বাতায়ন/ছোটগল্প/১ম
বর্ষ/২৪তম সংখ্যা/২৪শে কার্তিক, ১৪৩০
ছোটগল্প
সুদামকৃষ্ণ মন্ডল
হস্টেল বাবা
সবেমাত্র বৃষ্টি থেমেছে। মা ফোন করলেন একমাত্র সন্তান স্বরূপকে। ভালমন্দ জিজ্ঞেস
করার আগেই "হস্টেল বাবা"কে সে জানালো, মা এক্ষুণি ফোন করেছেন, ভালমন্দ
জানতে চাইছেন, কথা কি বলব? মদ্যপ অবস্থায় তন্ময়
বলল, বল্, ফোনটা এক মিনিটে ছাড়বি। হস্টেল বারান্দায় স্বরূপের সহপাঠী নবীন বন্ধুরা
দাঁড়িয়ে। র্যাগিং চলছে। এই নিয়ে সে টুঁ শব্দটিও মাকে জানালো না। স্বরূপ ভয়ে
কাঁপছে। কাঁপা গলার স্বর মা তো বুঝবেন।
নাড়ির যোগ তো আছেই ।
কিন্তু কথা বলতে পারল না। "রাখছি মা-" বলে সুইচ্ অফ্ করল।
তন্ময় বলল, স্বরূপ - তোমার জন্ম তারিখ বাবা-মার নাম বলো। সে সঠিক উত্তর দিল।
তন্ময় আবারও বলল, তোমার বাবা-মার প্রথম সহবাসের তারিখ বলো? সে ঠায় দাঁড়িয়ে
ইতস্তত হচ্ছে।
- অ্যায় সৌগত, অভ্রনীল তোদেরটাও বল?
- কী বাবা? সৌগত বলল।
- জন্ম তারিখ, বাবা-মার নাম, প্রথম রাতে বাবা-মা সহবাসের পূর্ব মুহূর্তে কী কী বলে
যৌন মিলন করেছিল?
- সে তো আপনি জানেন বাবা।
- মানে! আমি কি তোদের মায়ের সাথে—
- না হলে হস্টেলে এসে আপনাকে বাবা বলতে হচ্ছে কেন? আপনি তো সকলের "হস্টেল
বাবা।”
- ছেলে হয়েছিস তোদের মা বলে দেয়নি? অ্যায় ব্যাটটা হাতে ধরিয়ে দে তো।
তন্ময় হাতে ব্যাট ধরে ওদের সোজা হয়ে দাঁড়াতে বলে সজোরে প্রত্যেকের হাঁটুতে
মারল। ওরা সবাই হাঁটু ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে ওর মদের
বোতল থেকে ছিপিতে গড়িয়ে আঘাত স্থানে ঢেলে ডলতে বলল।
- এই শোন, আগামী রবিবারের মধ্যে তোদের বাবা এবং নিজের কাঠির স্বাভাবিক এবং
অস্বাভাবিক অবস্থার দৈর্ঘ্য চাইই চাই। সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠি। চাঁদু সোনার
টুকরো। হা-হা-হা-। বলে টলতে টলতে চলে গেল।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment