বাতায়ন/নৃপেন
চক্রবর্তী সংখ্যা/অন্য চোখে/৩য় বর্ষ/২৮ সংখ্যা/১৪ই কার্ত্তিক,
১৪৩২
নৃপেন চক্রবর্তী
সংখ্যা | অন্য চোখে
সৌমিত্র
চক্রবর্তী
দুর্গাপুজোর
বিশেষ ঘটনা
প্রান্তিক
"পূর্বী সমুদ্রের ওপরে ঝুলে থাকা বাষ্পের ঝুণ্ড আচমকা আকাশ বাইসন হয়ে আছড়ে পড়ে মুখ আর মুখোশের যান্ত্রিক সভ্যতার অ্যাসফল্টের রাস্তায়, মধ্যযুগীয় বাড়ির বদ্ধ উঠানে, মেকি রেস্তোরাঁর রোমান্টিক টেবল্ ল্যাম্পশেডে।"
সূর্য কি পোড়ে! সূর্য পোড়ায়
তুমিও পোড়াও তবু কেন যে পুড়ি
না!
এ পোড়া দেশ শুধু গল্প শোনায়
আগুনের নদী ঘেরে সামুদ্র
সময়।
আসলে সেই কথাগুলো বলা হয়ে ওঠে
না, যেগুলো স্বপ্নের মধ্যেও
অলিগলি সাঁতরায়। দিন ওঠে, দিন নামে। মানুষের
হাতে-পায়ে শাখাপ্রশাখা। অহংকার কিংবা নমনীয়তার বৃত্ত
ছাড়িয়ে মাটির ভেতর থেকে ছলকায় বিগত গরমের ঘাম, রক্ত, কান্নার শহীদ ইতিহাস।
চোখের আড়ালে জমা হয় আশ্চর্য এক হ্রদের গভীর তলদেশ। একসময়ে হ্রদের বহির্গণ্ডী উপচে
গেলে বাষ্প হয় প্রাচীন পুরাতত্ব। আসলে কথাগুলো কথা থাকে না চিরকাল। না-বলা কথাদের
গায়ে জমে যায় অনড় সবুজ শ্যাওলা। রোদ্দুর আছড়ায়, বৃষ্টি অসময়ের নোনা গন্ধ ভাসিয়ে ভঙ্গুর করে দেয় কখনোই না
জন্মানো ভ্রুণ শব্দদের। বিরল প্রজাতির ঈগল হয়ে যায়, না-বলা কথারা। পূর্বী সমুদ্রের ওপরে ঝুলে থাকা বাষ্পের ঝুণ্ড আচমকা আকাশ
বাইসন হয়ে আছড়ে পড়ে মুখ আর মুখোশের যান্ত্রিক সভ্যতার অ্যাসফল্টের রাস্তায়, মধ্যযুগীয় বাড়ির বদ্ধ উঠানে, মেকি রেস্তোরাঁর রোমান্টিক টেবল্ ল্যাম্পশেডে।
কোনো শুরু ছিল না, তাই শেষও হয়নি
বিকার ছিল না, তাই নির্বিকার হওয়ার প্রশ্নও তোলেনি কেউ;
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার কিংবা ফুটফুটে
আলো
মেরুর বরফজ্বলন শেষে ছিল না
কোথাও,
এক অলীক ব্রহ্মের রূপক ঘিরে
রেখেছিল আব্রহ্মস্তম্ভ;
ছিল শুধু সুখ আর শোকের কল্পিত
মণ্ড।
যেতে যেতে থমকে দাঁড়ালে
নুড়ি কিছু কুড়িয়ে নিও ঝুঁকে
দূরের ফেলে আসা নদীচর
ক্যানভাসে
ধূসর মাছরাঙা আর নৌকার পাশে
সাবধানে রেখে দিও বর্ণিল
রূপকথা নুড়ি চিত্রবাস্তবতার
রঙ্গম অবকাশে চুপিসারে এক
কোণে
তারপর না হয় চলে যেও ব্যস্ত
রাজপথে।
No comments:
Post a Comment