বাতায়ন/বিরহ/কবিতাণু/১ম বর্ষ/৩০তম সংখ্যা/১১ই ফাল্গুন, ১৪৩০
বিরহ | কবিতাণু
সুশান্ত সেন
ম্যাডক্স
স্কোয়ারে ও অন্য চার
ম্যাডক্স
স্কোয়ারে
তুমি ট্রেন ধরে চলে গেলে
মুসৌরি, ছুটি কাটাতে
পুজোর ছুটি।
ট্রেনের শেষ আলো নিবু নিবু
মিলিয়ে গেল গতিহীন এক কুয়াশায়।
এই পুজোয় ম্যাডক্স স্কোয়ারে আলো
জ্বলবে না আর।
অবহেলা
অবহেলা করে দূরেই সরিয়ে দিলে
তবু বন্ধ দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকলে,
হাত রেখে দিলে দরজার খিলে।
এ কেমন ছলনা কে জানে
অবহেলা কি অন্তরের আগুন টেনে আনে?
কে জানে!
বিপরীত
ট্রেন দুটো চলে গেল দু দিকে
একটা পুবে আর অন্য একটা পশ্চিমে
সে এক ট্রেনে
আমি অন্য ট্রেনে
আর কখনো দেখা হবে না?
নাকি দেখা হতেও পারে
কোনো একদিন মোহনা পেরিয়ে!
শূন্যতা
ডায়েরির কিছু পাতা লেখা বাকি সাদা
চুলের ফিতে মাথার কাঁটা
সিঁদুরের পুরনো কৌটো
বঙ্গলক্ষ্মী, যদু বাবুর বাজার থেকে কেনা
কুরুস কাঠিতে বোনা ছোট ঢাকনা
বুকের ওপর চেপে বসেছে।
বিরহ ও প্রেম
যদি ভালই না বাস তাহলে
"দূরে থাকা" - বুঝবে কীভাবে?
বিরহ ও প্রেম এক সঙ্গেই
গাছ তলায় বসে ছিল,
যত দিন না ঘণ্টার শব্দ শোনা গেল।
মুসৌরি, ছুটি কাটাতে
পুজোর ছুটি।
ট্রেনের শেষ আলো নিবু নিবু
মিলিয়ে গেল গতিহীন এক কুয়াশায়।
জ্বলবে না আর।
তবু বন্ধ দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকলে,
হাত রেখে দিলে দরজার খিলে।
অবহেলা কি অন্তরের আগুন টেনে আনে?
একটা পুবে আর অন্য একটা পশ্চিমে
সে এক ট্রেনে
আমি অন্য ট্রেনে
আর কখনো দেখা হবে না?
কোনো একদিন মোহনা পেরিয়ে!
চুলের ফিতে মাথার কাঁটা
সিঁদুরের পুরনো কৌটো
বঙ্গলক্ষ্মী, যদু বাবুর বাজার থেকে কেনা
কুরুস কাঠিতে বোনা ছোট ঢাকনা
"দূরে থাকা" - বুঝবে কীভাবে?
গাছ তলায় বসে ছিল,
যত দিন না ঘণ্টার শব্দ শোনা গেল।
No comments:
Post a Comment