প্রাপ্তমনস্কদের পত্রিকা

মননশীল কলমকে উৎসাহ দিতে... পড়ুন, পড়ান, আপনার মূল্যবান মতামত দিন।

রং | প্রতিজ্ঞা

  বাতায়ন/ রং /সম্পাদকীয়/২য় বর্ষ/ ৩ ২তম সংখ্যা/ ২৯শে ফাল্গুন ,   ১৪৩১ রং | সম্পাদকীয়   প্রতিজ্ঞা "নির্ভীক একটি ফুলের মতো মেয়েকে চরম লাল...

Friday, January 12, 2024

প্রাক্তন | মেখলা ঘোষ দস্তিদার

বাতায়ন/ছোটগল্প/১ম বর্ষ/২৮তম সংখ্যা/২৭শে পৌষ, ১৪৩০

ছোটগল্প
মেখলা ঘোষ দস্তিদার

প্রাক্তন


নাগরিক ভিড় ঠেলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সোহমের সন্ধ্যা সাতটা বেজে যায়… নিজেই চাবি দিয়ে তালা খুলে ঘরে ঢোকে, পোশাক ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে এসে বসে, ফ্লাস্কে রাখা চা কাপে ঢেলে চুমুক দিতে দিতেই সায়নীর

মা এসে কলিং বেল বাজায়, কাপ হাত নিয়েই দরজা খুলে দেয় সোহম, সকালে রান্না করে চলে যায় তারপর আবার রাতের রুটি-তরকারি করতে আসে সায়নীর মা, সোহম বাড়ি ফিরে কোনোদিনই সাথীকে পায় না, ও তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে সান্ধ্যভ্রমণে, আটটা সাড়ে আটটার মধ্যে ঘরে ফেরে, তারপর ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যা দেখিয়ে ঠাকুরকে ভোগ দিয়ে পূজা সেরে শয়ন-শয্যা করে ঠাকুরকে শুইয়ে দিয়ে তারপর সোহমের সঙ্গে এসে দেখা করে, ততক্ষণে সায়নীর মা ডিনার বানিয়ে চলে যায় তা-ও প্রায় ন’টার মধ্যে।

একদিন রাত দশটা বেজে গেল সাথীর তখনও দেখা নেই, সোহম ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে করতে মাঝে মাঝেই উত্তেজিত হয়ে উঠে সায়নীর মাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল সাথী কোথায় গেছে সে ব্যাপারে কিছু জানে কি না বা সাথী কিছু বলেছে কিনা… সায়নীর মা বলে সে কিছুই জানে না আর একথাও বলে সাথী বউদি তাকে কিছুই বলে যায়নি, সোহম কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না ওদিকে সায়নীর মাকে আটকে রেখেছে ওরও বাড়ি যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে ঠিক এমন সময়ে সাথী প্রবেশ করল ঘরে, কারোর সঙ্গে কথা না বলে সোজা চলে গেল নিজের বেডরুমে, ঘন্টাখানেক বাদে সোহম ঢুকল সাথীর রুমে, চুপিচুপি ব্যাগটা খুলে তন্নতন্ন করে কী যেন খোঁজার চেষ্টা করল, হঠাৎ ব্যাগের ভিতরের চেন খুলতেই একটা ছবি আরেকটা প্রেসক্রিপশন চোখে পড়ল, অবাক হয়ে বার বার দেখতে লাগল সেই ছবিটা… সোহমের ক্লাসমেট অমিতাভ… সাথীর প্রাক্তন।

 

সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment

মোহিনীমায়া


Popular Top 10 (Last 7 days)