বাতায়ন/দহন/ভ্রমণ/৩য় বর্ষ/৬ষ্ঠ সংখ্যা/১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
দহন | ভ্রমণ
অঞ্জনা
মজুমদার
চীনদেশে, কুন মিং
স্টোন ফরেস্ট
"চীনের বিখ্যাত প্রাচীরও দেখেছি। বেশ অনেকটা উঠেছি। সত্যি কিনা জানি না গল্প আছে যে ওই প্রাচীর গোটা ঘুরে আসতে বছরখানেকের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু একই ধরণের প্রাচীর আমি আমাদের রাজস্থানেও দেখেছি।"
আমরা চীনে বেড়াতে গিয়েছি ২০১৯ সালে। বিশাল দেশ চীন। অজানা ভাষা, কনডাক্টেড ট্যুরে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছি। তার মধ্যে একটা প্রাকৃতিক বিস্ময় হল স্টোন ফরেস্ট। এটি কুন মিং-এ অবস্থিত। এর কথাই বলব।
স্টোন ফরেস্ট
ভৌগলিক ব্যাখ্যায় এটি আগে
সমুদ্র ছিল। তারপর সমুদ্রের জল সরে গিয়ে লম্বা লম্বা বেলেপাথরের পাহাড় মাথা উঁচু
করে দাঁড়িয়েছে। চীনা রূপকথার গল্প হল,
এক
দেবতার অভিশাপে গোটা রাজ্য পাথরে পরিণত হয়েছে। এই পাথরগুলো এক-একটা প্রায়
হাজার ফুট উঁচু। কোনটা গভীর পাথরের বনভূমি, কোনটা বিশাল ঝর্ণার মতো আকৃতি, কেবল জল নয়, পাথরের ঝরনা। গুহা আছে, পাশে একটি সত্যিকারের নদীও আছে। এটি এখন প্রাকৃতিক বিস্ময়
এবং চীনদেশের একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।
যে কোনও বিশালতা মানুষকে
বিহ্বল করে দেয়। নানানরকম পাথরও অবাক করে। সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের মতো এখানেও
দোকানি নানা জিনিসের পসরা, যেমন আজকালকার বহুল
প্রচলিত ম্যাগনেটে নানারকম ছবির পসরা নিয়ে বসে আছে। কিছু খাবারের দোকানও দেখেছি।
আমি দেখেছি ভাষা না জানলেও আকারে-ঈঙ্গিতে বেচা-কেনা
করতে কোনও সমস্যা হয় না। আর টুকটাক ইংরেজি আমাদের সাধারণের মতো চীনারাও সবাই বুঝিয়ে দিতে পারে।
এখানকার চীনা শিশুরা কিন্তু
ছবি তুলতে খুব ভালবাসে। স্টোন ফরেস্ট এক বিস্ময়ে আবিষ্ট করে রেখেছিল সারাদিন। যদিও
আমরা কেউই একদিনে গোটা অঞ্চল ঘুরে দেখতে পারিনি। চীনের বিখ্যাত প্রাচীরও দেখেছি।
বেশ অনেকটা উঠেছি। সত্যি কিনা জানি না গল্প আছে যে ওই
প্রাচীর গোটা ঘুরে আসতে বছরখানেকের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু একই ধরণের প্রাচীর আমি
আমাদের রাজস্থানেও দেখেছি। তবু চীনদেশে ভ্রমণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এদের বুলেট
ট্রেন আর এক ধরণের ট্রেন যেটা অতি দ্রুত যায় এবং চলার সময় লাইন স্পর্শ করে না। এসব
যানে চড়ার রোমাঞ্চই অভিনব।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment