বাতায়ন/শারদ/কবিতা/১ম বর্ষ/২২তম সংখ্যা/১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০
শারদ | কবিতা
অজিতেশ নাগ
জীবাশ্ম
এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কালাশনিকভ, কিছু বারুদ, কিছু আধ পোড়া বুলেট। বরাক উপত্যকা নিস্তব্ধ বৃষ্টিবিনিময়ে রাজি হল। শত জীবাশ্ম চুপ! উচ্চারণ বারণ।
কে কাঁধে টোকা দিয়ে বলল – ‘চিনলে’?
উত্তর দেবার আগেই সে বলে,
‘শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জের পথে দেখে এলে ভরা পদক্ষেপে রক্তশ্রাব, হুলিয়া?’
দেখি রণেন্দ্র, দেখি নলিনী, বিধুভূষণ, রথীন্দ্র, ইয়াসিন, ইয়াকুব, অমল, শুধাংশু...
তোমরা দুঃখের কথা বল, তোমরা প্রেমের কথা বল, তোমরা অভিব্যক্তির কথা বল। এখনো আত্মগোপন! এখনো ধুলোচাপা জীবন! ডেকে দাও ডেকে দাও দিনের শরীর। ফিরিয়ে নাও জীবাশ্মঘেরা দিন, কিংবা; পেলব আঁচে সেঁকে তোলা রাত, মাংসল মুহূর্ত। বেয়নেট উঁচিয়ে তোলার দিন থেকেই এই আত্মজীবনী লেখা শুরু, আজো ক্ষান্তি নেই।
আমি ওদের তলপেট শুঁকি। বারুদের গন্ধ পাই, কাটিগোরার গন্ধ পাই, ভাষার গন্ধ পাই। অবয়ব বেশ খানিকটা আবছা – চিনি কি ওদের? শৈশবের রাতে লাউডগা ছড়ানো টিনের চালে...আর্তনাদ, একের পর এক বহির্গমন।
কিছু অলঙ্কার অন্ধকারেই ভাল। বুকের কাপড় গুছিয়ে মা ফিরে এসেছেন বরাক উপত্যকা থেকে। এবার দরজায় টোকা দিয়ে শুধাবো – ‘মা আছো? একটু ভাত বেড়ে দিয়ো মা, ওরা ক্ষুধার্ত’।
উত্তর দেবার আগেই সে বলে,
‘শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জের পথে দেখে এলে ভরা পদক্ষেপে রক্তশ্রাব, হুলিয়া?’
দেখি রণেন্দ্র, দেখি নলিনী, বিধুভূষণ, রথীন্দ্র, ইয়াসিন, ইয়াকুব, অমল, শুধাংশু...
অপূর্ব!!!
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ReplyDelete