বাতায়ন/গল্পাণু/১ম
বর্ষ/৮ম সংখ্যা/১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
গল্পাণু
প্রদীপ কুমার দে
তোমার চোখে
কালবৈশাখী, উত্তাল নদী,
ছোট নৌকায় ফিরতি পথে হাল টানে সদ্য ফুটে ওঠা দাড়িগোঁফের বলিরেখায় উদ্ভাসিত এক
ষোলোকলা পূর্ণ হওয়া কিশোর, যার চওড়া কাঁধ, উন্নত বাহুদ্বয়, সুকোমল অবয়বে এক
তারুণ্যের ছবি আঁকা মুখের অধিকারী, সেই উদ্যমীর নাম— প্রতীক।
অন্য প্রান্তে, হলুদ
মেখে সদ্য বসন্ত পার করা ষোড়শী, যার ছিপছিপে শরীরে সরু কটি ছাড়িয়ে বক্ষঃস্থল।
ওড়নার পিছনে সদ্য প্রস্ফুটিত স্তনবৃন্ত, চওড়া উন্মুক্ত পৃষ্ঠদেশ, চকচকে চিবুক —
দুই ওষ্ঠের নিম্নদেশ, যুবতী হয়ে ওঠার অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে। নিটোল হস্তে
লিকলিকে দশ-দশটি আঙুলের ইশারা যেন মদিরা খেলায় লিপ্ত। তন্বী প্রকৃতপক্ষে এক
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূতা, ব্রিটিশ পিতার ব্যভিচারের কারণ যার ভারতীয় মাতার আত্মঘাতী
মরণ, এ সেই সুন্দরী নারী, নাম যার— উইনি।
— সরি, ক্যান ইউ টেল মি
হাউ অ্যাম আই?
তোমার ওই দুই চোখে দেখি
উত্তাল কালবৈশাখীর ঝড়… এলোমেলো সব
নদীর উত্তরণে, চাপা পড়ে থাকা সূর্যের বিচ্ছুরণ
ঝড় থেমে যাবে একদিন, বৃষ্টির আলোয় ধুইয়ে তোমায়।
উত্তাল কালবৈশাখীর ঝড়… এলোমেলো সব
নদীর উত্তরণে, চাপা পড়ে থাকা সূর্যের বিচ্ছুরণ
ঝড় থেমে যাবে একদিন, বৃষ্টির আলোয় ধুইয়ে তোমায়।
বাতায়ন পত্রিকার জন্য রইল অনেক শুভকামনা ~
ReplyDelete