বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
সঙ্ঘমিত্রা দাস
শেষ
কোথায়?
রাত কেটে ভোর হয়-
ব্যস্ত শহর পাশ কাটিয়ে দ্রুত গন্তব্য পথে এগিয়ে যায়,
জনগণকে হাতিয়ার করে স্লোগানে
গলা মেলায় মাস্তান,
লক্ষ ভোটে জিতে আসা মন্ত্রী
বিচারের দাবী তোলে,
অসহায় শহরের বুকে হঠাৎ বৃষ্টি
নামে পূর্বাভাস ছাড়াই।
দহন | কবিতা
সঙ্ঘমিত্রা দাস
দিন শেষে সন্ধে নামে-
শহর পথে শত সহস্র শ্বাপদের
আনাগোনা,
শব হয়ে পড়ে থাকে মাঝ
রাস্তায়।
ব্যস্ত শহর পাশ কাটিয়ে দ্রুত গন্তব্য পথে এগিয়ে যায়,
জাগো জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব, জেগে ওঠো
ReplyDeleteসময় হয়েছে ঘুম ভাঙার। বড় কঠিন সময়
Deleteআজ না হলে আর কবে?
ReplyDeleteসেই উত্তরের আশায় আছি
Delete"শেষ কোথায়?"
ReplyDeleteকবিতাটি সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার এক মর্মান্তিক চিত্র তুলে ধরেছে।
এটি ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারহীনতা এবং সমাজের উদাসীনতাকে তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
কবিতাটি গভীর সামাজিক অবক্ষয়ের এক বাস্তব ও করুণ চিত্র তুলে ধরেছে।
"দিন শেষে সন্ধে নামে" থেকে "কাজ সেরে ঘরে ফেরার পথে মেয়েটা শব হয়ে পড়ে থাকে মাঝ রাস্তায়" - এই অংশটি নারীর প্রতি পাশবিকতা এবং নিরাপত্তার অভাবকে তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
এরপর "রাত কেটে ভোর হয়" অংশে সমাজের ক্ষমতাবানদের নির্লিপ্ততা এবং বিচারের প্রহসন দেখে মন বিষাদে ভরে ওঠে। "অসহায় শহরের বুকে হঠাৎ বৃষ্টি নামে পূর্বাভাস ছাড়াই" এই লাইনটি যেন সমাজের যন্ত্রণা ও অসহায়ত্বের প্রতীক। প্রতিটি স্তবকই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় - সত্যিই কি এর কোনো শেষ নেই? আপনার লেখনী পাঠককে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং ভাবতে বাধ্য করে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো কবি।
অসংখ্য ধন্যবাদ 🙏। খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন, বড় কঠিন সময়। পথে এতো ভয় নিয়ে পথচলা খুব অসহায় বোধ করি, মানুষ সত্যি মান আর হুঁশ নিয়ে পাশে থাকুক এটুকুই প্রার্থনা।
ReplyDelete