপের দীর্ঘ
নীল জলাশয়ে নেমে শিকার ভক্ষণের নামে আমার দুটো চোখ নিয়ে গেছে, আমি আঙুলের মতো এত
দৃঢ় মোমবাতি দেখিনি যে মৃত্যুর আগেও প্রতিদিন সঙ্গম পরবর্তী আগুনের রূপান্তরিত চোখগুলোকে
গেঁথে গিয়ে রক্তের ভেতরে থাকা রক্ত পুঁজ আর পোকাগুলোকে একে একে ছুঁড়ে দিচ্ছে হলুদ
জলাশয়ের দিকে
অনন্ত প্রহর পেরিয়ে গেলে এক রুপালি নক্ষত্রের বুক চিরে নেমে আসে মধ্যরাতের একটি সাদা পায়রা, আমি তার মুখে আমার নিজের উচ্ছিষ্ট রক্তবমি রেখে দেওয়ার পর আমরা একটি দোলনায় চড়ে পৃথিবীর তৃতীয় কক্ষ ছাড়িয়ে আর একটা নতুন গ্রহের দিকে চলে যাচ্ছি, আমাদের পায়ের ভেতরে কিছু অদৃশ্য যুধিষ্ঠিরের পাণ্ডু বিষয়ক গোপন রোগ ছিল, বুকের কাছে ছিল হৃদরোগের উপসর্গ স্নায়ুতন্ত্রের কাছে ছিল উন্মাদ ধনুক, কুঠুরি হত্যাকারীরা আঙুলগুলোকে কামড়াতে কামড়াতে নিজেদের পাঁজর ছাড়িয়ে আরেকটা ঈশ্বরের শরীরের দিকে উঠে যাচ্ছিল তিনটি ত্রিশূল দণ্ড নিয়ে সকলের জিভের কাছে একটা ব্রহ্ম চেতনাময়ী ঈশ্বরী নারী শুয়ে থাকে আমি মাঝ রাতে উঠে তার দেহের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা এলাচ ফুলের গন্ধ আর হোম পরবর্তী ছাইগুলোর ঘৃতাহুতি গন্ধ নিয়ে আমি কতদিন আগে সন্ন্যাসী হয়ে গেছি, ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন তিনি আমাদের নদীর পাড়ে থাকা অলৌকিক ছায়াভূমি দেখে শুক্রাচার্যের কথা মনে হচ্ছে আজকাল, রাজশ্রী বস্ত্রালয় নামক এক গোপন অন্তর্বাস দোকানের ভিতর থেকে আমি ৩৬ দৈর্ঘ্যের নীলাভ পিরামিড ঢাকা কালো পর্দা কিনে নিঃশর্ত ফিরে আসি হেরোডেটাসের ঘোড়ার মতো, সব ধনুকের নীচে যে ঋষিরা নিপুণ স্নান করত তারা সবাই লজ্জাবতী আগুন মাথায় রেখে আগুনের তাপ ও মুনিঋষিদের অবৈধ চুম্বন জিভটিকে কেটে ফেলে দিচ্ছে আকাশ গঙ্গার সাঁকোতে, কালো ব্রহ্মোত্তর বাড় পেরিয়ে এলে অবৈধ জননতন্ত্রের পাশ দিয়ে একটা নীলাভ আকাশের সেতু পেরিয়ে যাচ্ছে, মহাজাগতিক ও দুর্বোধ্য তত্ত্বের কোয়ান্টাম পাখিগুলো হলুদাভ ব্রহ্মাস্ত ফেলে ক্ষত মুখে থাকা লাশটির গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে অ্যালকোহলিক স্বাদ গ্রহণ করছে। মৃত মানুষের কপালের কাছে একটি আম্লিক নদী লুকিয়ে থাকে সবসময়
উড়তে উড়তে আমার জিভের অসংখ্য আততায়ী মধ্যরাতে উঠে
নিজের পাগুলোকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল মাংসল ঠোঁট দিয়ে
ঈশ্বরের উনুন ভর্তি বমির নীল প্রতিবিম্বহীন দণ্ডায়মান আদিম ঘোড়া আমার পিঠের উপর দাঁড়িয়ে রক্ত স্নাতক শব্দ তুষার যুগের নীল প্রস্থচ্ছেদের এগারোটি হাতিয়ার ফেলে দেওয়ার পর আমার বুকের কাছ থেকে অজস্র প্রত্নতাত্ত্বিক বৃশ্চিক লগ্নের ধাতব শুঁয়োপোকাগুলো উড়তে উড়তে ল্যাটেরাইট অধ্যুষিত নিষ্প্রাণ জলপ্রপাতের ভিতরে ঢুকে গেল, আমি দুই আঙুল দিয়ে কার্বনেটের ওষুধ খাচ্ছিলাম, চেটে চেটে খাচ্ছি মাংসল দেহাবশেষ শীত প্রাণীটির রক্ত জীবের মতো এখনই ঘন্টা বেজে উঠলে রাতের লাল মুখোশেরা জবাফুল নিয়ে আমাদের ধনাত্মক সরোবরে নিয়ে যাবে স্নান পরবর্তী আমার দেহগুলো কেটে কেটে খণ্ড করার জন্য, কোন এক ঘাতক আমি, ভোরবেলায় কাচগাছের মতো এত স্বচ্ছ অলৌকিক শরীরের সাথে দেহজ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছি, জলাশয়ের পাশে এসে চেরা চেরা সাপ জল ছুঁয়ে তৃষ্ণার্ত সেজে রাতের ছায়াকেই ছোবল মেরে চলে যায় পড়ে থাকে রক্তবমি বিষ আর বীর্যের সনাক্তকরণ সেবিকার পরিচ্ছদ, লিপস্টিক পিচ্ছিল ভ্যাজাইনা
তুহিন পুরুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে জমে থাকা বিলীয়মান রাতের গোলক যারা দুই হাতে ছিঁড়ে ফেলে তারা জানে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির পর নিম্নবর্গীয় তরুক্ষীরের দাঁতগুলো এক-একটা নারীকে কামজ্বরে বিঁধে দেওয়ার পরও দেবতা ও বজ্রের মতো ধারালো অস্ত্রটি নিজের বুকে গেঁথে নেয়, নৌকাটিকে একটি সোনার শিঙের সাথে বেঁধে রাখি তিন হাজার বছর
দৈবাৎক্রমে ব্রহ্মাণ্ডের নাভি দু’টো ছিঁড়ে গেল, তলপেটের বামদিকে থাকা ক্ষুদ্রান্তের নীলাভ উদ্যানের অজস্র ঊষর মরুভূমির বাৎস্যায়নীরা মাঝ রাতে কামদেবের সাথে অহেতুক ছড়িয়ে দিচ্ছে আঙুল ভর্তি ফাটলের পরিমিতি বীজ, ঈশ্বরী রমণ স্নান পরবর্তী বাঁশি নিয়ে আমাদের সাথে জলজ মহাদেশে নোঙরহীন লাল কাপড়ের টুকরোগুলোকে পুড়িয়ে রজঃরক্ত মেশানো মোমবাতি, গুহাদেশের মুখে আটকে দিতেই আমাদের মতো ভ্রুণেরা মোম কুঠুরিতে হলুদ বমি জমিয়ে রাখল, আমি বাবাকে দেখেছি বাবা ছাড়া এ পৃথিবীর সকলেই বৈধ ধান জমির চাষাবাদ করে, তার আঙুলগুলোকে রাখে নরম মাটির দাহের ভিতরে মা আসলে একটা পৃথিবীর নিম্নবর্গীয় অচৈতন্য মরুভূমির খেজুর গাছের পাতা, প্রতিদিন রাতের সঙ্গম পরবর্তী শিথিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুখের ভেতরে দুই পাপ ইনহেলার চুষে খাচ্ছে, ইনহেলার কোন মানুষকে নিরাময় দিতে পারেনি বরং তার রক্তের ভেতরে বয়ে যাওয়া প্যারাটাইফয়েড ঔষধগুলো পেন্ডুলামের মতো দুলতে দুলতে দেওয়াল থেকে নেমে এসে প্রতিটি নারীকে কাচঘরের অধিবাসী করে গেছে, জিলেটিন স্টিক, বারুদ ভর্তি পাইন অববাহিকার নৌকা, নাসপাতি বাগান, ধাতব অসুখ কোহল সন্ধান, কাটা মাংসের খণ্ড, হরিণীদের আত্মসমর্পণ, ক্যাপসিকামের ভগাঙ্কুর, পাটিগণিতের তৃষ্ণা একে একে আমার শ্মশানবন্ধু সেজে সকলেই হলুদ ফুল মাথায় নিয়ে নৌকা থেকে ঝাঁপিয়ে গভীর উপসাগরে স্নান সেরে আসল, ঈশ্বরের মতো আমি তপস্যার নীলাভ অক্ষরগুলোকে কুড়িয়ে জমা করেছি গুহার ভেতরে থাকা এক স্বর্ণালংকার পাত্রে, বমি করলে মানুষের মুদ্রাদোষ চলে যায়
মায়েরও কত বার শ্বেত প্রদর অসুখ হয়েছিল, মায়ের কত বার উচ্চ-রক্তচাপের নীল জিরাফগুলো গলায় পেঁচিয়ে অজগরের মতো বদরক্ত টেনে নিয়েছিল পেটের ভেতর থেকে আমরা সবাই মোমবাতি উনুন আর উজ্জ্বল ফসফরাস খণ্ড জ্বেলে তার চারপাশের চাঁদকে পাহারা দিচ্ছিলাম, মৃত্যুকে পাহারা দিচ্ছিলাম আর রাতের নরক কন্দ থেকে উঠে আসা ৮৪ লক্ষের যম দ্বারকাপুরের দ্বাররক্ষীদের পাহারা দিচ্ছিলাম
