বাতায়ন/শারদ/অণুগল্প/১ম বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০
শারদ
| অণুগল্প
কিশোর
ঘোষাল
পুরানাবিক্রি
পুজোর আগে ঘরদোর
সাফ করাটা সংসারের একটা বড় কাজ। দেয়ালে, সিলিংয়ে, পাখার ব্লেডের ঝুল ঝাড়া। আচারের
শিশি, সসের বোতল জমে উঠেছে খাবার টেবিলের একধারে। সব ফেলতে হবে। অপ্রয়োজনীয়
অবান্তর জিনিষ - সব বাতিল। ও হ্যাঁ,
গতবার মায়ের ভোগ কিনে খাওয়া হয়েছিল, ওরা
দিয়েছিল মাটির নকশা করা পাতিল –সেটাও এবার বাতিল। পুরোনো খবরের কাগজগুলোর গতি করতে
ডাকলাম পুরোনো কাগজ বিক্রিওয়ালাকে। বারো কেজি কাগজ, সঙ্গে ছ’ কেজি বই।
কাগজওয়ালা
তার বিশাল বস্তায় ভরে নিল সবকিছু, গেঁজ থেকে টাকা বের করতে করতে জিজ্ঞাসা করল, “পুরোনো
লোহা-লক্কড় নেই?” না। “পুরোনোঘড়ি, ইনভার্টার নেই”? “না নেই”। “পুরোনো মেরুদণ্ড?” না
বলতে পারলাম না। আছে তো!
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment