বাতায়ন/দহন/কবিতা/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | কবিতা
দীপক বেরা
দহন-স্নান
একাকিত্বের
একটা অবাধ্য উঠোন আছে
শুকনো পাতার মতো দু-একটা নিঃসঙ্গ শালিক
হঠাৎ যেন সুখরং মিশিয়ে দেয় চেনা অনুতাপে
পাহাড়ি উপত্যকার বৃষ্টিচ্ছায় শরীর-দেয়াল
মুখোমুখি বসা অনুঘটক, যাবতীয় হৃদস্পন্দন
অনন্ত পিপাসার কাছে বসি আরো পিপাসার্ত হতে
মাটির কলশি থেকে ঢালা এক গ্লাস জলের ভেতর
দেখি মহাসাগরের অফুরন্ত ছলাৎছল ঢেউ...
জলের আয়ুধ, বিপজ্জনক এই কুহেলিকা প্রেম
জাদুকাঠি দিয়ে কখনো কি পেড়ে আনা যায়
অনন্ত পিপাসার সেই চিরহরিৎ বাতাবি শরীর?
অবিরাম রক্তপ্রপাত অন্দরমহলে
অভিলাষে ভেঙেচুরে খানখান লোহিতহৃদয়
স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে ঘরের দেয়াল, আসবাব
মধ্যবুকের থেকে নেমে আসে ব্যথিত শ্বাস
কার্বনের গন্ধ, ব্রাউন রঙের ধোঁয়ার কুণ্ডলী নির্যাস
প্রণয়াস্পদ হৃদয়ের কত যে
কাছের
কিংবা সে মায়ার মতো, যত দূরেই যায়
তত দীর্ঘ হয় তার প্রলম্বিত ছায়া
বোধিমূলে সঞ্চারিত এক নীরব প্রাণের কণা
কাছে এলেই আগুনের পরশমণি ছোঁয়া
দূরে গেলেই ছেঁড়া আগুনের বুনো দহন
তখন বোধিমূল থেকে সরে যায় জল
মাটির মর্মে বাজে তরু-বীথির নৃশংস ডমরু
বিষাদ জমিয়ে শোণিত শস্যে ছড়িয়ে দেয় আগুন
শারীরবৃত্ত ছিঁড়ে সে এক অগ্নিময় সরগম
এক আড়ালশিখা জ্বলে বুকের ভেতর
মৌন মুখর এক তীব্র দহন-স্নান...
নিজেকে পুড়িয়ে এই যে আরও শুদ্ধ করা
সে-তো দখিনা বাতাস নিয়ে প্রেমের কাছে যাওয়া
বিশ্বাস করো, সেই থেকে—
চৈত্র-সন্ধ্যার প্রতিটি মায়া মেঘ নির্জনতায়
লেবুফুলের ম-ম গন্ধে আমি প্রণয়কাতর নীল
দহন | কবিতা
দীপক বেরা
সেদিন চৈত্রমাস, মায়া মেঘ নির্জনতা
সিঁদুরকৌটোর ভেতর একান্তে
লুকিয়ে রাখা
একটি লেবুফুলের বিষণ্ণ কুঁড়ি
কোনো এক ইমনসন্ধ্যায় পরম
নির্ভরতায়
ফুটে ওঠার গোপন আবেদন রেখে
চলে গেছে প্রেম নির্জনতায়
নির্ঝঞ্ঝাট
উন্মুল উদ্বাস্তু মানুষের
কোনও ছায়া উপনিবেশে
ফেলে রেখে গেছে কিছু
জ্যামিতিক বিন্যাস
সাময়িকতার তাপবর্জিত খুলে
রাখা অন্তর্বাস
মাথার কাঁটা, টিপ, পরিচিত সুগন্ধি —
পূরবীরাগের
সু-চিন্তিত পরিশীলিত
স্পর্শকাতর কিছু সংক্রমণ
যা নারীর গোপনীয়তার শাশ্বত
শিল্পধর্মী ধ্রুপদ
শুকনো পাতার মতো দু-একটা নিঃসঙ্গ শালিক
হঠাৎ যেন সুখরং মিশিয়ে দেয় চেনা অনুতাপে
পাহাড়ি উপত্যকার বৃষ্টিচ্ছায় শরীর-দেয়াল
মুখোমুখি বসা অনুঘটক, যাবতীয় হৃদস্পন্দন
অনন্ত পিপাসার কাছে বসি আরো পিপাসার্ত হতে
মাটির কলশি থেকে ঢালা এক গ্লাস জলের ভেতর
দেখি মহাসাগরের অফুরন্ত ছলাৎছল ঢেউ...
জলের আয়ুধ, বিপজ্জনক এই কুহেলিকা প্রেম
জাদুকাঠি দিয়ে কখনো কি পেড়ে আনা যায়
অনন্ত পিপাসার সেই চিরহরিৎ বাতাবি শরীর?
অভিলাষে ভেঙেচুরে খানখান লোহিতহৃদয়
স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে ঘরের দেয়াল, আসবাব
মধ্যবুকের থেকে নেমে আসে ব্যথিত শ্বাস
কার্বনের গন্ধ, ব্রাউন রঙের ধোঁয়ার কুণ্ডলী নির্যাস
কিংবা সে মায়ার মতো, যত দূরেই যায়
তত দীর্ঘ হয় তার প্রলম্বিত ছায়া
বোধিমূলে সঞ্চারিত এক নীরব প্রাণের কণা
কাছে এলেই আগুনের পরশমণি ছোঁয়া
দূরে গেলেই ছেঁড়া আগুনের বুনো দহন
তখন বোধিমূল থেকে সরে যায় জল
মাটির মর্মে বাজে তরু-বীথির নৃশংস ডমরু
বিষাদ জমিয়ে শোণিত শস্যে ছড়িয়ে দেয় আগুন
শারীরবৃত্ত ছিঁড়ে সে এক অগ্নিময় সরগম
এক আড়ালশিখা জ্বলে বুকের ভেতর
মৌন মুখর এক তীব্র দহন-স্নান...
নিজেকে পুড়িয়ে এই যে আরও শুদ্ধ করা
সে-তো দখিনা বাতাস নিয়ে প্রেমের কাছে যাওয়া
বিশ্বাস করো, সেই থেকে—
চৈত্র-সন্ধ্যার প্রতিটি মায়া মেঘ নির্জনতায়
লেবুফুলের ম-ম গন্ধে আমি প্রণয়কাতর নীল
No comments:
Post a Comment