মায়া নারীটি লাল অন্তর্বাসের তলায় এক ভূগোলের স্থাপত্য লুকিয়ে রাখে বলে আশ্রমের গোপন কক্ষের কাছে এক-একটি মানুষ শিলাজিতের গুঁড়ো গুঁড়ো পাথরকুচি খেয়ে অশ্বখুরাকৃতি বদ্বীপে নোঙরহীন, পরিচ্ছদহীন স্নানাগারে নেমে যায় ডুবুরি পাখিদের নিম্নাঙ্গ ঝুলে থাকা অজস্র অপরিচিতা স্তম্ভমূলের মতো প্রতিটি ছায়াকে বায়বীয় হয়ে যেতে দেখে অর্ধ মৃত রবি পূজারীর পচে যাওয়া যকৃত খণ্ড নিয়ে আমি অসুখের বারানসী আবিষ্কার করি, কিছু মরিচ গুঁড়োর ত্রিভুজ গন্ধ নিয়ে আমি কাচের পাজামাগুলো ছুঁড়ে দেওয়ার পর একটা কঙ্কাল শরীরের অতৃপ্ত যৌনগ্রন্থিগুলোকে দুই হাতে পিংপং বলের মতো নাচাতে নাচাতে স্নান ঘরের জলের কৌটোয় রেখে যাচ্ছি, আমি খুব ভোরবেলায়
ইন্দ্রের মতো কোনো এক শৃঙ্গার বিশেষজ্ঞ পুরুষ আর সৃবলা নারীদের কাম বিমোহিত করতে না পেরে অভিশাপগ্রস্থ ঠোঁট নিয়ে মদন গুপ্তের শরীরে ত্রিভুজের ভাঙা দাঁতের জটিল অন্ধকার গড়ে দিচ্ছি, একটি দীর্ঘ মানুষ দীর্ঘ তীর্থ ভ্রমণের যজ্ঞ সেরে ত্রিফলা উপত্যকার নিম্ন জলাভূমিতে স্নান পরবর্তী মৃৎশিল্পী হয়ে উঠছেন, করছেন মন্দিরের চারপাশে জলে নেমে নিজের অবয়ব তৈরি করছে পুড়ে যাচ্ছেন সিংহল অবধি এখানে পাণ্ডু নেই এখানে কোন কুরুক্ষেত্র নেই আমি শুধু মন্দিরের কাছে স্পাইরালের মতো লোহিত কণিকাময় খণ্ডটি নিয়ে একটা অর্ধ খণ্ড শরীর, দুর্গন্ধ ওড়া গ্লাভস, ভ্রুণের অবৈধ চিৎকার আর বিভীষিকাময় রাতের সর্বাঙ্গাসন অন্তর্বাসের নীচে নীল পারদ খণ্ডটি আবহবিদদের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো কাচ খাচ্ছি,
একাদশ জনপদে কোশল অধিপতি সেজে বাবা ভোরবেলায় সব হায়ারোগ্রিফিক ভেঙে নিঝুম কনিষ্কের মতো একা একা চৈতন্যপুর পেরিয়ে যাচ্ছে তার হাতের তিনটি আঙুলে জমে থাকা বরফের কুচিগুলো কৈলাসের গোপন কক্ষ থেকে ফিরে এসে একটি নারীর বেশে দীর্ঘ নৃত্য শেষে রেখে যাচ্ছে প্রবাল সমগ্র, আমরা কতদিন সাইটোপ্লাজম খাইনি আমরা দুই হাতে শুধু নিউক্লিয়াসের মতো অবৈধ স্নায়ুতন্ত্র ছিঁড়ে দেওয়ার পর আমাদের পিঠে গজিয়ে ওঠা এক পুরুষ থেকে তিন জোড়া পাথরকুচির নারীদের সাথে হরপ্পা মহাসাগরে বসে অদ্ভুত প্রাণায়াম করছি, বাৎসরিক শ্রাদ্ধের পর মায়ের ঠোঁটে কেবল সালফিউরিক নিকোটিন জ্বেলে আমরা মহাজাগতিক ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছি, আমার দুই হাতের ক্ষীরোদ সাগর থেকে ঈশ্বরীয় তরুক্ষীর নেমে যাচ্ছে একা মা গোপন অন্ধকারে লাল স্ট্রবেরির তলপেট ভেবে চুষে খাবে বলে, পুরোহিত ক্রমশ ধ্যানমগ্ন মন্ত্রেষ্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি তাম্রখণ্ডের আচমন নিয়ে সমর্পণ করছেন এ জন্মের সব মোক্ষ, ডুবুরি পাখিটি একা একা ইলোরা সরোবরে স্নান করছে, আমরা এখন সূর্যগ্রহণের বিশুদ্ধ তর্পণ করছি, আমার পূর্বপুরুষদের দেহ নির্গত আগুন পৃথিবীকে ঘিরে নিচ্ছে সোনালি কক্ষপথের সাদা ভৈরবী ঘোড়াটি শঙ্খযোগ নাচতে নাচতে ব্রহ্ম আলোকরশ্মির দিকে গিয়ে তৎক্ষণাৎ মিলিয়ে গেল, অমরাবতী পাখিটি নীল স্বর্গ থেকে উড়ে এসে ময়ূরাসন খুঁড়ছে দুই আঙুল দিয়ে
No comments:
Post a Comment