বাতায়ন/নৃপেন
চক্রবর্তী সংখ্যা/গল্পাণু/৩য় বর্ষ/২৮ সংখ্যা/১৪ই কার্ত্তিক, ১৪৩২
নৃপেন চক্রবর্তী
সংখ্যা |
গল্পাণু
পুষ্প
সাঁতরা
ধ্বস
"তুই চাকরি করতে এসেছিস, সমাজসেবী নয়! শুধু জেনে রাখ তুই কিছুই দেখিসনি—"
প্যানেলটা দুবছর আটকে থাকার
পর, ঠিক পুজোর পরে
স্কুলের নিয়োগপত্র পেয়ে পলাশ মধ্যবিত্ত সময়ে যেন হাতে চাঁদ পেল। স্কুলটি ভাল, কিন্তু কোত্থাও ছায়াটুকু নেই, চুরি হয়ে গেছে। পলাশ ভাবে স্কুলের ছায়া ঘেরা পরিবেশ আনতেই
হবে। স্কুলের কিছু শিক্ষক এবং ছাত্র নিয়ে স্বপ্নচারা মাটিতে বসাতে থাকে! অর্জুন, জারুল, বকুল—
শিশুচারা এখন বাল্য-কৈশোর পেরিয়ে
যৌবনে, পলাশ আর বদলিও হয়নি অনুভূতির
মায়াটানে! বাতাস পাতায় পাতায় খুনসুটি করলে পলাশ আপনমনে হেসে ওঠে! বাড়ির জন্য
পলাশের মনখারাপ করছে, ঠিক পুজোর ছুটিতে
বাড়ি আসে, মন পড়ে থাকে বৃক্ষের কাছে। তিষ্টোতে
পারে না কিছুতেই, অজানা আশঙ্কায়! কিন্ত
স্কুলের কাছে আসতেই বুকের ভিতরটা মোচড় দিলে,
ডুকরে
কেঁদে ওঠে, মাঠ আছে গাছ নেই।
গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে
পঞ্চায়েত সদস্য। স্কুলের গাছগুলো কে কেটেছে—? বাইকের উপর পা তুলে রাবণ হুংকার দিয়ে বলে,
-জবাব চাওয়ার তুই কে? তুই চাকরি করতে এসেছিস, সমাজসেবী নয়! শুধু জেনে রাখ তুই কিছুই দেখিসনি— ঠিক আছে— একরাশ
দাম্ভিক কালো ধোঁয়া উড়ে যায়। পলাশের বুকের পাড় ভাঙতে থাকে, ভাঙতেই থাকে—
সমাপ্ত

অসাধারণ সৃজন। মন ছুঁয়ে গেল
ReplyDelete