বাতায়ন/নৃপেন
চক্রবর্তী সংখ্যা/কবিতা/৩য় বর্ষ/২৮ সংখ্যা/১৪ই কার্ত্তিক,
১৪৩২
নৃপেন চক্রবর্তী সংখ্যা | কবিতা
অর্ণব সামন্ত
বালুচরির স্রোত
স্রোতকে ভুলতে চেয়েছি বালুচরিতে
বালু আর চরি দুটি শব্দের উচ্চারণে
মনে পড়ে চোরাবালির কথা যেখানে মানুষ
হাজার চেষ্টা করেও বাস্তবিক চক্রব্যুহে পড়ে যায়
অভিমন্যুর থেকে বড় হবার চেষ্টা করেও পারে না
আকন্ঠ মায় আমস্তক ডুবে যায় সহজিয়া ভঙ্গিতে
একটি সহজ গান গাইতে গাইতে, যার মর্মকথা
বেদনার বালুচরে খেলাঘর বাঁধার ইচ্ছা
মহাকালের বিন্দুর চেয়েও আরও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দু
অথবা প্রায়ই শূন্য শূন্যপুরের যার অনায়াস যাতায়াত
স্রোত বন্ধ হলেও তার মধ্যে আগুন থাকে
যা সেই স্রোতস্বিনীকে বা অন্তরঙ্গ হওয়া মানুষজনকে
পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়, কখনো-সখনো স্রোত দৃশ্যমান
না হলে ফল্গুভাবে বহমান হয়, তার চোরাবালিতে
সে প্রিয়জনকে গ্রাস করে আনন্দ পায়
তবে সে মৃত্যু মৃত্যু নয় মৃত্যুর অধিক মৃত্যু
যার সঞ্জীবনী সুধা পানে জীবন পেয়ে যায়
জীবনের থেকেও বেশি জীবন,
তখন স্রোতস্বিনী সমুদ্রে
হারায় নাকি
সমুদ্র স্রোতস্বিনীতে হারায় তার জন্য
কোনো ভূগোলবিদ বা সেচদপ্তরের আধিকারিককে লাগবে না
কিংবা জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার টারবাইন বা ইঞ্জিনিয়ার দরকার নেই
শুধু স্রোত বসে থাকে, হেঁটে বেড়ায়, ছোটে সহজ পোশাকে
সরল ভঙ্গিতে, অক্ষরে অক্ষরে ঢেউ লাগে
বিবর্তনে বিবর্তনে পরিবর্তনই ধ্রুবসত্য বলে
এক জীবন অন্য জীবনের ঠোঁটে চুমু খায়
আর শিস দিতে দিতে উদাত্ত গান গেয়ে ওঠে
সমুদ্র ফেনায়, জ্যোৎস্নায়, স্পন্দনে, কম্পনে, আনন্দের অর্গাজমে!
নৃপেন চক্রবর্তী সংখ্যা | কবিতা
অর্ণব সামন্ত
বালু আর চরি দুটি শব্দের উচ্চারণে
মনে পড়ে চোরাবালির কথা যেখানে মানুষ
হাজার চেষ্টা করেও বাস্তবিক চক্রব্যুহে পড়ে যায়
অভিমন্যুর থেকে বড় হবার চেষ্টা করেও পারে না
আকন্ঠ মায় আমস্তক ডুবে যায় সহজিয়া ভঙ্গিতে
একটি সহজ গান গাইতে গাইতে, যার মর্মকথা
বেদনার বালুচরে খেলাঘর বাঁধার ইচ্ছা
মহাকালের বিন্দুর চেয়েও আরও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দু
অথবা প্রায়ই শূন্য শূন্যপুরের যার অনায়াস যাতায়াত
স্রোত বন্ধ হলেও তার মধ্যে আগুন থাকে
যা সেই স্রোতস্বিনীকে বা অন্তরঙ্গ হওয়া মানুষজনকে
পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়, কখনো-সখনো স্রোত দৃশ্যমান
না হলে ফল্গুভাবে বহমান হয়, তার চোরাবালিতে
সে প্রিয়জনকে গ্রাস করে আনন্দ পায়
তবে সে মৃত্যু মৃত্যু নয় মৃত্যুর অধিক মৃত্যু
যার সঞ্জীবনী সুধা পানে জীবন পেয়ে যায়
জীবনের থেকেও বেশি জীবন,
সমুদ্র স্রোতস্বিনীতে হারায় তার জন্য
কোনো ভূগোলবিদ বা সেচদপ্তরের আধিকারিককে লাগবে না
কিংবা জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার টারবাইন বা ইঞ্জিনিয়ার দরকার নেই
শুধু স্রোত বসে থাকে, হেঁটে বেড়ায়, ছোটে সহজ পোশাকে
সরল ভঙ্গিতে, অক্ষরে অক্ষরে ঢেউ লাগে
বিবর্তনে বিবর্তনে পরিবর্তনই ধ্রুবসত্য বলে
এক জীবন অন্য জীবনের ঠোঁটে চুমু খায়
আর শিস দিতে দিতে উদাত্ত গান গেয়ে ওঠে
সমুদ্র ফেনায়, জ্যোৎস্নায়, স্পন্দনে, কম্পনে, আনন্দের অর্গাজমে!

সুন্দর
ReplyDelete