বাতায়ন/ত্রৈসাপ্তাহিক/গল্পাণু/২য়
বর্ষ/৩য়/বীথি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা/১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
গল্পাণু
গৌরী বিশ্বাস মৌ
রংবেরং
ভদ্রমহিলার নাম মুক্তি। ক্ষমতা থাকলে পৃথিবীর সব মানুষকে কষ্ট
থেকে মুক্তি দিতেন। গরিবদুঃখী
প্রয়োজনে সাহায্য চাইলে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে দিতেন না। নিজের মুখের গ্রাস অন্যকে তুলে দিতেন। ভালবাসতেন রং, বিশেষ করে সবুজ রং। বাড়ির বাগানে ফুল-ফলের গাছ লাগাতেন। পাড়ার মেয়ে-বউয়েরা সাজগোজ না করে অগোছালো থাকলে ভীষণ রাগ করতেন। বলতেন একটাই জীবন সাজিয়ে গুছিয়ে রাখ। তোরা রংহীন ফ্যাকাশে হয়ে ঘুরে বেড়াস কেন?
প্রয়োজনে সাহায্য চাইলে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে দিতেন না। নিজের মুখের গ্রাস অন্যকে তুলে দিতেন। ভালবাসতেন রং, বিশেষ করে সবুজ রং। বাড়ির বাগানে ফুল-ফলের গাছ লাগাতেন। পাড়ার মেয়ে-বউয়েরা সাজগোজ না করে অগোছালো থাকলে ভীষণ রাগ করতেন। বলতেন একটাই জীবন সাজিয়ে গুছিয়ে রাখ। তোরা রংহীন ফ্যাকাশে হয়ে ঘুরে বেড়াস কেন?
নিজে অতি সাধারণভাবে থাকতেন। কিন্তু স্নানের পর কপালে বড়
একখানা সিঁদুরের টিপ আর সিঁথি ভর্তি করে সিঁদুর পড়তেন। ডিপ রংয়ের শাড়ি পড়তে
ভীষণ পছন্দ করতেন। সবসময় মুখে পান থাকত। পানের রসে ঠোঁট দুখানা টুকটুকে লাল হয়ে
যেত।
একদিন তার জীবনের সব রং মুছে গিয়ে সাদা হয়ে গেল। হঠাৎ করে স্বামী মারা যাবার পর নিজেকে অলংকারহীনা করে সাদা থানে মুড়ে ফেললেন। তার একমাত্র মেয়ে বলল, 'মা হালকা রঙের শাড়ি আর হাত দু'খানাতে দুটো চুড়ি তো পড়ে থাকতে পারো।’ মুক্তি মেয়েকে বললেন, ‘যিনি রঙিন করে রেখেছিলেন। তিনিই সব রং মুছে দিয়ে চলে গেছেন। আমৃত্যু আমি রংহীন হয়েই বাঁচব।’
একদিন তার জীবনের সব রং মুছে গিয়ে সাদা হয়ে গেল। হঠাৎ করে স্বামী মারা যাবার পর নিজেকে অলংকারহীনা করে সাদা থানে মুড়ে ফেললেন। তার একমাত্র মেয়ে বলল, 'মা হালকা রঙের শাড়ি আর হাত দু'খানাতে দুটো চুড়ি তো পড়ে থাকতে পারো।’ মুক্তি মেয়েকে বললেন, ‘যিনি রঙিন করে রেখেছিলেন। তিনিই সব রং মুছে দিয়ে চলে গেছেন। আমৃত্যু আমি রংহীন হয়েই বাঁচব।’
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment