বাতায়ন/দহন/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | গল্পাণু
অর্পিতা
সাহা
স্বার্থ
"বয়স্ক বাবা-মায়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রিয়ার উপরে তাইতো রিয়া এত ছুটে বেড়ায় অর্থের সংস্থানে। অরণ্যকে ভালোবাসে ও, স্বপ্ন দেখে নিশ্চিন্ত একটা সুখী নীড়ের।"
ঘরে ঢুকেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জলের বোতলটা বের করে গলায় ঢালে রিয়া, উফ কী সাংঘাতিক গরম পড়েছে আজ। সারাটা দিন ঘুরে ঘুরে সেলসের কাজ করতে হয় ওকে, মাথার উপর ফ্যানটা ছাতার মতন ঘুরছে গায়ে হাওয়া লাগছে কই... ঠান্ডা জলটা পান করে একটু যেন দহনজ্বালা জুড়োল।
কমিশন বেশি হয় বেশি প্রোডাক্ট
সেল করতে পারলে। বাবা-মা আর রিয়া এই তিনজনের সংসার ওদের। বয়স্ক বাবা-মায়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রিয়ার উপরে তাইতো রিয়া এত ছুটে বেড়ায় অর্থের
সংস্থানে। অরণ্যকে ভালোবাসে ও,
স্বপ্ন
দেখে নিশ্চিন্ত একটা সুখী নীড়ের।
স্নান করে ভিজে চুল মুছতে
মুছতে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় কানে আসে মৃদুস্বরে বাবা-মায়ের কথোপকথন,
-মেয়েটা যত দিন
বিয়ে না করে ততদিনই আমাদের স্বস্তি,
জামাই
যদি বিয়ের পর আমাদের ভরণপোষণ নিয়ে আপত্তি তোলে।
মা বাবাকে বলে,
-আস্তে কথা বলো
মেয়ে শুনতে পাবে যে।
হঠাৎ রিয়া অন্তরে একটা
নিদারুণ দহনজ্বালা অনুভব করে।
সমাপ্ত
বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু। শুধু সন্তান না, বদলেছে মা বাবাও
ReplyDeleteকঠিন বাস্তব; যা বলে অন্ন এবং নিরাপত্তা আমাদের বদলে দেয়।
ReplyDelete