বাতায়ন/কবিতা/৩য় বর্ষ/১৪তম/মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা/২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | কবিতা
মনোজ ঘোষ
একা
থাকা
জিশু নিজেই যখন
একাকিত্বের শিকার
বলেছেন 'ক্ষুধার্ত আমাকে তোমরা দিয়েছ খাবার'
যা শুধু জঠরের খিদে মেটানোর
রুটি নয় বুঝিয়েছেন খিদেকেও ভালবাসতে হয়
একা থাকার ইচ্ছেতে চলতে চাইলে
মানুষ পূর্ণতা পায় না কখনো
অন্য হৃদয়ে সাড়া জাগাতে না পারলে
ক্ষয় থেকে নিজেকে যায় না আটকানো
যে শুধু নিজের চিন্তার
প্রতিধ্বনি শোনে খুঁজে পায় না সুমন্ত্রণা অন্য কোনও বাঁকে
সে ঘুরে মরে কেবল আপন মননে, সংকুচিত ভাবনাগুলো গুটোতেই থাকে
একাকিত্বের একটু আশ্রয়ের
সন্ধান মানুষের সারা জীবনের কাজ
সংগীতের সারেগামায় এলোমেলো বিচরণ যেমন কুঁকড়ে থাকা নিঃসঙ্গতার সাজ
যখন হাওয়ার বিছানায় শুয়ে
শুয়ে কবেকার সুগন্ধ রোমন্থন করে চলি, নির্জনতায় শব্দগুলো ঘোরে বৃত্ত হয়ে
চূড়ান্ত অসহায় আমি ঐকল্যের বলি
মনে মনে অনেকের সঙ্গ পেলেও
একাকে একাই থাকতে হয়
স্যাৎ অস্তি নাস্তি অবক্তব্য
হয়তো থাকে হয়তো থাকে না
ঠিকমতো কিছুই বলা যায় না
মণিজিঞ্জির সান্যাল সংখ্যা | কবিতা
মনোজ ঘোষ
জন্মের সময় যেমন একা
মৃত্যুতেও তাই
শুধু মাঝের কটা দিন যা কিছু
পাই
সবই ঈশ্বরের দান তাঁর সিদ্ধাই
তবু একা ভাবলে একাই থেকে যাই
বলেছেন 'ক্ষুধার্ত আমাকে তোমরা দিয়েছ খাবার'
মানুষ পূর্ণতা পায় না কখনো
অন্য হৃদয়ে সাড়া জাগাতে না পারলে
ক্ষয় থেকে নিজেকে যায় না আটকানো
সে ঘুরে মরে কেবল আপন মননে, সংকুচিত ভাবনাগুলো গুটোতেই থাকে
সংগীতের সারেগামায় এলোমেলো বিচরণ যেমন কুঁকড়ে থাকা নিঃসঙ্গতার সাজ
একাকে একাই থাকতে হয়
স্যাৎ অস্তি নাস্তি অবক্তব্য
হয়তো থাকে হয়তো থাকে না
ঠিকমতো কিছুই বলা যায় না
অসাধারণ লাগল
ReplyDelete