চন্দ্রিমা
মামনির কথা শেষ না হতেই ওর মা জোর গলায় বলল—
বাড়িতে তার ভাল নাম ছিল চন্দ্রিমা, ডাক নাম মামনি। পাত্রের বাবা উমাকান্ত সিংহ বললেন না না শ্যামল তোমায় কোনও চিন্তা করতে হবে না। তোমার মেয়ে আমার মেয়ের মতো। আমার বাড়িতে থাকবে, আর ওখান থেকেই পড়াশোনা করবে।
তারপর বিয়েটা ভাল ভাবেই হয়ে গেল। শত আপত্তি ও কান্নাকাটি সত্ত্বেও মামনির বিয়ে হয়ে গেল। সাময়িক অর্থ আর আভিজাত্যের প্রলোভনে সমাজের হনুর মতো প্রমোশন পেলেন শ্যামল মিত্র। এরপর কয়েক মাস খুব আনন্দে কাটল মামনির, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মামনি অন্তঃসত্ত্বা হল। আর মামনির স্বামী অতীতের উচ্ছৃঙ্খলতায় আবার মেতে উঠল। বিভিন্ন জায়গায় কুকর্ম করে। শেষমেশ মামনির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল তার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়ল। মামনির মা বুঝতে পারল উমাকান্ত সিংহের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা। যে মিথ্যে কথায় মেয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেল।
মামনি আত্মহত্যা করল। মামনির আত্মহত্যার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল উমাকান্তবাবু ও তার ছেলের দুশ্চরিত্র ও লম্পট বৃত্তির কথা গ্রাম ও শহরে।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment