গত সন্ধ্যার আড্ডায়
সুপ্রকাশ আড্ডায় বলছিল “১৯৫০ সালে যা সাধারণ চিন্তার বাইরে ছিল, আজ “সব কিছু হাতের মুঠোয়”। মোবাইল নাকি টিভির অনেক গুণ বেশি ব্যবসা করে চলেছে। সুন্দর মুখ সাহিত্যের পাতায় আসছে আরও বেশি করে আসবে”।
নরেশ বলছিল, “সাহিত্য অনেক পরে, সাহিত্যের মধ্যে মিশে আছে জীবন, চলন-গড়ন, সৃষ্টি-ধ্বংস বিজ্ঞান-কলা ইচ্ছে-অনিচ্ছে। সাহিত্য এমন লেখনী, যেখানে বুদ্ধিমত্তার আঁচ পাওয়া যায়৷ ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য, কলা ও শিল্পের বাস্তব জীবনের লেখকের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য রূপে লিখিত। সাহিত্যে কলা-রস-রং মজা-তামাশা আনন্দ-হতাশার প্রকাশ। সমাজজীবনে তুল্য রূপে সুন্দরের প্রতি আগ্রহ বেশি, সেখানে শতাংশের হারে মোট জনসংখ্যার সাহিত্যের ক্ষেত্রে তা অনেক কম”।
জয়ন্তদা ছিল শেষ বক্তা, “ইদানিং কালের সংযোজন সোশ্যাল মিডিয়া— এক-একটা আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্ম, তথ্য সমৃদ্ধ। ব্যস্ত জীবন এসবের উপর নির্ভরশীল হতে চায়। সমসাময়িক জীবনে যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট হওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অতি সহজেই। এর মাধ্যমে শিক্ষা-সচেতনতা ব্যবসা সব করা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাহিত্য যত জুড়বে সাহিত্যের অনুগামীর সংখ্যা তত বাড়বে। সাহিত্যের সাথে সুন্দর মুখ যত বেশি ব্যবহার হবে তত বেশি হবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এর পিছনে আছে ব্যবসা অর্থ ও মুনাফা। বর্তমানের সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment